নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: 14/03/2018
কৃষ্ণগহ্বরের মতোই মৃত্যু নামক এক অজানা অধ্যায়ে ডুবে গেলেন আইনস্টাইন পরবর্তী সর্বকালের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পদার্থ বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং। বুধবার সকালে ইংল্যান্ডের কেমব্রিজের নিজ বাসায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মহাজাগতিক চিন্তা, কৃষ্ণগহ্বর রহস্য, সময় পরিভ্রমণ, ছায়াপথে বাসযোগ্য গ্রহের অনুসন্ধান এমনকি পৃথিবীকে বাসযোগ্য করে তুলতে তাঁর ভাবনার অন্ত ছিল না। শুধু তা-ই নয়, কল্পবিজ্ঞান ভিত্তিক বিনোদনেও ছিল হকিংয়ের সমান অংশগ্রহণ। তাঁর বিভিন্ন তত্ত্ব এবং ভাবনা চিন্তা চলচ্চিত্র, টেলিভিশন ধারাবাহিক ও বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন অনেকে। হলিউডে হকিংয়ের অংশগ্রহণের কথাই আজ জানাবে বাংলা ইনসাইডার:
দ্য বিগ ব্যাং থিওরি
সিবিএস( কলম্বিয়া ব্রডকাস্টিং সিস্টেম) চ্যানেলে প্রচারিত মার্কিন জনপ্রিয় টেলিভিশন ধারাবাহিক ‘দ্য বিগ ব্যাং থিওরি’-তে অতিথি চরিত্রে দেখা গেছে এই বিজ্ঞানীকে। সেখানে তাঁকে শেলডন কুপার (জিম পারসন্স), লেনার্ড( জনি গ্যালেকি), রাজ (কুনাল নায়ার) এবং হাওয়ার্ড (সিমন) এর আদর্শ হিসেবে দেখা যায়। সেই সঙ্গে ছিল হকিংয়ের শিহরণ জাগানো স্বয়ংক্রিয় কম্পিউটার কণ্ঠস্বর। ধারাবাহিকটির ৭ তম পর্বে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। এছাড়া ২০০ তম পর্বে ভিডিও বার্তায় হকিং শেলডম কুপারকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা যায়।
দ্য সিম্পসন
বিশ্বব্যাপি জনপ্রিয় অ্যানিমেশন ধারাবাহিক ‘দ্য সিম্পসন’ এর ৪ টি পর্বে হকিং কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া সিম্পসনে ‘দ্য সেইভ লিসাস ব্রেইন’ পর্বে দেখা যায়, হকিং স্প্রিংফিল্ডের বাসিন্দাদের বলে, তাঁদের কল্পরাজ্য সফল হবে না।
ফিউচারামা
আরেক মার্কিন কল্পবিজ্ঞান অ্যানিমেশন ধারাবাহিক ‘ফিউচারামা’ তে দেখা গেছে তাঁকে। ধারাবাহিকের সিজন ২ তে আল গোরের নেতৃত্বে রাষ্ট্রপতি রেনজার্সের সদস্য হয়ে মহাকাশে বিপদজনক পরিস্থিতি ঠেকাতে দেখা যায় হকিং-কে।
স্টার ট্রেক: দ্য নেক্সট জেনারেশন
জানা যায়, হকিং নিজেও স্টার ট্রেক ধারাবাহিকের ভক্ত ছিলেন। ‘স্টার ট্রেকঃ দ্য নেক্সট জেনারেশন’ নামক মার্কিন কল্পবিজ্ঞান সিরিজেও দেখা গেছে হকিং-কে। সেখানে পৃথিবী সেরা তিন পদার্থ বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, হকিং ও নিউটনের সঙ্গে লে. কমান্ডার ডাটাকে পোকার খেলতে দেখা যায়।
দ্য থিওরি অব এভরিথিং
স্টিফেন হকিং-কে নিয়ে নির্মিত জনপ্রিয় এই ছবিটি ২০১৪ সালে মুক্তি পেয়েছে। প্রাক্তন স্ত্রী জেন ওয়াইল্ড এর সঙ্গে হকিংয়ের সম্পর্কের বিষয়টি উঠে এসেছে এই ছবিতে।
হকিং (২০১৩)
২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে হকিংয়ের বেড়ে উঠা এবং পক্ষাঘাতগ্রস্থতার সঙ্গে লড়াইসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে।
হকিং (২০০৪)
একই নামে ২০০৪ সালে নির্মিত হয়েছে ছবিটি। বিবিসির পৃষ্ঠপোষকতায় নির্মিত এই ছবিটিতেও হকিংয়ের শৈশব, পিএইচডি’র ছাত্র থাকাকালীন তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় জীবন, অসুস্থতার সঙ্গে লড়াইসহ বিভিন্ন বিষয় উঠে এসেছে। ছবিতে হকিংয়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ।
এ ব্রিফ হিস্টরি অফ টাইম
এরল মরিস পরিচালিত হকিংয়ের ওপর করা একটি তথ্যচিত্র। ছবিটি ১৯৯১ সালে নির্মিত হয়। এতে হকিংয়ের পরিবারের সদস্য, সহকর্মী এবং ছোটবেলায় তাঁর দেখভাল করা নারীর সাক্ষাৎকার দেখানো হয়েছে।
বিয়ন্ড দ্য হরিজন
২০০৯ সালে নির্মিত এটিও একটি তথ্যচিত্র ভিত্তিক চলচ্চিত্র। যেখানে একজন নারী প্রতিবেদকের উপর সৃষ্টিতত্ব নিয়ে প্রতিবেদন করার দায়িত্ব বর্তায়। এছাড়া তাঁকে হকিংয়ের সাক্ষাৎকার নিতে দেখা যায়।
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি/জেডএ
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭