ইনসাইড বাংলাদেশ

‘ইলেকশন ডিপ্লোমেসি’ এবার নিউইয়র্কে


প্রকাশ: 15/09/2023


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী রোববার জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবেন। তিনি আগামী ২২ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বাংলায় ভাষণ দেবেন। নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র এবং সরকার প্রধানের সাথেও কথা বলবেন। জো বাইডেন বিশ্ব নেতাদের জন্য যে নৈশভোজের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেখানেও শেখ হাসিনা আমন্ত্রিত হয়েছেন। সবকিছু মিলিয়ে ইলেকশন ডিপ্লোমেসির শেষ অধ্যায় মঞ্চস্থ হবে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে। 

প্রধানমন্ত্রী গত এক বছর ধরেই আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ইলেকশন ডিপ্লোমেসি করছেন প্রায় একাই। যখন তার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ব্যর্থ এবং বিভিন্ন দূতাবাসগুলো সীমাহীন দায়িত্বহীনতা এবং অযোগ্যতার পরিচয় দিচ্ছে তখন সমস্ত দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে তিনি এদেশ থেকে ওদেশ ছুটে বেড়াচ্ছেন। যার ফলে বাংলাদেশের নেতিবাচক ভাবমূর্তি অনেকটাই কাটিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে।

কূটনীতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে, গত কয়েক বছর ধরে লাগাতার আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার করা হয়েছে। বিএনপি-জামাতের লবিস্ট এবং কিছু সুশীল বুদ্ধিজীবীরা সরকারের বিরুদ্ধে গোয়েবলসীয় মিথ্যাচার করে এমন একটি অবস্থা তৈরি করেছে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো এ ব্যাপারে একেবারেই বিভ্রান্তিকর তথ্য পাচ্ছে। যার ফলে পাল্টা কূটনীতি না থাকায় তারা বাংলাদেশ সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা গ্রহণ করছে। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন যে, যখন র‌্যাবের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা দেয় সেই সময় ওয়াশিংটনে বাংলাদেশ দূতাবাস কি করেছে? আবার একইভাবে প্রশ্ন উঠে যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে যে আলোচনা হল সেখানে ব্রাসেলসে  বাংলাদেশের দূতাবাসের ভূমিকা কতটুকু যোগ্যতা সম্পন্ন ছিল তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এরকম দেশে দেশে পেশাদার ডিপ্লোমারা তাদের হাত-পা গুটিয়ে শুধুমাত্র রুটিন দায়িত্ব পালন করছেন। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছেন এবং তিনি বিভিন্ন সরকার এবং রাষ্ট্রপ্রধানের কাছে বাংলাদেশের আসল চেহারাটা পরিষ্কার করে দিচ্ছেন। ব্রিকসের সম্মেলনে তিনি আলো ছড়িয়েছেন এবং সেখানে বিশ্ব নেতাদের কাছে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প শুনিয়েছেন। আগামী বাংলাদেশের গণতন্ত্রের অভিযাত্রা এবং শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের যে সংস্কৃতি চালু হয়েছে সে সম্পর্কেও তিনি আলোকপাত করেছেন। 

ব্রিকসের পরই তিনি ছুটে যান দিল্লিতে। সেখানে জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে তিনি আলাপ-আলোচনা করেন। বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং গণতন্ত্র নিয়ে তিনি কথাবার্তা বলেন। অনেক বিশ্ব নেতারই বাংলাদেশ সম্পর্কে যে ভ্রান্ত ধারণা ছিল সেই ধারণা গুলো এখন কাটতে শুরু করেছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইলেকশন ডিপ্লোমেসির কারণে। আর এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যাচ্ছেন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে। ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনের আগে বিশ্ব নেতাদের সাথে এটাই শেখ হাসিনার শেষ  দেখা সাক্ষাতের সুযোগ সুযোগ। এখানে তিনি যতটা পারেন বাংলাদেশের উন্নয়ন-অভিযাত্রা এবং গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের বর্তমান সরকারের অঙ্গীকারের বিষয়টি তুলে ধরবেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বাংলাদেশের নির্বাচন এবং গণতন্ত্র নিয়ে বিভ্রান্তিকর ধারণা গুলো পেয়েছে সে বিভ্রান্তি গুলো দূর করার চেষ্টা করবে। শেখ হাসিনার এবারের ইলেকশন ডিপ্লোমেসির ওপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচনের পথ রেখার শেষাংশ।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭