ইনসাইড ইকোনমি

রিজার্ভ কমে দাঁড়াল ২৩ বিলিয়ন ডলারে


প্রকাশ: 04/09/2023


Thumbnail

সেপ্টেম্বরের শুরুতে দেশে এখন রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে দুই হাজার ৯২০ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৯ দশমিক ২০৬ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম-৬ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৩৬৯ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৩ দশমিক শূন্য ৬৯ বিলিয়ন ডলার।

রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) দিন শেষের হিসাবের এ তথ্য প্রকাশ করে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের করা হিসাবে, দুই হাজার ৯২০ কোটি ৬১ লাখ মার্কিন ডলার রিজার্ভ দিয়ে বেশ কয়েকটি তহবিল গঠন করা হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ থেকে এসব তহবিল গঠন করা হয়েছে। লং টার্ম ফান্ড (এলটিএফ) ও গ্রিন ট্রান্সফরমেশন ফান্ড (জিটিএফ), বাংলাদেশ বিমানকে উড়োজাহাজ কিনতে সোনালী ব্যাংককে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ এবং পায়রা বন্দরের রাবনাবাদ চ্যানেলের খনন কর্মসূচিতে রিজার্ভ থেকে দেওয়া অর্থ বাদ দেওয়া হয়েছে।

প্রকৃত রিজার্ভ হিসাব করতে বাংলাদেশ ব্যাংক এসব খাতের মোট ৬৪০ কোটি ডলার বাদ দিয়েছে। এ অর্থ বাদ দেওয়ার পর ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৩৬৯ কোটি ৯৫ লাখ মার্কিন ডলার বা ২৩ দশমিক শূন্য ৬৯ বিলিয়ন ডলার।

২০২১ সালের আগস্ট মাসে দেশে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এর পরের বছর আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় ৩৯ বিলিয়ন ডলারে। ২০২৩ সালের আগস্টে এসে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ২০৬ বিলিয়ন ডলারে। আর ব্যবহারযোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ দাঁড়ায় ২৩ দশমিক শূন্য ৬৯ বিলিয়ন ডলারে।

উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের ফলে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয় অর্থনৈতিক সংকট। সৃষ্টি হয় মূল্যস্ফীতি। এর চাপ পড়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও। অস্বাভাবিকভাবে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় তৈরি হয় ডলার সংকট। এতে চাপ পড়ে রিজার্ভের ওপর। বাজারে ডলার পরিস্থিতি সামলাতে দফায় দফায় ডলার বিক্রি এবং আমদানি মেটাতে রিজার্ভ থেকে এর সরবরাহের ফলে কমতে থাকে এর পরিমাণ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭