এডিটর’স মাইন্ড

পুলিশ-আমলা এবং প্রজাতন্ত্রের মালিকানা


প্রকাশ: 15/09/2023


Thumbnail

বাড়ীতে আরাম আয়েশের জন্য আপনি চাকর-বাকর রাখলেন। স্বস্তিতে থাকতে নিয়োগ দিলেন ড্রাইভার, দারোয়ান। ক্রমশ: আপনি তাদের উপর নির্ভরশীল হয়ে উঠলেন। চাকর-বাকররাই ঠিক করা শুরু করলো আপনি কি খাবেন। কোন পোষাক পরবেন। ড্রাইভার যে পথ দিয়ে আপনাকে নিয়ে যায়, আপনি সে পথেই যাতায়াত শুরু করলেন। নিজের পছন্দের রাস্তাও আপনি ভুলে গেলেন। আপনার সাথে কে দেখা করবে না করবে, সেই সিদ্ধান্তের দায়িত্বও বাড়ীর দারোয়ানের কাছে চলে গেল আপনার অগোচরে। এক সময় দেখা গেল আপনি চাকর-ড্রাইভার-দারোয়ানের উপরই পুরোপুরি নির্ভরশীল। তাদের ছাড়া আপনি কিছুই করতে পারছেন না। চলতে ফিরতেও পারছেন না। এই সুযোগে তারাই যেন বাড়ীর মালিকানা নিয়ে নিলো। অবস্থা এমন দাড়ালো যে, তারা যা বলে আপনি সেটা করতে বাধ্য। এরা আবার নিজেরা নিজেরা মারামারি করে, ঝগড়া করে। একজন আরেকজনের বউয়ের সঙ্গে পরকীয়া করে। আপনি নীরবে সব সহ্য করেন। এক সময় আপনি তাদের হাতে জিম্মী হয়ে গেলেন। চাকর-বাকর-দারোয়ান-ড্রাইভাররাই বাড়ী মালিক হয়ে গেল। তাদের কথায় আপনাকে চলতে হয়। তাদের ইচ্ছায় আপনাকে সবকিছু করতে হয়। বাংলাদেশকে যদি একটা পরিবারের সঙ্গে তুলনা করি, তাহলে ইদানিং প্রায়ই মনে হয় আমরা সম্ভবত ঐ পরিবারের মতোই একটা পরিস্থিতির মধ্যে বসবাস করছি। 

সংবিধান অনুযায়ী এই ‘প্রজাতন্ত্রের মালিক’ জনগণ। আর সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন আমাদের সেবক। সোজা সাপটা কথায় চাকর। কিন্তু স্বাধীনতার পর আস্তে আস্তে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরাই (চাকর-বাকর) মালিকদের উপর ছড়ি ঘোরাচ্ছে। গত ৫/৭ বছরে এখন দেশের অবস্থা এমন জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছে, যে জনগণ যেন এই রাষ্ট্রে সবচেয়ে মূল্যহীন। আমলা এবং পুলিশরাই দন্ডমুন্ডের কর্তা। একজন পিচ্চি সরকারী কর্মকর্তাও যে ভাষায় জনগণের সাথে কথা বলে, তা অগ্রহণযোগ্য। এখন জনগণ যদি ডিসি বা আমলাদের স্যার না বলে তাহলে তা বিশাল অপরাধ। বড় আমলারা রাজনীতিবিদ, জনপ্রতিনিধিদের জ্ঞান দেন। শাসন করেন। মাঝারি আমলারা নির্বাচনে কিভাবে জিততে হবে তার ফর্মূলা দেন। প্রশাসনিক সরকারী কর্মকর্তারা যদি এভাবে ক্ষমতাবান হয়ে ওঠেন, তাহলে পুলিশ প্রশাসন কি বসে বসে তামাশা দেখবে? পুলিশও শুরু করে বাড়াবাড়ি, খবরদারি। যারা ক্ষমতায় আছেন, তাদের কয়েকজনের মধ্যে দুষ্ট বুদ্ধি মাথায় চাপে। তারা ভাবে, নির্বাচনে এতো কষ্ট করার কি দরকার?  এতো টাকা পয়সা খরচ করে ভোটের অনিশ্চয়তার ঝুঁকি নিয়ে লাভ কি? তার চেয়ে ডিসি, ওসি, এসপিদের ম্যানেজ করলেই তো সব মুশকিল আসান হয়। ডিসি এবং আমলারা নির্বাচনের জয় নিশ্চিত করবে। আর পুলিশ ডান্ডা মেরে প্রতিপক্ষকে ঠান্ডা করে দেবে। সুযোগটা প্রথম আসে ২০১৪ সালে। যখন বিএনপি নির্বাচন বর্জন করে। আওয়ামী লীগের অনেকে ভাবেন এই নির্বাচন তো রিহার্সেল। কদিন পরেই আসল নির্বাচন হবে। সবার স্মৃতিতে ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন। একতরফা নির্বাচন করে বিএনপি তখন টিকতে পারেনি। আওয়ামী লীগের নেতাদের ধারনা ছিলো ৫ জানুয়ারির (২০১৪) নির্বাচনের পর খুব জলদি আরেকটি নির্বাচন হবে। তাই এই রিহার্সেলে শক্তি ক্ষয়ে রাজী ছিলেন না অনেক প্রার্থী। তারা আমলাদের দারস্ত হলেন। যেকোন সমস্যা সমাধানে আমলাদের নিজস্ব অভিনব উপায় আছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার এবং নির্বাচনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আমলারা বিদ্রোহী অন্য দলের এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মনোনয়ন বাতিলের অভিযান শুরু করলেন। এই কর্মযজ্ঞে যুক্ত হলেন মাঠে দায়িত্বে থাকা পুলিশের কর্তারাও। ব্যস আওয়ামী লীগের প্রার্থীর বাইরে সব প্রার্থী নির্মূল অভিযান শুরু হলো। অর্ধেকের বেশি আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন। আমলা ও পুলিশ মিলে নির্বাচনের ঐ সর্বনাশ করেছিল। অথচ ঐ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা যদি অংশগ্রহণ করতো, তাহলে নির্বাচনের এই সর্বনাশ হতো না। এখান থেকেই আমলা এবং পুলিশের বাড়বাড়ন্ত শুরু হয়। আমলা এবং পুলিশ কর্তারা অতিশয় চালাক। রাজনীতির হাওয়া তারা খুব ভালো বোঝেন। ২০১৪’র নির্বাচনের পর দেশের চাকর-বাকররা ঠিকই বুঝে গেল, বাড়ীর মালিকানা পরিবর্তন হচ্ছে না। বিরোধী আন্দোলন মুখ থুবড়ে পরলো। পুলিশও কোথাও কোথাও ডান্ডা মেরে বিএনপিকে ঠান্ডা করে দিলো। এবার আমলা এবং পুলিশ সম্মিলিত ভাবে আওয়ামী লীগ হবার প্রতিযোগিতায় নামলো। কে বড় আওয়ামী লীগার, এটা প্রমাণের জন্য পুলিশের কেউ বিএনপির নামে নিত্য নতুন মামলা দেয়। কেউ আবার পিটিয়ে শায়েস্তা করে। আমলারা শুরু করে চাটুকারিতা। ‘বঙ্গবন্ধু প্রেমিকে’র বাম্পার ফলন হয় প্রশাসনে। এভাবে আমলা এবং পুলিশ সরকারের উপর প্রভাব বিস্তার শুরু করে। সরকারের মধ্যে কিছু কিছু মানুষ দেখেন ভালোই তো। পুলিশ আর আমলা থাকলে তো অনেক সুবিধা। বিরোধী আন্দোলনের চাপ নেই। নেতা-কর্মীদের ভীড় নেই। আমলাদের অর্থ আহরন পদ্ধতিও চুপচাপ, নিরুপদ্রপ। কাঁদা ঘেঁটে কেলেংকারীর কি দরকার। আমলার কাঁধে ভারটা দিয়ে আয়েশের সুখী, শঙ্কাহীন জীবনে আচ্ছন্ন হন, আওয়ামী লীগের অনেকে। ‘সচিব সাহেব, নির্বাচন তো সামনে টাকা পাবো কোথায়।’ ‘চিন্তা নেই স্যার, এই ফাইলে সই দিন, টাকা পৌঁছে যাবে বাসায়।’ আধা পেট ভাত আর পুলিশের পিটুনী খেয়ে জীবন কাটানো আওয়ামী লীগের নেতা দেখলেন প্যাকেট ভর্তি চকচকে নতুন টাকা। কেউ জানলো না। নতুন টাকার ঘ্রাণ কি চমৎকার। ‘সচিব মহোদয়ের বুদ্ধি আছে। আহ্ কি ভালো মানুষ।’ অনেকদিন পর ‘পোড়খাওয়া’ আওয়ামী লীগ নেতার দুপুরে ‘ভাত ঘুম’ হয়। মন্ত্রণালয়ের এতো সব ঝুট-ঝামেলা কি আর এই বয়সে সহ্য হয়। মন্ত্রী মহোদয় মন্ত্রণালয়ের চাবি তুলে দেন আমলা শিরোমনির হাতে। ‘আপনিই (সচিব) তো পার্মানেন্ট, আমি তো মন্ত্রণালয়ে কয়েকদিনের গেস্ট।’ চাকর বনে যান প্রভু। মন্ত্রীর কাছে রাজনৈতিক কর্মীরা আসে। ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলায় স্প্রিন্টারে বিদ্ধ নেতা আসে। বিএনপি-জামায়াতের তান্ডবে পা হারানো কর্মী আসে। কেউ চাকরী চায়, কেউ ছোট খাট ব্যবসা চায়। টেন্ডারে ন্যায্যতা চায়। মন্ত্রী বলেন ‘মন্ত্রীর কথায় কি আর কাজ হয়। সচিবদের জন্যই তো সচিবালয়।’ সচিব সাহেব মুচকি মুচকি হাসেন। সততার আবরনে তিনি বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েন। ছেলে মেয়ে বিদেশে পড়ে। স্ত্রীও যায় সঙ্গে। সেখানে বাড়ীঘর না হলে কি করে চলে? দারুন সৎ সচিব মন্ত্রীকে দেন সিকি আধুলি। ডলার চলে যায় বিদেশে নির্দিষ্ট ব্যাংক একাউন্টে। ‘ব্যাচেলর’ সচিবের সাদা সিধে জীবন। মুখে জয় বাংলা, বঙ্গবন্ধু। বিদেশে স্ত্রী, পুত্র। সেখানে ডলারের অবারিত প্রবাহ। এভাবেই আমলারা পুরো কর্তৃত্ব দখল করে। আমলা এবং পুলিশের ক্ষমতার পরিধি বাড়তে থাকে। এক সময়ে আবার দেশে নির্বাচনের দামামা বাজে। বিএনপি এবার নির্বাচনে আসে অস্তীত্বের প্রয়োজনে। বিএনপি নিজেরাও জানতো এই নির্বাচনে তাদের জয়ের সম্ভাবনা নেই। ক্ষমতায় যাওয়ারও সম্ভাবনা নেই। পৃথিবীর শুদ্ধতম নির্বাচন হলেও ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হতো। এতে রাজনীতির জয় হতো। গণতন্ত্র শক্তিশালী হতো। রাষ্ট্র ক্ষমতা ভোগ দখলের যে আয়োজন আমলা এবং পুলিশ মিলে করেছিল, তা লন্ডভন্ড হয়ে যেত। তাই আমলারা নতুন ফন্দি আঁটে। পুরো নির্বাচনকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে। আওয়ামী লীগ জয়ী হয়েও অনুশোচনায় ভোগে। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমলা এবং পুলিশ মিলে গণতন্ত্রের সর্বনাশ করে। ভোটের এক অভিনব সংস্করণ অবিস্কার হয় ২০১৮’র নির্বাচনে। এর ফলে আওয়ামী লীগকে ‘ব্লাক মেইল’ করার সুযোগ পায়। ২০১৮ সালের নির্বাচন আসলে একটি ‘প্রশাসনিক ক্যু’। যার মাধ্যমে গণতন্ত্রের বদলে দেশে ‘আমলাতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠিত হয়। সচিবালয়ের রাজত্বতো আমলাদের আগে থেকেই ছিলো। এবার তৃণমূলেও ছড়িয়ে দেয়া হয় আমলা শাসনের ফরমান। জেলার রাজা হন ডিসি। পাড়ার রাজা ওসি। এমপিদের হটিয়ে জেলার দায়িত্ব পান সচিবরা। ডিসিরা হয়ে ওঠেন সর্বেসর্বা। এমপি জনপ্রতিনিধিদের শুরু হয় উপেক্ষা। বেশ কজন জনপ্রতিনিধি জাতীয় সংসদে কান্নাকাঠি করে বলতে শুরু করনে, ডিসি এসপিরা ফোন পর্যন্ত ধরেন না। ডিসি এসপিরাও মুচকি হেসে বলেন ‘কিসের জনপ্রতিনিধি, উনি কি নির্বাচিত!’ ব্যস এভাবেই সারাদেশে রাজত্ব কায়েম হয় চাকর-দারোয়ানদের। সবক্ষেত্রে তাদের দায় মুক্তি। বিচারের ঊর্ধ্বে তারা। আমলারা নারী কেলেংকারী করলে শাস্তি হলো ‘ছিঃ দুষ্ট।’ দূর্নীতি করলে তাদের বলা হয় ‘আর করবে না কেমন।’ তাদের বিচার নেই, গ্রেপ্তার করা আইনত: নিষিদ্ধ। ব্যস শুরু হয় স্বেচ্ছচারিতা। এরা এখন কাউকে মানে না। কোন নিয়মনীতিরও তোয়াক্কা করে না। এদের জন্য দেশের আইনও প্রযোজ্য নয়। এরা জানে এদের কেউ কিছু বলতে পারবে না। এদের কেউ কেউ ইদানিং প্রকাশ্যেই বলে ‘আমরাই তো আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনেছি।’ এদের সাথে সুর মিলিয়ে বিএনপির অনেক নেতারাও একই ভাষায় কথা বলে। আমলা-পুলিশের অনেক কর্তাই ইদানিং মনে করেন, এই দেশটার তারাই রাজা। জনগণ প্রজা। তাদের এই ভাবনার একটা খন্ড চিত্র দেখা গেল সম্প্রতি।

ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকে পুলিশ কর্মকর্তা একটি থানায় নিয়ে গিয়ে বেধড়ক পেটালেন। নির্মম, নৃশংসতায় পুরো দেশ কেঁপে উঠলো। আমার খুব সহজ সরল প্রশ্ন। পুলিশ কি কোন নাগরিককে থানায় নিয়ে গিয়ে এভাবে পেটাতে পারে? এই কাজ যদি কোন নাগরিক করতো, তার কি হতো? তাকে গ্রেপ্তার না করে কি তার বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠিত হতো? এখন এই ঘটনা কেন ঘটেছে তার উৎসের সন্ধান শুরু হয়েছে। বলা হচ্ছে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বারডেম হাসপাতালে। একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে কেন্দ্র করে। ঐ নারী পুলিশ কর্মকর্তার স্বামী আবার একজন পুঁচকে আমলা। রাষ্ট্রপতির এপিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি তার স্ত্রীর ‘পরকীয়া’ আবিস্কারের জন্য বারডেম হাসপাতালে সঙ্গী সাথী নিয়ে ছুটে যান। সেখানে কথিত স্ত্রীর প্রেমিককেও কিল ঘুষি দিয়েছেন বলে তার স্ত্রীই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। কি সাংঘাতিক। রাষ্ট্রপতির এপিএস পদে কি তাহলে এখন ‘মাস্তান’দের পদায়ন করা হয়? একজন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা কি আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেন? আমি যখন লিখছি, তখন পর্যন্ত ঐ শিশু আমলার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বারডেমের ঘটনা যেমন আইনের লঙ্ঘন। বেপরোয়া আমলাতন্ত্রের প্রামাণ্য চিত্র। ঠিক তেমনি, শাহবাগে তিন তরুণকে (ছাত্রলীগ নেতা) প্রহারও পুলিশের কিছু কর্মকর্তারা যে লাগাম ছাড়া হয়ে ওঠেছে, তার প্রমাণ। এটাও ফৌজদারী অপরাধ। আমি মনে করি, দুটি ঘটনাই জঘন্য, গর্হিত। অনতি বিলম্বে অপরাধীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। মাস্তানি করা, আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার লাইসেন্স এই রাষ্ট্র কাউকেই দেয়নি। গত ১০ বছর ধরে আমলা এবং পুলিশ যেভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে, তাদের নিয়ন্ত্রণে আনার সময় এখনই। নির্মোহ এবং পক্ষপাতহীন ভাবে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে প্রমাণিত হবে, পুলিশ-আমলারাই দেশের রাজা। জনগণ শুধু ‘বেচারা’।


সৈয়দ বোরহান কবীর, নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত
ই-মেইল: poriprekkhit@yahoo.com


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭