ইনসাইড আর্টিকেল

বিশ্ব নেতার সংক্ষিপ্ত তালিকায় শেখ হাসিনা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: 15/03/2018


Thumbnail

সমাজতন্ত্রের পতনের পর, বিশ্বের নেতা মানেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বারাক ওবামা পর্যন্ত এই রীতি মানতো বিশ্ব। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হবার পর এটা মানতে রাজি নয় বিশ্ব। এই মুহূর্তে বিশ্ব নেতা কে? এই প্রশ্নের উত্তরে বিভক্ত রাজনীতি বিষয়ে গবেষকরা। তাঁদের ভোটে সবচেয়ে বেশি এগিয়ে আছেন অ্যাঙ্গেলা মেরকেল। তবে, বিশ্ব নেতার তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিশ্বের খ্যাতিমান ১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনীতি ও সরকার বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করেছেন এমন ১০০জন শিক্ষার্থীদের মতামতের ভিত্তিতে এই তালিকা তৈরি করেছে গবেষণা সংস্থা পিপলস অ্যান্ড পলিটিক্স।

১২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে আছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়,স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, ইয়েল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব শিকাগো, জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি, বোস্টন ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গ, ইউনিভার্সিটি অব মিউনিখ এবং ইউনিভার্সিটি অব টোকিও।

মূলত, ৫টি বিষয় বিবেচেনা করে বিশ্বনেতা নির্বাচন করা হয়। এগুলো ১. বিশ্বশান্তি ও কল্যানকামীতার কথা ওই সরকার বা রাষ্ট্রপ্রধান কতটা ভাবেন। ২. তাঁর নীতি এবং কাজ কীভাবে বিশ্বকে ইতিবাচক ধারায় নিতে প্রভাবিত করে। ৩. একটি সুনির্দিষ্ট কাজ যা বিশ্বকে সরাসরি উপকৃত করেছে। ৪. বিশ্বের অন্যান্য দেশের নেতাদের তিনি কতটা প্রভাবিত করতে পারেন এবং ৫. তার গৃহীত কর্মের দীর্ঘস্থায়ী ইতিবাচক প্রভাব কেমন। প্রতিটি বিষয়ে ২০ নম্বর সর্বোচ্চ। ৫টি বিষয়ে সর্বোচ্চ নম্বর ১০০। তবে এই গবেষণায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা শুধু নম্বর দিয়েই দায়িত্ব শেষ করতে পারেন না, তাদের পয়েন্ট দেয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখ্যা করতে হবে ২৫০ শব্দের মধ্যে। তবে, একক ভাবে বিশ্বনেতা বিবেচনায় একজন নেতাকে অন্তত ৮০ নম্বর পেতে হবে। কিন্তু ২০১৭ সালের জন্য বিশ্বের কোনো নেতাই ৮০ নম্বর পাননি। এর আগে ২০১৫ এবং ২০১৬ দুই বছরই মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা যথাক্রমে ৯৩ এবং ৮৫ নম্বর পেয়ে একক বিশ্বনেতা বিবেচিত হয়েছিলেন। বিদায়ী বছরে কেউ ৮০ বা ততধিক নম্বর না পাওয়ায় বিশ্বনেতার ৫ সদস্যের যোগ্যতমদের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে। এই প্যানেলে আছেন; ১. অ্যাঙ্গেলা মেরকেল, চ্যান্সেলর জার্মানি। মেরকেল পেয়েছেন ৬৭ নম্বর। ২. চীনের প্রেসিডেন্ট, শি জিনপিং, তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ৬৫। ৩. রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তিনি পেয়েছেন ৫৭। ৪. পোপ ফ্রান্সিস, ফ্রান্সিস পেয়েছেন ৫২ নম্বর। আর পঞ্চম হয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি পেয়েছেন ৫০ নম্বর।

অ্যাঙ্গেলা মেরকেল যারা পছন্দ করেছেন বিশ্ব নেতা হিসেবে, তাদের বক্তব্য হলো, ‘বিশ্বে এখনো তিনি উদারনৈতিক গণতন্ত্রকে লালন করেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নকে টিকিয়ে রাখার ক্ষেত্রেও বড় ভূমিকা পালন করেছেন।’ চীনের প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে ভোট দানকারী গবেষকরা বলেছেন,’দরিদ্র দেশগুলোর জন্য তিনি ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। চীনের অর্থনৈতিক শক্তিকে বৈশ্বিক উন্নয়নে ব্যবহার করছেন। তৃতীয় স্থানে থাকা পুতিন সম্পর্কে মন্তব্য করা হয়েছে, বিশ্ব শান্তির জন্য ‘ব্যালেন্স অব পাওয়ার’ তৈরি করেছেন।‘ পোপ ফ্রান্সিসকে বলা হয়েছে ‘তিনি বিশ্বের শান্তির বার্তা আরও জোড়ালো ভাবে উপস্থাপন করছেন। মানবতার প্রশ্নে তিনি কথা বলতে পিছপা নন।’আর তালিকায় পঞ্চমে থাকা বাংলাদেশর প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে বলা হয়েছে, ‘ছোট দেশের বড় নেতা।’গবেষকরা বলছেন, ’তিনি বিশ্ব শান্তির জন্য যে জনগণের ক্ষমতায়ন’ শান্তিদর্শন দিয়েছেন, তা বিশ্বের জন্য একটি চমৎকার বার্তা।’ তিনি বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় কতটা আন্তরিক তার প্রমাণ সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা ইস্যু। বাংলাদেশকে এক নতুন উচ্চতায় এগিয়ে নিয়ে তিনি দরিদ্রক্লিষ্ট দেশগুলোর সত্যিকারের অনুকরণীয় নেতায় পরিণত হয়েছেন, যাঁরাই পৃথিবীর সংখ্যাগরিষ্ঠ। গবেষণায় বলা হয়েছে, মুসলিম বিশ্ব যখন নানাভাবে বিতর্কিত তখন তিনি প্রগতির ইসলামের এক নতুন বাংলাদেশকে বিশ্বের সামনে উপস্থাপন করেছেন।



Read In English: http://bit.ly/2FL0ELr


বাংলা ইনসাইডার/জেডএ




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭