প্রকাশ: 22/09/2023
মিরপুরের
ঢাকা কমার্স কলেজ সংলগ্ন ঝিলপাড়
বস্তির সামনের রাস্তায় জমে থাকা পানিতে
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গেছে
একই পরিবারের তিনজনসহ চারজনের। অলৌকিকভাবে বেঁচে গেছে পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ
সদস্য ৭ মাসের শিশু
হোসাইন।
শনিবার(২২ সেপ্টেম্বর
) সকালে শিশু হোসাইনকে নিয়ে
মিরপুর মডেল থানায় আসেন
আমেনা বেগম নামে এক
নারী। সেখানে তিনি শিশু হোসাইনের
বেঁচে যাওয়া ঘটনার বর্ণনা করেন ।
তিনি
বলেন, হোসাইনের মা যখন পানিতে
পড়ে যায় তখন, হোসাইন
মায়ের কোল থেকে ছিটকে
পড়ে যায় পানিতে। এ
সময় অনিক সঙ্গে সঙ্গে
এসে হোসাইনকে পানি থেকে তুলে
আমার কোলে দেয়। পরে
আমি তাকে আমার বাসায়
নিয়ে প্রথমে শরীরে গরম তেল দেই।
এরপর তাকে নিয়ে যায়
প্রথমে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখান
থেকে ডাক্তার হোসাইনকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে।
রাতে তাকে সেখানে নিয়ে
যায়, চিকিৎসার পর সকালে ডাক্তার
বলে হোসাইন এখন সুস্থ, তাকে
বাসায় নিয়ে যাওয়ার জন্য।
পরে আমি জানতে পারি
হোসাইনের দাদা ও নানা
মিরপুর মডেল থানায় আছে,
তখন আমি এখানে আসি।
আমেনা
বেগম আরও বলেন, হোসাইনকে
অনিকের মাধ্যমে আল্লাহ বাঁচিয়েছেন। না হলে একই
ঘটনায় তার মা-বাবা
ও বোন এবং অনিক
মারা গেছে, তার তো বাঁচার
কথা ছিল না। এখন
হোসাইনকে কোলে নেওয়ার বা দেখাশোনার
লোক নেই। হোসাইনের নানা
ও দাদা তার মা,
বাবা ও বোনের মরদেহ
নেওয়ার জন্য থানা ও
হাসপাতালে দৌড়াদৌড়ি করছে। তাই আমি তাকে
আপাতত দেখাশোনা করছি৷ তাদের কাজ শেষ হলে
আমি হোসাইনকে তার নানা ও
দাদার কাছে বুঝিয়ে দেব।
গতকাল
রাতে ওই রাস্তায় জমে
থাকা পানির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলেন মিজান
(৩০) ও তার স্ত্রী
মুক্তা বেগম (২৫)। সঙ্গে
ছিল মেয়ে লিমা (৭)
ও ছেলে হোসাইন। হঠাৎ
করে তারা পড়ে গেলে
তাদের তুলতে এগিয়ে আসেন অনিক নামে
একজন অটোরিকশাচালক। হোসাইনকে তিনি পানি থেকে
তুলে দিতে পারলেও লিমাকে
তুলতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে
তিনিও চলে গেছেন না
ফেরার দেশে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭