ইনসাইড বাংলাদেশ

বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা


প্রকাশ: 12/09/2023


Thumbnail

 

সেপ্টেম্বর মাস বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জন্ম মাস। এই সেপ্টেম্বর মাসেই দুনিয়ার নজরকাড়া বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অর্জনের উজ্জ্বল নেতৃত্বদানকারী বিশ্বনেতা রাষ্টনায়ক শেখ হাসিনা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি জন্মগ্রহণ না করলে হয়তো বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মুক্তি, আইনের শাসন এবং উন্নত বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের অবস্থান উচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভবপর হতো না। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্ম ‘বাংলাদেশের আলোর পথযাত্রা’। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মমাসে ‘শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১’ থেকে পাঠকদের জন্য তাঁর একটি লেখা তুলে ধরা হলো।

 

বিপন্ন গণতন্ত্র লাঞ্ছিত মানবতা

 

পর্ব- ১

 

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে (ক) বলা হয়েছে, “প্রজাতন্ত্রের সকল ক্ষমতার মালিক জনগণ; এবং জনগণের পক্ষে সে ক্ষমতার প্রয়োগ কেবল এ সংবিধানের অধীন ও কর্তৃত্বে কার্যকর হবে।”

২০০১ সালের ১ অক্টোবর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে যেভাবে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে খেলা হলো, ভোট প্রদানের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হলো, নৌকা প্রতীকের পক্ষে কাজ করার অপরাধে শাস্তি দেওয়া হলো তাতে আর যাই হোক গণতন্ত্র বলতে কিছুই অবশিষ্ট থাকল না। বরং গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়ে দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল তা হোঁচট খেল চরমভাবে। "আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব” – এ স্লোগান গ্রাম বাংলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে দিয়ে মানুষের ভোটের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা, ভোট দানে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা, গণতন্ত্রের প্রতি মানুষের আস্থা বিশ্বাসকে ফিরিয়ে আনা এবং সর্বোপরি জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি দ্বারা গঠিত জাতীয় সংসদে উত্থাপিত বিভিন্ন এলাকার সমস্যাবলি ও তা সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণের মাধ্যমে জনগণের দৃষ্টি, আস্থা ও বিশ্বাসকে জাতীয় সংসদের প্রতি আকৃষ্ট করতে সক্ষম হয়েছিলাম । মানুষও গভীর মনোযোগ দিয়ে সংসদের কথা রেডিওর মাধ্যমে শুনত। আওয়ামী লীগ সরকারের আমলেই রেডিওর মাধ্যমে সংসদ কার্যক্রম প্রচারের ব্যবস্থা নিয়েছিলাম সংসদ সম্পর্কে গণ-মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য। ভোটের অধিকার অর্থাৎ গণতন্ত্রকে দৃঢ়মূল ভিত্তির ওপর দাঁড় করাবার জন্য, অনেকটা সফল হয়েছিলাম। মানুষের মাঝে আস্থা বিশ্বাস ফিরে এসেছিল। কিন্তু ১ অক্টোবরের নির্বাচন সবকিছুকে ধ্বংস করে দিল। মানুষ চরম একটি আঘাত পেল যার প্রতিফলন আমরা দেখতে পেয়েছি পুনঃনির্বাচন ও উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির হার কি হারে হ্রাস পেয়েছে তা দেখে। যদিও ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভরে ভোটার সংখ্যা বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে যা ছিল এক তরফের নির্বাচন কিন্তু মানুষের আগ্রহ ছিল না ভোট প্রদানের। আমার দুঃখটি এখানেই, যে গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার অর্থাৎ অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আন্দোলন করলাম, শত শত মানুষ রক্ত দিল, গণতন্ত্র মুক্তি পেল, আজ আবার সে গণতন্ত্র, কালো টাকা, পেশি শক্তি ও বিদেশী বেনিয়া এবং তাদের দেশি এজেন্ট অর্থাৎ বাংলার দালালদের হাতে বন্দি হয়ে গেল।

এমনি এক গ্যাস কোম্পানির এদেশীয় দালাল নাকি বলেছে যে, নির্বাচনে হারিয়েছে এখন যদি বেশি বাড়াবাড়ি করে তাহলে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে যেভাবে হত্যা করা হয়েছিল এখন আমাকেও সেভাবে শেষ করে দেবে। যেভাবে নেপালে রাজপরিবারের সকল সদস্য নিহত হয়েছে সেভাবেই ঘটনা ঘটবে ইত্যাদি।

 

(সূত্র: শেখ হাসিনা রচনা সমগ্র-১।। পৃষ্টা: ২৮১-২৮২)

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭