ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচন পর্যন্ত সরকারকে পর্যবেক্ষণ করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র-ইইউ


প্রকাশ: 13/09/2023


Thumbnail

ইউরোপের পার্লামেন্টে আজ বাংলাদেশের মানবাধিকার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। যথারীতি আলোচনায় বাংলাদেশের মানবাধিকারের বিভিন্ন প্রসঙ্গে এসেছে। বিএনপি ইউরোপের পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই বিষয়টি এজেন্ডাভুক্ত করার জন্য বিএনপির প্রবাসীরা বিশেষ করে বেলজিয়াম প্রবাসী বিএনপি নেতারা ব্যাপক কাঠখড় পুড়িয়েছেন। তবে অন্যান্য বারের মতো এবারও এই বিষয় নিয়ে শুধু আলোচনাই হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের মানবাধিকার সুরক্ষার জন্য অতীতে যেভাবে সুপারিশ করেছে বা আশাবাদ ব্যক্ত করেছে এবং আহ্বান জানিয়েছে এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। 

বাংলাদেশ নিয়ে নির্ধারিত এই বিতর্কে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রার প্রসঙ্গটিও কেউ কেউ উত্থাপন করেছেন। আর এখান থেকে স্পষ্ট হয়ে গেছে যে বাংলাদেশের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন রকম উদ্বেগ এবং অস্বস্তি থাকলেও তারা আগামী নির্বাচন পর্যন্ত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে চায়।

একই অবস্থা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উভয়ই বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক করতে চায়। এ ব্যাপারে সরকার বিশেষ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সকলকেই আশ্বস্ত করেছেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে যে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ করতে সরকার বদ্ধ পরিকর এবং এ নিয়ে কোন ব্যত্যয় হবে না। 

ঠিক একইভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মনে করে যে নির্বাচনের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র তার মনোভাব বাংলাদেশের সরকারকে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। কাজেই এই মনোভাবের যদি ব্যত্যয় ঘটে তাহলে নির্বাচনের সময় তারা ব্যবস্থা নেবে। সরকার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছে নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক হবে। তাই নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশের ওপর বড় কোনো চাপ সৃষ্টি করবে না। তবে দুটি দেশই সতর্ক নজরদারি রাখবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ভারতও কথা বলেছে এবং ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন তিনটি দেশই একটি বিষয়ে একমত। সেটি হল বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠ এবং নিরপেক্ষ হবে। 

যেহেতু সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করা হয়েছে, কাজেই সকল আন্তর্জাতিক মহলই নির্বাচন পর্যন্ত পরিস্থিতি দেখতে চায় এবং এই পরিস্থিতি কোন দিকে যাচ্ছে সে ব্যাপারে নজর দিতে চায়। আগে থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে কোনরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা বা কোন রকমের নিষেধাজ্ঞা আরোপের পক্ষে নয় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বরং মানবাধিকার, সুশাসন ইস্যুতে সরকারের যে দোষ ত্রুটি গুলো আছে সেগুলো ধরিয়ে দিতে চায়। একই রকম মনোভাব ব্যক্ত করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ফলে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর কাছে যে নালিশ বিএনপির পক্ষ থেকে করা হচ্ছে, সেই নালিশ গুলোর সুরাহা হবে আসলে আগামী নির্বাচনের পরে। 

সরকার যদি এই নির্বাচনকে আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য করতে পারে, তাহলে সরকারের ওপর যে সমস্ত বিধি নিষেধের কথা বলা হচ্ছে, সেগুলো কেটে যাবে। আর যদি নির্বাচন সুষ্ঠু না হয় তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়নের মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। তবে আপাতত নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের ব্যাপারে বড় ধরনের কোন পদক্ষেপ কেউই নিবে না।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭