ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

হকিংয়ের অজানা ১০

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 14/03/2018


Thumbnail

বিশ্বখ্যাত ব্রিটিশ পদার্থবিদ স্টিফেন হকিং। তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে লুকাসিয়ান অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এক সময় আইজ্যাক নিউটনও এই পদে ছিলেন। স্বপ্নদ্রষ্টা বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং হুইল চেয়ারে জীবনের দীর্ঘ সময়। পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে তিনি কথা বলার শক্তিও হারিয়ে ফেলেছিলেন। কম্পিউটারাইজড ভয়েস সিন্থেসাইজার ব্যবহার করে তিনি কথা বলতেন। এই অবস্থাতেই তিনি লেকচার দিতেন, ইটারভিউ দিতেন। আর তাঁর গবেষণাও চালিয়ে গেছেন। তিনি আমাদের মহাবিশ্ব সম্পর্কে কল্পনাগুলোকে দৃশ্যত বদলে দিয়েছিলেন। আজ তিনি না ফেরার দেশে চলে গেলেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক স্টিফেন হকিং এর জীবনের ১০ টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেগুলো তুলনামূলক কম প্রচারিত।

১। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা গ্যালিলিও গ্যালিলির মৃত্যুর ৩০০ বছর পর স্টিফেন হকিং ১৯৪২ সালের ৮ জানুয়ারি ইংল্যান্ডের অক্সফোর্ডে জন্মগ্রহণ করেন। হকিং তার ছেলে বেলা কাটিয়েছেন সেন্ট আলবানস ও হের্টফর্ডসায়ারে।

২। ১৯৬৩ সালে মাত্র ২২ বছর বয়সে ১৯৬৩ সালে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত হন। ডাক্তাররা তাকে জানান তিনি আর মাত্র ৪ বছর বাঁচবেন। ওই সময় তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রী জেনকে বিয়ের পরিকল্পনা করছিলেন।

৩। হকিং এক জন সেলিব্রেটি বিজ্ঞানী। তাকে দ্য সিম্পসন্স ও স্টার্ ট্রেকে দেখা গেছে। ব্রিটিশ টেলিকমের এক বিজ্ঞাপনে তিনি বর্ণনা দিয়েছেন। আর এই বর্ণনা পরে পিঙ্ক ফ্লয়েডের এক অ্যালবামে পরীক্ষামূলক ভাবে সংযুক্ত করা হয়েছিল।

৪। স্থানীয় পাবলিক স্কুলে হকিং এর জীবন খুব বেশি ভালো কাটেনি। তিনি খেলাধুলা ও পপ কালচারের থেকে জ্যাজ, ক্লাসিকাল সঙ্গীত, বিতর্ক এবং পড়ালেখা বেশি পছন্দ করতেন। এজন্য সমবয়সীদের কাছ থেকে অনেক নিগ্রহেরও শিকার হয়েছেন।

৫। জেনের সঙ্গে তাঁর বিয়েকে নিজের জীবনের নতুন মোড় হিসেবে দেখতেন স্টিফেন হকিং। চিকিৎসকেরা বলেছিলেন তিনি মারা যাবেন। কিন্তু তাঁর পরও তিনি দীর্ঘদিন বেঁচে চিলেন। বিজ্ঞানকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছেন। রবার্ট, লুসি ও তীমোর্থি নামের তিন সন্তানের জনকও হয়েছেন হকিং।

৬। রয়্যাল সোসাইটির এক সভাতে জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্যার ফ্রেড হেইলেকে বক্তব্যের মাঝে থামিয়ে দিয়ে তাঁর ভুল ধরেছিলেন স্টিফেন হকিং। এই ভুল কি ভাবে বুঝতে পারলেন জানতে চাইলে তিনি বলেছিলেন,‘আমি মনে মনে হিসেব করে দেখেছি।’

৭। ১৯৭০ সালে হকিং বেশ কয়েকটি গবেষণা প্রকাশ করেছিলেন। এর মধ্যে অন্যতম হলো হকিং রেডিয়েশন। এই নিবন্ধে নীতি বলেছিলেন কৃষ্ণগহ্বর থেকে রেডিয়েশন নির্গত হয়। আর ধীরে ধীরে এই কৃষ্ণ গহ্বর মিলিয়ে যায়।

৮। ১৯৮০ সালে প্রফেসর হকিং ও প্রফেসর জিম হারটেল মহাবিশ্বের একটি মডেল প্রস্তাব করেছিলেন। এই মডেলে মহাবিশ্বের কোনো সীমা, স্পেস অথবা টাইম ছিল না। এই ধারণাটি এ ব্রিফ হিস্টরি অব টাইম বইতে লিপিবদ্ধ করা হয়েছিল। এই বইটির ২৫ মিলিয়ন কপি বিক্রি হয়েছিল।

৯। ১৯৯০ সালে নিজের সেবিকা এলাইন মেসনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে তিনি তাঁর প্রথম স্ত্রীকে ছেড়ে দেন। তাঁরা ১৯৯৫ সালে বিয়ে করেন। তারপর ২০০৬ সালে তাদেরও ডিভোর্স হয়ে যায়।

১০। বিশ্ব উষ্ণাইয়ন, নতুন জীবন ঘাতী ভাইরাস ও পৃথিবীপৃষ্ঠে বিশাল ধূমকেতুর আঘাতে মানব সভ্যতা ধ্বংসের ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন হকিং। ২০০৯ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরষ্কার প্রেসিডেন্টসিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম পান।


বাংলা ইনসাইডার/ডিজি/জেডএ



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭