এডিটর’স মাইন্ড

ড. ইউনূস, রুস্তম মণ্ডল এবং আইনের শাসন


প্রকাশ: 04/09/2023


Thumbnail

ডিসেম্বর, ১৯৯৮। দৈনিক সংবাদ ভেতরের পাতায় ছোট্ট একটি খবর—‘গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণের কিস্তি না দিতে পেরে আত্মহত্যা করলেন এক কৃষক।’ যশোরের শার্শার ঘটনা। ’৯৮-এর বন্যায় সব ভেসে যায়। এ অঞ্চলের অনেক কৃষকই গ্রামীণ ব্যাংকের কাছ থেকে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিলেন। নতুন ফসল উঠলেই তা বিক্রি করে সুদসহ ঋণের টাকা শোধ করবেন, এ আশায়। কিন্তু প্রলয়ংকরী বন্যা সবকিছু তছনছ করে দেয়। কৃষকরা গ্রামীণ ব্যাংকের অফিসে যান। অন্তত বন্যার সময়টুক যেন কিস্তির টাকা গ্রহণ বন্ধ থাকে। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের উপজেলা অফিস জানিয়ে দেয়, এটা তাদের ক্ষমতার বাইরে। বন্যাদুর্গত সর্বস্বান্ত মানুষগুলোর ওপর কিস্তি পরিশোধের চাপ বাড়ে। শুধু যশোর নয়, সারা দেশে গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণগ্রহীতারা এক ভয়ংকর সংকটে পড়েন। অনেক এলাকার স্থানীয় সংসদ সদস্যরা বিষয়টি অর্থমন্ত্রীর নজরে আনেন। অর্থমন্ত্রী সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে, সব এনজিওকে বন্যার সময় কিস্তির টাকা মওকুফ অথবা আপাতত গ্রহণ না করার নির্দেশ দেন। আশা, প্রশিকাসহ বেশ কয়েকটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের নির্দেশ প্রতিপালন করে। তারা বন্যার সময় এক মাসের সুদ মওকুফ করে। কিস্তির টাকা গ্রহণ দুই মাস স্থগিত করে। কিন্তু ‘গ্রামীণ ব্যাংক’ সরকারের ওই সিদ্ধান্ত মানতে অপারগতা প্রকাশ করে। এ ধরনের সিদ্ধান্তের ফলে গ্রামীণ ব্যাংকের কার্যক্রম কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তার বিবরণ দিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠান প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। একই সঙ্গে সরকারের সিদ্ধান্ত বা জবাবের অপেক্ষা না করেই আগের নিয়মে কিস্তি আদায় অব্যাহত রাখার জন্য সব আঞ্চলিক অফিসে চিঠি পাঠায় গ্রামীণ ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এ সময় কিস্তি আদায়ের জন্য গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোগে গঠন করা হয় বিশেষ টিম (বাহিনী)। এলাকার ক্ষমতাবান, পেশিশক্তি আছে এমন তরুণদের এ টিমে নেওয়া হয়। এরা ঋণগ্রহীতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রথমে হুমকি দিতে শুরু করে। এরপর বাড়ির টিনের চাল কিংবা অন্যান্য আসবাবপত্র জোর করে কেড়ে নেয়। এতেও কাজ না হলে কিস্তি আদায়ে শারীরিকভাবে নির্যাতনের পথ বেছে নেওয়া হয়। আর মামলা তো আছেই। ’৯৮-এর আগস্ট থেকে ’৯৯ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত গ্রামীণ ব্যাংক কিস্তি আদায়ের জন্য সারা দেশে প্রায় ১৩ হাজার সার্টিফিকেট মামলা করে। এসব মামলায় অন্তত দুই শতাধিক দরিদ্র কৃষককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এদের কোমরে রশি বেঁধে নিয়ে যাওয়া হতো থানায় ও আদালতে। দেখে মনে হতো দুর্ধর্ষ অপরাধী। এ সময় গ্রামীণ ব্যাংকের অত্যাচার থেকে বাঁচতে অনেক কৃষক নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে পালিয়ে যান। রুস্তম মণ্ডল এরকম কিস্তি নিষ্পেষণের নির্মম শিকার। সংবাদের ওই খবরে বলা হয়েছিল, রুস্তম মণ্ডলের পাঁচটি সাপ্তাহিক কিস্তির টাকা বাকি পড়েছিল। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় তার বিরুদ্ধে মামলা এবং গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। উপায়ান্ত না দেখে রুস্তম মণ্ডল আত্মহত্যা করেন। তিনি একা নন, বন্যা-পরবর্তী ওই কঠিন সময়ে গ্রামীণ ব্যাংকের কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পেরে বেশ কজন কৃষক আত্মহত্যা করেন দেশের বিভিন্ন স্থানে। বিষয়টি জাতীয় সংসদে ‘পয়েন্ট অব অর্ডারে’ উত্থাপন করেছিলেন তরুণ সংসদ সদস্য মির্জা আজম। তিনি বলেছিলেন, ‘২০০ টাকার জন্য একজন কৃষককে কোমরে দড়ি বেঁধে নিয়ে যাওয়া অমানবিক, অন্যায়।’ তিনি কৃষকদের বিরুদ্ধে এসব মামলা প্রত্যাহারের দাবি করেছিলেন। কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে না পারায় যারা ‘আত্মহত্যা’ করছেন, তাদের আসলে হত্যা করা হচ্ছে বলেও মির্জা আজম অভিযোগ করেন। জাতীয় সংসদে বিষয়টি উত্থাপিত হওয়ার পর এ নিয়ে হৈচৈ হয়। এ সময় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন গ্রামীণ ব্যাংক থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়। বিবৃতিতে গ্রামীণ ব্যাংক কিস্তি আদায়ের জন্য কৃষকদের ওপর হয়রানি অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে। বিবৃতির শেষে এসে লেখা হয়েছিল, ‘আইন সবার জন্য সমান। কোনো বিশেষ ব্যক্তির জন্য আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর সুযোগ নেই।’ ২৫ বছর পর ওই ঘটনাটি আবার আমার চোখের সামনে ভেসে উঠল, ড. ইউনূসকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলের উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার পরিপ্রেক্ষিতে। গত ১৭ আগস্ট যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে হয়রানি করা হচ্ছে বলে উদ্বেগ জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন। ১০ দিন গোপন রেখে ‘ইউনূস সেন্টার’ সেই চিঠি প্রকাশ করে ২৭ আগস্ট। সেদিন আবার দেশের সুশীল সমাজের ৩৪ জন এক যুক্ত বিবৃতিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সরকারের আচরণে উদ্বেগ জানান। এর পরদিন ১৬০ জন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব (যাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী) বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে এক খোলা চিঠি পাঠান। বারাক ওবামা, হিলারি ক্লিনটনসহ ১৬০ জন বিশিষ্ট বিশ্ব নাগরিক যৌথভাবে লেখা খোলা চিঠিতে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান বিচারিক কার্যক্রম স্থগিতের আহ্বান জানান। এর এক দিন পর হিলারি ক্লিনটন এক টুইট বার্তায় ড. ইউনূসের পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো যুদ্ধ ঘোষণা করেন। তিনি ড. ইউনূসের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিশ্বনেতাদের আহ্বান জানান। গভীর মনোযোগ গিয়ে এ বিবৃতি পড়তে পড়তেই আমার চোখের সামনে রুস্তম মণ্ডলের বাড়ির দৃশ্যটা ভেসে উঠল। ১৯৯৮ সালের ওই সময়টাতে আমি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ‘পরিপ্রেক্ষিত’ নামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন অনুষ্ঠান করি। সংবাদের খবরের সূত্র ধরে কিস্তির পরিশোধের হয়রানি নিয়ে একটি পর্ব করি। যশোরের রুস্তম মণ্ডলের বাড়িতে গিয়েছিলাম আমি। কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় বাড়ির টিনগুলো সব খুলে নিয়ে গেছে গ্রামীণ ব্যাংকের লোকজন। রুস্তম মণ্ডলের ছোট মেয়েটি বিবর্ণ, ফ্যাকাশে। স্ত্রী হতবিহ্বল, শোকে কাতর। যশোরে গ্রামীণ ব্যাংকের আঞ্চলিক ম্যানেজার সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘মামলা প্রত্যাহারের কোনো সুযোগ নেই।’ আমি ড. ইউনূস এবং রুস্তম মণ্ডলকে পাশাপাশি দাঁড় করলাম। ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আন্তর্জাতিক চাপ। আর রুস্তম মণ্ডলের মৃত্যুর পরও কিস্তি আদায়ের মামলা চালিয়ে যাওয়ার আইনি অজুহাত। আসলে কোনটা সঠিক? আইন কি সবার জন্য সমান?

বাংলাদেশের সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদের বলা হয়েছে, ‘সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী।’ তাহলে ড. ইউনূস এবং রুস্তম মণ্ডলের জন্য দুই রকম নীতি কেন?

প্রয়াত অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট আমিনুল হক এরশাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাগুলো লড়তেন। যেদিন তিনি মারা যান, সেদিন সকালেও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে শুনানিতে গিয়েছিলেন। একটি দুর্নীতি মামলায় এরশাদের জামিনের বিরোধিতা করতে। এ সময় উত্তেজিত হয়ে যান এ নির্লোভ মানুষটি। বলেন, ‘১০ টাকার কিস্তি পরিশোধ করতে না পারলে একজন কৃষকের কোমরে রশি বেঁধে ধরে নিয়ে যাওয়া হয়। পয়সার অভাবে ওই কৃষক আদালতে যেতে পারেন না। আর রাষ্ট্রের কোটি টাকা আত্মসাৎ করে, বড় উকিল ব্যারিস্টার ভাড়া করে বড় দুর্বৃত্ত আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বেরিয়ে যায়। এটা ন্যায়বিচার নয়।’ আপিল বিভাগ থেকে বেরিয়ে যেতে যেতেই তার হার্ট অ্যাটাক হয়। তিনি মারা যান। ড. ইউনূসকে নিয়ে কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তির যে মাতম তাতে আমার আবার অ্যাডভোকেট আমিনুল হকের কথাগুলো মনে পড়ল। ড. ইউনূসের পক্ষে ১৬০ জন বিশ্ববরেণ্য ব্যক্তিত্ব যে বিবৃতি দিয়েছেন, তা যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোভিত্তিক জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান ‘সিজিয়ন পিআর’ তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে। অর্থাৎ এই ১৬০ জন ব্যক্তিকে একটি জনসংযোগ ফার্ম এ বিবৃতিতে স্বাক্ষরের জন্য প্ররোচিত করেছে। ‘সিজিয়ন পিআর’ বিশ্বের অন্যতম একটি খ্যাতিমান জনসংযোগ প্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠানটি অর্থের বিনিময়ে যে কোনো ব্র্যান্ড, কোম্পানি, সংস্থা বা ব্যক্তির কৌশলগত প্রচারণা করে। প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বব্যাপী ১৭০টি দেশে শাখা রয়েছে। ৪০টি ভাষায় তারা জনসংযোগ করে। এক হাজারের বেশি গ্রাহকের ইমেজ বৃদ্ধির কাজ করে এ প্রতিষ্ঠানটি। আমার প্রশ্ন হলো, ড. ইউনূসের পক্ষে এরকম একটি বিবৃতি তৈরি তাতে এত বিশিষ্টজনের স্বাক্ষর গ্রহণের দায়িত্ব তাদের কে দিয়েছে? এ জন্য ব্যয় হয়েছে কত? এর আগেও ড. ইউনূসের পক্ষে ৪৬ জনের একটি বিবৃতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী গণমাধ্যমে বিজ্ঞাপন আকারে প্রকাশিত হয়েছিল। ওই বিজ্ঞাপন প্রচারের কয়েক কোটি টাকা ব্যয় হয়েছিল। ড. ইউনূস কি টাকা দিয়ে বিচারকে বাধাগ্রস্ত করতে চাচ্ছেন? তিনি কি আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছেন? ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে না কেন? তিনি কি প্রচলিত আইন, বিচারের ঊর্ধ্বে? এর আগেও একাধিক মামলায় লড়েছিলেন শান্তিতে নোবেলজয়ী এ অর্থনীতিবিদ। সেসব মামলা করেছিলেন ড. ইউনূস নিজেই। বয়সসীমা অতিক্রান্ত হওয়ার কারণে, তাকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অবসর দেওয়া হয়েছিল। সরকারের সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। তখন আদালতের প্রতি তার আস্থা ছিল। এখন নেই কেন? ওই মামলায় অবশ্য ড. ইউনূস হেরে যান। দেশের সর্বোচ্চ আদালত সরকারের অবসর প্রদানসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন বৈধ ঘোষণা করে। ২০২০-২১ অর্থবছরে ড. ইউনূস তার ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে সব টাকা ‘ইউনূস ট্রাস্টে’ দান করেন। এনবিআর এ সময় তার কাছে ১৫ শতাংশ দানকর দাবি করে। ড. ইউনূস এই দানকর দিতে অস্বীকৃতি জানান। এনবিআরের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা করেন। গত ৩১ মে তিনটি আয়কর রেফারেন্স মামলায় ড. ইউনূস হেরে যান। মামলায় রায় মেনে নিয়ে ১২ কোটিরও বেশি টাকা তিনি পে-অর্ডারের মাধ্যমে এনবিআরে জমা দেন। এখন শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিকরা মামলা করেছেন। ড. ইউনূস এ মামলা আদালতের বাইরে টাকাপয়সা দিয়ে মিটমাট করতে চেয়েছিলেন। টাকা লেনদেনও হয়েছিল অবৈধ পন্থায়। এ নিয়েও মামলা সর্বোচ্চ আদালত পর্যন্ত গড়ায়। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে এ মামলা এখন শ্রম আদালতে চলছে। ড. ইউনূস মামলা করলে ঠিক আছে, অসুবিধা নেই। কিন্তু শ্রমিকরা মামলা করলে সমস্যা? এটা কোন ধরনের ন্যায়বিচার। আমি বিশ্বাস করি, ইউনূসের বিরুদ্ধে মামলা স্থগিত করার আবেদনে যারা স্বাক্ষর করেছেন, তারা অধিকাংশই এ সম্পর্কে বিন্দু বিসর্গও জানেন না। তাদের ভুল বুঝিয়ে এ ব্যাপারে প্ররোচিত করা হয়েছে। সাবেক মার্কিন ফার্স্টলেডি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ড. ইউনূসের প্রতি আলাদা পক্ষপাত আছে। সবসময়ই তিনি ড. ইউনূসের জন্য বিশেষ কিছু করতে উৎসাহী হন। গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে যখন তাকে (ড. মুহাম্মদ ইউনূস) অবসর দেওয়া হয়, তখন হিলারি সব প্রটোকল লঙ্ঘন করে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। এবারও তার টুইটার বার্তা আক্রমণাত্মক। যুক্তরাষ্ট্র সবসময় আইনের শাসনের কথা বলে। কিন্তু নিজেদের স্বার্থে তারাই আইনের শাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখায়। সারাক্ষণ মানবাধিকারের কথা বলে যুক্তরাষ্ট্র। অথচ শ্রমিকদের ন্যায্য পাওনা না দেওয়া যে মানবাধিকার লঙ্ঘন, এটি তারা মানে না। তাহলে আইনের শাসন মানে কি ড. ইউনূসের মতো মার্কিন অনুগত ব্যক্তিদের দায়মুক্তি দেওয়া।

লেখক : নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ইমেইল : poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭