লিভিং ইনসাইড

শরীর নিজেই সারিয়ে তোলে নিজেকে?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/03/2018


Thumbnail

শরীরকে ভালো আর সুস্থ রাখতে আমাদের চেষ্টার শেষ নেই। কোনো আঘাত পেলে বা বিভিন্ন বয়সে শরীরের অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, এতে হরে শরীর ঠিকমতো কাজ করতে চায়না। কিন্তু শরীর নিজেই যে নিজেকে সুস্থ করে তোলে সেটা আমরা অনেকেই জানি না। অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো নিজেই নিজের আঘাতকে সারিয়ে তোলে। কীভাবে সেটা দেখে নিই:

যকৃৎ পুন:র্জীবিতকরণ
যে অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো নিজেকে পুনর্জীবিত করে, তার মধ্যে যকৃৎ সবার প্রথমে। অধিকাংশ অঙ্গের মত ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুকে নষ্ট করে ফেলার পরিবর্তে সেগুলো নতুন টিস্যু তৈরির কাজে লাগাতে পারে। এতে করে যকৃৎ নিজেই নিজের নিরাময় করতে পারে। এর প্রক্রিয়াও বেশ দ্রুত। মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যেই এটি কাজ করতে পারে।

পরিপাকক্রিয়া
প্রতিদিন আমাদের ছোট ও বড় অন্ত্রগুলো খাদ্যের হজমশক্তির কাজ করে। অন্ত্রের উপরিভাগের একটা অংশ এক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করে যখন পুষ্টি শুষে বিষাক্ত পদার্থ ছড়ায়। এটি ছাড়া অন্ত্রে জীবাণু প্রবেশ করে অসুস্থ করে তুলতে পারে। নিজেকে শক্তিশালী রাখতে, শরীরের পুরানো সাহায্যকারী কোষ ছড়িয়ে দেয় এবং নতুন কোষদের সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হয়। এর হাজ করার ক্ষমতাও দ্রুত। পাঁচ থেকে সাতদিনের মধ্যেই এর সম্পূর্ণরূপে পুনর্জন্ম ঘটে।

হাড় পুনরায় বৃদ্ধি পায়
ভাঙা হাড়ের চারপাশে কাস্ট হওয়া হাড়ের পুনর্নির্মাণে সরাসরি সহায়তা না করলেও এটি সবকিছুই জায়গামতো ধরে রাখে। এতে করে এরা নিজেই নিজের নিরাময় করতে পারে। কোনো আঘাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই শরীর ব্লাড ক্লট তৈরি করে ভাঙা হাড় মেরামত করতে শুরু করে। এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই এই কাজ সম্পন্ন হয়ে যায়। তিন সপ্তাহ পর শরীর হাড় শক্ত করার জন্য কোলাসে খনিজ পদার্থ যোগ করে, পরে নতুন হাড়ে পরিণত করে। একবার হাড় সম্পূর্ণভাবে গঠিত হলে এটি তিন থেকে নয় বছরের মধ্যে মূল আকৃতিতে ফিরে আসে।

চামড়ার বিভিন্ন স্তর
ত্বকে আঘাত পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এটি নিরাময় কাজ শুরু করেনা, আস্তে আস্তে রিফ্রেশিং এর মাধ্যমে কাজ শুরু করে। ত্বক আঘাতের পর কোষের বিভিন্ন স্তর তৈরি করে। সর্বোচ্চ ১৮ থেকে ২৩টি স্তর মৃত কোষের স্তর তৈরি করে। প্রায় ত্রিশ হাজার থেকে ৪০ হাজার কোষ প্রতিদিন ছড়িয়ে পড়ে। তখন নতুন কোষগুলি ত্বকের বাইরের স্তরের নীচে বেড়ে ওঠে।

চোখের নিরাময়
চোখের বাইরের স্তর কর্নিয়া ক্রমাগত নিজেকে রিফ্রেশ করছে। পুরো রিফ্রেশমেন্ট বা সুস্থ্যতার জন্য এটি ৭ দিন থেকে ১০ দিন সময় নেয়। কর্নিয়ার পৃষ্ঠের স্তর চোখের পানি ঝরানোর মাধ্যমে পুরনো কোষগুলোও ঝরিয়ে ফেলে। এটা বেশ দ্রুত ঘটে। চোখ নিজেই তার আঘাতপ্রাপ্ত কোষগুলোকে বাদ দিয়ে নিজেই নতুন সজীব কোষ তিনদিনের মধ্যে তৈরি করে ফেলে।

ধুমপানের পরেও ফুসফুস সচল থাকে
আপনার ফুসফুসের মধ্যেকার ক্ষুদ্র চুলগুলিকে সাধারণত সিলিয়া বলে। যেগুলো শরীরের ব্যথা এবং অন্যান্য উপাদানের প্রদাহ কমাতে পারে। কিন্তু যখন সিগারেটের ধোঁয়া শ্বাসের মাধ্যমে প্রবেশ করে তখন সেই চুলগুলি স্থানান্তর করতে পারে না। যার ফলে ব্যাকটেরিয়া বিলুপ্ত হয়। এদিকে ধূমপানের কারণে প্রদাহ এবং ফুসফুস ফুলে যায়। ধূমপান ত্যাগের ফলে প্রধান ক্ষতি কমানো সম্ভব না হয়তো। তবে ফুসফুস আরও কিছু পৃষ্ঠ স্তরের সমস্যার পুনরুদ্ধার করতে পারে। ফুসফুস নিজে থেকেই নতুন কোষ উৎপাদনের মাধ্যমে শ্বাসপ্রশ্বাস সহজ করে। নিঃশ্বাস নেওয়ার পথ খুলে দিতে সাহায্য করে।


সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

বাংলা ইনসাইডার/এসএইচ/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭