দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বেগম খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন সরকারের বিভিন্ন মহল এবং এ নিয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকদের সাথেও কথা বলছেন তারা। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থার যদি বেশি গুরুতর অবনতি হয় তাহলে এর সম্ভাব্য রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া কি হতে পারে সেই বিষয়টিও পর্যালোচনা করছে সরকার। এ রকম বাস্তবতায় বেগম জিয়ার ব্যাপারে একটি নাটকীয় সদ্ধান্ত নিতে পারে সরকার।
সরকারের একটি দায়িত্বশীল সূত্র থেকে জানা গেছে, এ রকম পরিস্থিতিতে বেগম জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে তারা চিন্তা ভাবনা করছে। তবে কোনোভাবেই তাকে লন্ডনে যাওয়ার অনুমতি দেয়া হবে না। বেগম জিয়ার চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর কিংবা দুবাই যাওয়ার অনুমতি দেয়ার কথা ভাবছে তারা। তবে এ ব্যাপারে তারা এখনও কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছোতে পারেনি।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি সরকার নিজের মত করে খতিয়ে দেখছে। তার অবস্থা আসলেই কতটা গুরুতর এবং সামনে আরও খারাপ হতে পারে কিনা এসব বিষয়গুলো তারা বোঝার চেষ্টা করছে। সবকিছু পর্যবেক্ষন করে হয়তো বেগম জিয়ার ব্যাপারে কোন নাটকীয় সদ্ধান্ত আসতে পারে সরকারের পক্ষে থেকে।
উল্লেখ্য যে, ৭৮ বছর বয়সী বেগম খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি।গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
রোববার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের কেবিন থেকে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) স্থানান্তর করা হয়। পরদিন তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে তাকে করোনারি কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এ মুহুর্তে চিকিৎসকদের সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি।