ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

উত্তর কোরিয়ায় পালানো সেই সেনা এখন মার্কিন হেফাজতে


প্রকাশ: 28/09/2023


Thumbnail

ট্র্যাভিস কিং, একজন মার্কিন সেনা। নিয়োজিত ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ায়। কিন্তু সম্প্রতি সেখান থেকে আকস্মিকভাবে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে যান তিনি। তবে তাকে আবার হেফাজতে নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

জানা গেছে, ট্র্যাভিস কিং দেশ থেকে বের করে দিয়েছে পিয়ংইয়ং। এরপরই তাকে হেফাজতে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গত জুলাই মাসে তিনি দক্ষিণ কোরিয়া থেকে উত্তর কোরিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন।

গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর কোরিয়া থেকে বহিষ্কারের পর ট্র্যাভিস কিং এখন আমেরিকার হেফাজতে রয়েছেন। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। ট্র্যাভিস কিংকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক স্থাপনায় পাঠানোর আগে চীনে মার্কিন হেফাজতে স্থানান্তর করা হয়েছিল।

প্রশাসনের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা বুধবার বলেছেন, “কয়েক মাসের বেশ ‘জোরদার কূটনৈতিক তৎপরতার পর ট্র্যাভিস কিং যুক্তরাষ্ট্রের হাতে ফিরে এসেছেন এবং তিনি তার পরিবারের সাথে কথা বলেছেন। ওই কর্মকর্তা বলেছেন, ‘ট্র্যাভিস কিং তার বাড়িতে ফেরার সুযোগ পেয়ে খুব খুশি এবং তিনি তার পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য খুব উন্মুখ হয়ে আছেন।

ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, উত্তর কোরিয়া থেকে যুক্তরাষ্ট্র তার মুক্তি নিশ্চিত করতে কোনো ছাড় দেয়নি।

২৩ বছর বয়সী এই মার্কিন সেনা গত জুলাই মাসে অবৈধভাবে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন। উত্তর কোরিয়ার গণমাধ্যম পরে জানিয়েছিল, মার্কিন সেনাবাহিনীর মধ্যে ‘অমানবিক আচরণ ও বর্ণবাদের কারণে তিনি পালিয়ে এসেছেন।

আরও জানা গেছে, চীনের সীমান্ত শহর ডান্ডংয়ে মার্কিন কর্মকর্তাদের সাথে দেখা করার পর ট্র্যাভিস কিংকে স্টেট ডিপার্টমেন্টের বিমানে করে দক্ষিণ কোরিয়ার একটি মার্কিন বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার বিকালে তার মার্কিন ভূখণ্ডে ফেরার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করেন মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

এর আগে বুধবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা জানায়, পূর্ব এশিয়ার এই দেশটি ট্র্যাভিস কিংকে তাদের ভূখণ্ড থেকে বের করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।

ট্র্যাভিস কিং মার্কিন সেনাবাহিনীতে ২০২১ সাল থেকে কাজ করছেন। তিনি মার্কিন সেনাবাহিনীতে মূলত একজন নজরদারি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করতেন।

তবে উত্তরে প্রবেশের আগে, হামলার অভিযোগে তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় দুই মাসের জন্য জেল খাটেন। গত ১০ জুলাই তিনি মুক্তি পান। মুক্তির পরই তার যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাওয়ার কথা ছিল। সেখানে তার বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হতো।

কিন্তু অন্যান্য কর্মকর্তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে বিমানবন্দর থেকে পালিয়ে যেতে সমর্থ হন ট্র্যাভিস কিং। এরপর একটি ট্যুর টিমের সঙ্গে চলে যান উত্তর-দক্ষিণকে বিভক্ত করা ডিমিলিটারাইজড জোনে (ডিএমজেড)। সেখান দিয়ে হঠাৎ করে সবাইকে চমকে দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় প্রবেশ করেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি, সিএনএন



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭