ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে সম্পর্ক ছিন্ন হলে ধর্ষণ নয় : এলাহাবাদ হাইকোর্ট


প্রকাশ: 22/09/2023


Thumbnail

দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে প্রচুর ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়ে এসেছে এতদিন। কিন্তু বর্তমানে তা ধর্ষণ বলে গণ্য হবে না বলে পর্যবেক্ষণ দিয়েছেন ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্ট। উভয়ের সম্মতিতে এ ধরনের সম্পর্ককে কখনোই ধর্ষণ বলা যাবে না বলে মনে করেছেন এ আদালতের বিচারপতি অনীশ কুমার গুপ্তা।

এক মামলা সূত্রে জানা গেছে, প্রেমিকার সম্মতিতেই দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন প্রেমিক। দিয়েছিলেন বিয়ের প্রতিশ্রুতিও। তবে একসময় প্রেমিকাকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানান তিনি। এরপর ধর্ষণের অভিযোগ করে ভারতের এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন প্রেমিকা।

৮ বছরের বেশি সময় ধরে ঐ নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত ছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রেমিকা তাকে প্রায়ই বিয়ের জন্য চাপ দিতেন। সম্প্রতি কোনো এক কারণে তাকে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে ঐ প্রেমিকাও তার ওপর ধর্ষণের অভিযোগ করে দেশটির এলাহাবাদ হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন।

তবে তার মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়ে এলাহাবাদ হাইকোর্টের সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতি অনীশ কুমার গুপ্তা জানান, দীর্ঘ শারীরিক সম্পর্কের পরও কেউ যদি বিয়ে করতে অসম্মত হন তাহলে তা ধর্ষণ বল বিবেচিত হবে না। এখানে এটা স্পষ্ট যে, তার বিয়ের প্রতিশ্রুতি মিথ্যা ছিল না। কিন্তু পরবর্তী ঘটনাবলীর কোনো কারণে, প্রেমিক ভুক্তভোগীকে বিয়ে করতে অস্বীকার করেন।

গত আগস্ট মাসে ধর্ষণ সংক্রান্ত অনুরূপ একটি রায় দিয়েছিলেন দেশটির কর্নাটক হাইকোর্ট। ঐ মামলা অনুসারে, ২০১৯ সাল থেকে প্রেমিক ও প্রেমিকার মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক ছিল। যা তৈরি হয়েছিল উভয়ের সম্মতিতেই। এ ধরনের সম্পর্ককে কখনই ধর্ষণ বলা যাবে না বলে মামলার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছিলেন বিচারপতি এম নাগাপ্রসন্ন।

ধর্ষণের অভিযোগ করে কর্নাটক হাইকোর্টে দায়ের করা পিটিশনে আবেনদকারী নারী জানিয়েছিলেন, ২০১৩ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। আবেদনকারীর বাড়ির কাছেই থাকতেন ওই যুবক। প্রেমিক ভালো রান্না করতে পারতেন। আর ভালো রান্নার খাতিরে তিনি ওই নারীকে প্রায়ই বাসায় দাওয়াত দিতেন। এমনকি এসময় তারা বিয়ারও পান করতেন। এরপর দুজনের সম্মতিতেই হতো শারীরিক সম্পর্ক। এভাবে প্রায় ৬ বছর ধরে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত থাকার পর ওই নারীকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানান যুবক। এ ঘটনায় কর্নাটক হাইকোর্টে ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন ওই নারী।

সূত্র: এফকে



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭