এডিটর’স মাইন্ড

কী হবে এই অক্টোবরে


প্রকাশ: 02/10/2023


Thumbnail

‘ব্ল্যাক অক্টোবর’ একটি সাড়া জাগানো কানাডীয় প্রামাণ্যচিত্র। সিবিসি ২০০০ সালে এই প্রামাণ্যচিত্রটি নির্মাণ করে। ১৯৭০ সালে ব্রিটিশ ট্রেড কমিশনার এবং একজন প্রাদেশিক মন্ত্রীর অপহরণ নিয়ে নির্মিত এ প্রামাণ্য চিত্রে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পিয়েরে ট্রুডোর সাক্ষাৎকারও রয়েছে। ৭০-এ এই অপহরণ ঘটনায় কানাডার রাজনীতি টালমাটাল হয়েছিল। কমিউনিস্ট শাসন অবসানের শেষপ্রান্তে রাশিয়ার (সোভিয়েত ইউনিয়ন) ক্ষমতার টানাপোড়েন নিয়েও ‘ব্ল্যাক অক্টোবর’ শিরোনামে একটি আলোচিত প্রামাণ্যচিত্র রয়েছে। ১৯৯৩ সালে নির্মিত ওই প্রামাণ্যচিত্রে দেখা যায়, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস ইলিয়েৎসিনের সঙ্গে রুশ পার্লামেন্টের প্রকাশ্য বিরোধের ঘটনা। একপর্যায়ে রুশ প্রেসিডেন্ট পার্লামেন্ট আক্রমণের জন্য সেনাবাহিনী তলব করেন। রুশ পার্লামেন্টের সব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেন। এক ডিক্রি জারি করে পার্লামেন্ট (সুপ্রিম সোভিয়েত) ভেঙে দেন। প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা গ্রহণ করেন। এর মাধ্যমে রাশিয়া সোভিয়েত প্রথা বিলোপ হয়। রাশিয়ার জন্য ১৯৯৩-এর অক্টোবর ছিল এক দুর্যোগপূর্ণ সময়। এরকম বিশ্বের দেশে দেশে অক্টোবর নিয়ে এরকম নানা আতঙ্ক এবং ভয়াল গল্প আছে। বাংলাদেশে এবারের অক্টোবর কেমন হবে? তা নিয়ে রাজনীতির মাঠে উত্তাপ, শোরগোল শুরু হয়েছে। বিএনপি বলছে, অক্টোবরেই সরকারের পতন হবে। বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘আগামী কয়েকটা দিন বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’ অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, ‘এই অক্টোবরেই আছি, আগামী অক্টোবরেও থাকব।’ অক্টোবর নিয়ে এ পাল্টাপাল্টি অবস্থানের পর প্রশ্ন উঠেছে—বাংলাদেশে কি আবার এক অন্ধকারাচ্ছন্ন অক্টোবর আসছে? কী হবে এ অক্টোবরে?

বাংলাদেশে অক্টোবর মাসটা একটু অন্যরকম। আকাশে সাদা মেঘের ভেলা। হালকা বাতাসে দোল খায় কাশবনের শ্বেতশুভ্র ফুল। শারদীয় উৎসবের এক মোহনীয় মাস অক্টোবর। কিন্তু বাংলাদেশে মাঝেমধ্যেই এ অক্টোবর মাস ভয়ংকর হয়ে ওঠে। ২০০১ সালের বিভীষিকাময় অক্টোবরের কথা ভুলি কী করে। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্ববধায়ক সরকারের অধীনে। এর আগে জুলাইয়ে দেশে প্রথমবারের মতো শান্তিপূর্ণ ক্ষমতার হাতবদল হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতা হস্তান্তর করেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারপ্রধান বিচারপতি লতিফুর রহমানের কাছে। লতিফুর রহমান দায়িত্ব নিয়েই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন। শপথ নেওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যেই ১৩ জন সচিবকে বদলি করে তিনি জাতিকে হতবাক করে দেন। সাফ বুঝিয়ে দেন আওয়ামী লীগকে হারিয়ে দেওয়াই তার একমাত্র লক্ষ্য। তার চেয়ে আরেক কাঠি সরস ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এমএ সাঈদ। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের শায়েস্তা করাই যেন তার কাছে নিরপেক্ষ নির্বাচনের একমাত্র পূর্বশর্ত। অল্প সময়ের মধ্যেই আওয়ামী লীগের জন্য নির্বাচন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে যায়। তবুও আওয়ামী লীগ নির্বাচন করে। গণতন্ত্রের স্বার্থে। ১ অক্টোবরের নির্বাচনে প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ছিল নির্লজ্জ পক্ষপাতপূর্ণ। আওয়ামী লীগকে পিটিয়ে ভোটকেন্দ্র থেকে হটিয়ে দেওয়ার নির্দেশনা নিপুণ দক্ষতায় পালন করেন তারা। সন্ধ্যায় ফলাফল ঘোষণায় কোনো চমক ছিল না। নিরঙ্কুশ বিজয়ের দিকে এগিয়ে যায় চারদলীয় জোট। বিএনপি-জামায়াতের অতি-উৎসাহী কর্মীদের আর তর সয়নি। সারা দেশে তারা শুরু করে তাণ্ডব। সারা দেশে আওয়ামী লীগের কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে বাড়িতে আক্রমণ শুরু হয়। বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। লুটপাট শুরু হয় নির্বিচারে। সারা দেশে মুহূর্তেই শুরু হয় সন্ত্রাসের রাজত্ব। সংখ্যালঘুরা আওয়ামী ভোটার। এ কারণে তাদেরও নির্মূল করা শুরু হয়। হত্যা, ধর্ষণের এক নারকীয় উৎসব চলে টানা ১০ দিন। বহু নিরীহ মানুষ প্রাণ হারান। আহত হন কয়েকশ সাধারণ জনগণ। পূর্ণিমা, ফাহিমা, শেফালীর মতো শত শত নারী ধর্ষিতা হন। সেই ভয়াল অক্টোবরের স্মৃতি ভুলি কী করে? সেই সময় দেশে কোনো আইন ছিল না, বিচার ছিল না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ন্ত্রিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীরা দাঁড়িয়ে শুধু তামাশা দেখেছে। ২০০১-এর অক্টোবরে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের বিচার হয়নি আজও।

২০০৬ সালের অক্টোবরও ছিল বাংলাদেশের জন্য আতঙ্কের। অগ্নিগর্ভ ওই অক্টোবরে বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতা ছাড়ার আগে শেষ তাণ্ডব চালায়। ২৯ অক্টোবর রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পল্টন, বিজয়নগর, বায়তুল মোকাররম এলাকা। জামায়াত-শিবিরের হিংস্ররূপ জাতি সেদিন দেখে ভয়ে শিউরে উঠেছে। অক্টোবর এলেই তাই অজানা আতঙ্ক মনে বাসা বাঁধে। এবার আতঙ্ক আরও বেশি। কান পাতলেই ফিসফাস আওয়াজ শুনি। কী হচ্ছে, কী হবে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গত ২৭ সেপ্টেম্বর ‘কিছু একটা ঘটার’ নাটকীয় ইঙ্গিত দিয়েছেন। বিএনপির প্রয়াত নেতা হান্নান শাহর সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেছেন, ‘বাংলাদেশ এক ভয়াবহ অবস্থার মধ্যে আছে। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব থাকবে কি না, গণতান্ত্রিক অধিকার থাকবে কি না, জনগণ তার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারবে কি না—সবকিছু নির্ভর করছে আগামী কয়েক দিনের ওপর।’ মির্জা ফখরুলের এ বক্তব্য বিচ্ছিন্ন কোনো কথা নয়। বিএনপি ভালো করেই জানে অক্টোবরেই বিএনপিকে কিছু করতে হবে। নির্বাচন কমিশন আগামী নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করবে। একবার তপশিল ঘোষণা হলে দেশের রাজনীতি নির্বাচনমুখী হবে। তখন বিএনপি আন্দোলন জমিয়ে তুলতে পারবে না। তা ছাড়া বিএনপি যে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলছে, সেই দাবি একমাত্র সংসদের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করা সম্ভব। অন্য কোনোভাবেই নয়। বিএনপি নেতারাও তা-ই বলছেন। তারা দাবি করেছেন, ‘আওয়ামী লীগের যেহেতু দুই-তৃতীয়াংশের বেশি সংসদ সদস্য আছে, কাজেই তাদেরই সংসদে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে পুনঃস্থাপন করতে হবে। তীব্র গণআন্দোলনে তারা এটা করতে বাধ্য হবে।’ বিএনপির দাবি হলো, ২০১১ সালের আগে সংবিধানে ‘নির্বাচনকালীন সরকারে’র যে ব্যবস্থা ছিল, তা ফিরিয়ে আনতে হবে। সেটি সংসদ ছাড়া অসম্ভব। এই অক্টোবরে সংসদের শেষ অধিবেশন বসবে। তাই বিএনপি এবং তার মিত্রদের আন্দোলন এমন একটা জায়গায় নিয়ে যেতে হবে, যেখান থেকে সরকার বিএনপির দাবি মানতে বাধ্য হয়। এ কয়েক দিনের মধ্যে যদি তারা ‘গণবিস্ফোরণ’ ঘটাতে না পারে, তাহলে তাদের জন্য আরেকটি বড় বিপর্যয় অপেক্ষা করছে। এ কথা ঠিক, সম্প্রতি বিএনপির কর্মসূচিতে নেতাকর্মীদের উৎসাহ-উদ্দীপনা বাড়ছে। তাদের হতাশা কিছুটা হলেও কেটেছে। এক ধরনের চাঙ্গাভাব লক্ষ করা যায় কর্মীদের মধ্যে। কিন্তু বিএনপির আন্দোলনের মূল সমস্যা অন্য জায়গায়। বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে জনগণ এখনো সম্পৃক্ত নয়। জনগণ এখন আর আগের মতো নেই। রাজনৈতিক দল ডাকল আর জনগণ রাস্তায় নামল—সেই দিন এখন শুধুই স্মৃতি। জনগণ সংবাদপত্র পড়ে, টেলিভিশনে টকশো শোনে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘বিস্ফোরক সব ব্রেকিং নিউজ’ এবং ‘অবিশ্রান্ত ধারার মিথ্যাচার’ উপভোগ করে। তারপর আকাশের ঠিকানায় গালি দিয়ে, বাতি নিভিয়ে ঘুমুতে যায়। আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত হয় না, এ আক্ষেপ মির্জা ফখরুলেরও। তিনি ইদানীং বারবার বলছেন, জনগণকে রাস্তায় নামতে হবে। জনগণ যদি রাস্তায় বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে একাত্ম না হয়, তাহলে আর যাই হোক, গণআন্দোলন হবে না। যেমনটি হয়েছিল ৯০ ও ৯৬ সালে। বিএনপির সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। এখন ১৭ বছর ক্ষমতায় বাইরে থাকা দলটি কী করবে? জ্বালাও পোড়াও, ভাঙচুরের পথে হাঁটবে? হরতাল, অবরোধ, ঘেরাওয়ের মতো কর্মসূচি দিয়ে দেশ অচল করে দেবে, এই অক্টোবরে?

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ নিয়ে বেশ মনোযোগী। প্রায় প্রতিদিন ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে ম্যাথিউ মিলার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ নিয়ে কথা বলছেন। ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি হাসও কম যান কীসে? প্রতিদিনই শুনি এই অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ওপর আরও চাপ দেবে। অর্থনীতির টুঁটি চেপে ধরবে। সরকার নাকি মার্কিন চাপে পদত্যাগে বাধ্য হবে। এমন বক্তব্য আজকাল প্রকাশ্যেই দিচ্ছেন মার্কিনপ্রেমী সুশীলরা। দেখা যাক অক্টোবরে মার্কিন চাপ কতটুকু তীব্র হয়। বিএনপির অনেক নেতাই বিশ্বাস করেন, তাদের কিছুই করতে হবে না। অক্টোবরেই যুক্তরাষ্ট্র এ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করবে। আগে বিএনপির নেতারা এসব কথা আড়ালে-আবডালে বলতেন। এখন বলেন প্রকাশ্যে। শুধু নেতা নয়, বিএনপির পাতিনেতা, এমনকি কর্মীরাও এখন পকেটে ভিসা স্যাংশনের তালিকা নিয়ে ঘোরে। কে কে স্যাংশন পাবে তারা হিসাব করে তৃপ্তির ঢেকুর তোলে। বিএনপির অনেকেই বিশ্বাস করে, অক্টোবরেই যুক্তরাষ্ট্র টর্নেডোর মতো বাংলাদেশে আঘাত হানবে। তাতে সরকার তছনছ হয়ে যাবে। অক্টোবর মাসটা সরকারের জন্যও চ্যালেঞ্জিং। সরকার দেশকে কি একটি নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে পারবে কি না, তা বোঝা যাবে এ মাসেই। ৪ অক্টোবর প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরবেন। অক্টোবর জুড়ে আওয়ামী লীগ সরকার উন্নয়ন উৎসব করবে। বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে সমান্তরালভাবে কর্মসূচি পালন করবে। এ কর্মসূচির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ রাজনৈতিকভাবে বিএনপিকে মোকাবিলা করতে চাইবে। দেশকে নির্বাচনমুখী করাটাই অক্টোবরে আওয়ামী লীগের প্রধান লক্ষ্য। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, অক্টোবরে কিছুই হবে না। কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। আওয়ামী লীগ কি পারবে দেশ-বিদেশের চাপ সামাল দিতে?

২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো নয়, সত্যিকারের একটা অবাধ, সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের উপায় সরকারকে বের করতে হবে এ অক্টোবরেই। যে নির্বাচন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। আমার বিবেচনায় রাজনৈতিক কারণে নয়, অর্থনৈতিক সংকটে সরকারের জন্য অক্টোবর মাস হতে পারে অন্ধকারাচ্ছন্ন ও চ্যালেঞ্জিং। প্রতিদিন বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। ২০ বিলিয়ন ডলারের আশপাশে এখন রিজার্ভ। ডলার সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। খোলা বাজারে ডলারের জন্য রীতিমতো হাহাকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বহু আগেই। মানুষ হাঁসফাঁস করছে। মানুষের সীমাহীন কষ্ট আর আর্তনাদ নিয়ে রীতিমতো তামাশা করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ব্যাংকগুলোতে চলছে নৈরাজ্য। অর্থ পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য কমেনি। সব মিলিয়ে অর্থনীতিতে কোনো সুখবর নেই। তার চেয়েও উদ্বেগের বিষয় হলো, সংকট উত্তরণে কোনো দৃশ্যমান চেষ্টাও নেই। বরং তথ্য ধামাচাপা দিয়ে এক ধরনের আত্মতৃপ্তির ভয়াবহ প্রবণতা ব্যাধির মতো ছড়িয়ে পড়েছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্বাভাবিক সূত্র হলো, অর্থনীতি ঠিক না থাকলে রাজনীতি পথ হারাতে বাধ্য। অর্থনীতির চাপে আওয়ামী লীগ সরকার অক্টোবরে কি পথ হারাবে?

রাজনীতি গণিতের কোনো সূত্র নয়। রাজনীতির অঙ্কের সব হিসাব সবসময় মেলে না। অক্টোবরে কী হবে, তা হয়তো সামনের কয়টা দিনই বলে দেবে। তবে বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন, গণতন্ত্রের পথরেখা পরিষ্কার হবে এ অক্টোবরেই। দেখার বিষয় কেমন হয় অক্টোবর। শারদীয় শ্বেতশুভ্রতার উৎসবের অক্টোবর, নাকি সন্ত্রাস এবং সহিংসতার উত্তাপে বাংলাদেশ দগ্ধ হবে এই অক্টোবরে?

 

লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পরিপ্রেক্ষিত

ই-মেইল : poriprekkhit@yahoo.com



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭