নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনের একজন ‘রকস্টার’ আখ্যায়িত করে তার বিরুদ্ধে হয়রানি বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার।
শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে সরকারের প্রতি তিনি এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে যুক্ত হন সুজন সম্পাদক। তিনি বলেন, ড. ইউনূস বিদেশে একজন অত্যন্ত পরিচিত মুখ, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তিনি একজন রকস্টার। আমরা বিদেশে তার এই সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে অনেক দূরে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি। আমার প্রত্যাশা, সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। ড. ইউনূসকে হয়রানি বন্ধ করে তার প্রতি সদয় আচরণ করা হবে।
বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূস যদি অন্যায় করে থাকেন, আইন অমান্য করে থাকেন- তাহলে তাকে বিচারের সম্মুখীন করা হোক। কিন্তু তিনি যদি কোনো অন্যায় না করেন, তাহলে তাকে হয়রানি বন্ধ করা হোক। বিদেশিদের ব্যাপক ধারণা, ড. ইউনূসকে নানাভাবে হয়রানি করা হচ্ছে। দেশবাসীও মনে করে- ড. ইউনূসকে এই সরকার নানাভাবে হয়রানি করছে। অথচ ১৯৯৭ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওয়াশিংটনে এক অনুষ্ঠানে দারিদ্র্য বিমোচনে অনন্য ভূমিকা রাখার জন্য ড. ইউনূসের ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন।
প্রজন্ম একাডেমির উদ্যোগে ‘দারিদ্র্য বিমোচন ও বেকারত্ব দূরীকরণে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভূমিকা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংগঠনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদ। অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয় সংগঠনের সভাপতি কালাম ফয়েজীর সভাপতিত্ব ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোজাম্মেল হোসেন শাহিনের সঞ্চালনায়। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) একাংশের সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক যুবনেতা মিজানুর রহমান, আইনজীবী অ্যাডভোকেট এম হেলাল উদ্দিন, জাতীয় মানবাধিকার সমিতির সভাপতি মঞ্জুর হোসেন ইসা, সাংবাদিক নেতা জাকির হোসেন প্রমুখ।