সরকার পতনের এক দফা আন্দোলনে রাজপথে রয়েছে বিএনপি। আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা লক্ষ্য করা যাচ্ছে দলটির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো। আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে এরই মধ্যে কিছু কিছু রদবদল হয়েছে। কেউ কেউ আবার নজরদারিতে রয়েছেন বলে গুঞ্জন রয়েছে। তবে এর মধ্যে শোনা যাচ্ছে নির্বাচনের আগে বিএনপির অন্যতম সহযোগী সংগঠন ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির সম্ভাবনার কথা। যদিও এ নিয়ে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলতে নারাজ। তবে ছাত্রদলের নতুন কেন্দ্রীয় কমিটি ষোঘণা হলে সংগঠনটির সাবেক সভাপতি রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ দলীয় পদে ফিরবেন কি না তা নিয়েও রয়েছে ঘোর অন্ধকার।
ছাত্রদলের সূত্র জানা গেছে, সংগঠনটির সাবেক সভাপতি শ্রাবণকে অসুস্থতার কথা বলে বিএনপি অব্যাহতি দিলেও তিনি ‘মহল বিশেষের’রোষানলে পড়ে দলীয় পদ হারান। এখন তাকে ছাত্রদল থেকে বিদায় জানাতে মরিয়া ওই পক্ষটি। শ্রাবণকে নিয়ে খোদ বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী প্রকাশ্যে তো দূরের কথা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গেও কথা বলতে পারছেন না। এমনকি শ্রাবণ স্বপদে ফিরে এলেও তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলবে বলে মনে করছেন অনেকে।
উল্লেখ্য, গত ৮ আগস্ট ছাত্রদলের সভাপতির পদ থেকে শ্রাবণকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর সংগঠনটির একাংশের অভিযোগ, বিএনপির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল ছাত্রদলের নিয়ন্ত্রণ নিতে মরিয়া। তারই ‘কূটচালে’ শ্রাবণ সভাপতির পদ খুইয়েছেন। যদিও বকুল তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে বলেন, এটা গোয়েন্দা সংস্থার অপপ্রচার। যখনই সরকারবিরোধী আন্দোলন তুঙ্গে তখনই তারা এ ধরনের প্রচার চালিয়ে বিভ্রান্ত করতে চায়।