কালার ইনসাইড

জিডির বিষয়ে নিয়ে এবার মুখ খুললেন অপু বিশ্বাস


প্রকাশ: 22/09/2023


Thumbnail

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও তার অ্যাডমিন জাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে হাতিরঝিল থানায়, ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক করে বন্ধ করার অভিযোগ দিয়ে প্রযোজক সিমি ইসলাম কলি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

বিষয়টি নিয়ে অপু বিশ্বাসের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বাংলাইনসাইডারকে বলেন, ‘আবেদনকারী তো আমার যোগ্যই নয়। তাঁর সম্পর্কে কী বলব? আমার অ্যাডমিনের যোগ্যতার কাতারে সে। তাই আমার অ্যাডমিনই বিষয়টি দেখছেন। আমার  চ্যানেলের কনটেন্ট চুরি করে তিনিই আবার আমাদের বিরুদ্ধে জিডি করেন। এটি হাস্যকর। তাঁর চ্যানেল তো সাসপেন্ড করেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ। এখানে আমাদের কী?’

অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘শুনেছি, আমাকে হেয় করে কথা বলেন তিনি। ওনার কী যোগ্যতা আছে আমাকে নিয়ে কথা বলার? কোথায় আগরতলা, কোথায় চৌকির তলা! এসব মানুষের জন্যই তো আমাদের চলচ্চিত্রের এই দুর্দশা। আমাকে বলা হয়, আমি নাকি ফিতা কাটি নায়িকা। আরে যোগ্যদেরই তো এ ধরনের অনুষ্ঠানে ডাকা হয়। তারকা ভ্যালুর কারণেই আমাদের মতো তারকাদের দিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হয়। দেখেন না, ক্রিকেটের বড় বড় তারকাকেও নতুন প্রতিষ্ঠানে উদ্বোধন, ফিতা কাটতে ডাকা হয়।’

অপু বিশ্বাস প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘তাহলে তাঁকে ডাকে না কেন? কারণ, ওনার সেই যোগ্যতা নেই। আমাকে নিয়ে কথা বলার সাহস তাঁকে কে দিয়েছে?’ অপু জানান, মাস দেড়েক আগের ঘটনা। ‘অপু বিশ্বাস’ ও ‘অপু বিশ্বাস অফিশিয়াল’ থেকে দুটি কনটেন্ট হুবহু কপি করে ‘এসকে ফিল্মস ইন্টারন্যাশনাল’ নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার করা হচ্ছে। পরে জানতে পারেন, এই চ্যানেলের মালিক সিমি ইসলাম কলি। তিনি নাকি প্রযোজক ও নায়িকা। আগে তাঁকে চিনতেন না অপু। তিনি বলেন, ‘যেহেতু আমাদের চ্যানেলের কনটেন্ট আমি নিয়ম করে একটা স্ট্রাইক মারি। এর তিন–চার দিন পর দেখি, আরও তিন-চারটি  ভিডিও তাঁর চ্যানেলে চালাচ্ছে। পরে আমি আরও স্ট্রাইক মারি। এরপর ইউটিউব টিম যাচাই–বাছাই করে ওনার চ্যানেল থেকে আমার ভিডিওগুলো সরিয়েছে ফেলে।

এদিকে অপু বিশ্বাসের অ্যাডমিন জাহিদুল ইসলাম বলেন  সিমি ইসলাম কলি আমাকে ফোন দিয়ে বলেন, “তুই কি আমার চ্যানেল স্ট্রাইক দিয়েছিস? তুই আমার চ্যানেলে স্ট্রাইক দেওয়ার কারণে আমার চ্যানেল বাদ হয়ে গেছে।” আমি ( জাহিদুল ইসলাম)  বললাম, আপু, স্ট্রাইক খেলে তো চ্যানেল বাদ হবেই। আপনি অন্য চ্যানেল থেকে ভিডিও কপি করে চালাচ্ছেন। আপনি অনুমতি নিয়েছেন? তখন তিনি বলেন, “আমি প্রযোজক, আমি নায়িকার ভিডিও চালাতেই পারি। অনুমতি নিতে হবে কেন?” তখন আমি বলি, না, ইউটিউবে এ ধরনের কোনো রুল নেই যে প্রযোজক নায়িকার ভিডিও ব্যবহার করলে কোনো ক্ষতি হবে না। এই ফুটেজ তো আপনার কোনো সিনেমার নয়। ফুটেজগুলো অপু বিশ্বাসের সন্তান আব্রামের ও পরীমনির ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানের। আপনি অনুমতি ছাড়া ভিডিও ব্যবহার করেছেন, আমি স্ট্রাইক দিয়েছি। এখন আপনি ইউটিউব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। এরপরও তিনি বলেন, “আমি এত কিছু বুঝি না। তুই স্ট্রাইক তুলে দে।” এরপর আমি ফোন রেখে দিয়েছি। এরপর থেকেই তিনি আমাকে নানাভাবে ফোনে, হোয়াটসঅ্যাপে বিরক্ত করতে থাকেন। কখনো কখনো হুমকিও দেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘এর কিছুদিন পরে আমাকে আবার ফোন দিয়ে তিন বলেন, “তুই কি স্ট্রাইকগুলো তুলবি না?” আমি বলি, না, আমি তুলব না। কারণ, আমি এসবের অ্যাডমিন, মালিক নয়। তখন তিনি বলেন, “দেখ, বেয়াদবি করার কারণে নায়িকা দিঘীকে হাইকোর্ট দেখিয়েছি। তুই যদি স্ট্রাইক না তুলিস, তোকে জেল খাটাব।” আমি তাঁকে বললাম, অপরাধ তো করেছেন আপনি। উল্টো আমাকে ভয় দেখাচ্ছেন কেন? এরপর অপু বিশ্বাসের সঙ্গে কথা বলছি বলে ফোন রেখে দেন তিনি। চার-পাঁচ দিন পরে জানতে পারলাম আমাদের নামে জিডি করেছেন ওই প্রযোজক।’




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭