নোবেলজয়ী সাংবাদিক মুরাতভ পুতিনের ‘বিদেশি এজেন্ট’ তালিকায়

রাশিয়ার শান্তিতে নোবেলজয়ী সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভকে ‘বিদেশি এজেন্ট’হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দেশটির সরকার। রুশ সরকার ইউক্রেন যুদ্ধসহ ক্রেমলিনের বিভিন্ন সিদ্ধান্তের সমালোচনা করায় তাকে এই আখ্যা দেয়া হয়। যে কোনো সময়ই নেয়া হতে পারে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা।

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রাশিয়ায় কাউকে তথাকথিত ‘বিদেশি এজেন্ট’আখ্যায়িত করা হলে, যে কোনো সময় তার বিরুদ্ধে পুলিশ তল্লাশি চালাতে পারে, গ্রহণ করতে পারে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা।

২০২১ সালে ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরে ‘বিদেশি এজেন্টদের’তালিকা দীর্ঘ হতে থাকে। যদিও ক্রেমলিন ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘বিশেষ সামরিক অপারেশন’ বলে আসছে। এই যুদ্ধের সমালোচনা করায় অনেকেই রাশিয়া ছেড়ে গেছেন। তবে মুরাতভ এখনো দেশ ছাড়েননি।

দিমিত্রি মুরাতভ স্বাধীন সংবাদপত্র নোভায়া গেজেটার সম্পাদক। ২০২১ সালে ফিলিপাইনের সাংবাদিক মারিয়া রেসার সঙ্গে তিনি যৌথভাবে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পান। রাশিয়ার বেশ কজন ভিন্নমতাবলম্বীকে ‘বিদেশি এজেন্ট’তালিকায় রেখেছে পুতিন সরকার। এ কারণেই মুরাতভও এই তালিকায় আছেন।

রাশিয়ার বিচার মন্ত্রণালয় মুরাতভ সম্পর্কে বলেছে, তিনি রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি নীতিকে আন্তর্জাতিক প্ল্যাটফর্মে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করেছেন।

তবে মুরাতভের পত্রিকা নোভায়া গেজেটা অনুসন্ধানী সংবাদ প্রকাশ করে বর্হিবিশ্বে বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। আর এসব প্রতিবেদনে ক্রেমলিনের সমালোচনা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ইউক্রেন যুদ্ধে বাস্তুচ্যুত শিশুদের সহায়তার জন্য মুরাতভ নিজের নোবেল মেডেলটি নিলামে বিক্রি করেছিলেন। গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে আয়োজিত এক নিলামে বিক্রি হয় এটি। মেডেলটির দাম উঠেছে ১০ কোটি ৩৫ লাখ ডলার।

ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত, গত বছরের মার্চে সংবাদ প্রকাশ স্থগিত রাখার ঘোষণা দিয়েছিল নোভায়া গেজেট। সংবাদপত্রটির অনেক সাংবাদিক বর্তমানে লাটভিয়া থেকে একটি পত্রিকা বের করছেন।

 সূত্র: বিবিসি