প্রকাশ: 02/10/2023
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত
সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের দণ্ডিত রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে
হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিতে চেয়ে আবেদনের শুনানি
১৫ অক্টোবর।
সোমবার
(২ অক্টোবর) আপিল বিভাগের চেম্বার
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম
এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট খুরশীদ
আলম খান।
এর আগে অবৈধ সম্পদ
অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ড
প্রাপ্ত রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে
দুদক।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর অবৈধ
সম্পদ অর্জনের মামলায় তিন বছরের কারাদণ্ডের
মামলায় রিজেন্ট হাসপাতাল লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাহেদকে ৬ মাসের জামিন
দেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার
(১৪ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. আখতারুজ্জামানের একক
বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
দুদকের
আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বিষয়টি
নিশ্চিত করেছেন।
গত ৪ সেপ্টেম্বর এ
মামলায় তার আপিল শুনানির
জন্য গ্রহণ করেছিলেন হাইকোর্ট।
ওই দিন আদালতে দুর্নীতি
দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম
খান। সাহেদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী সৈয়দ জাহাঙ্গীর হোসেন।
গত ২১ আগস্ট ঢাকার
বিশেষ জজ আদালত-৭
এর বিচারক প্রদীপ কুমার ওই রায় দেন।
রায়ে এক লাখ টাকা
জরিমানা করা হয়। ৬০
কর্মদিবসের মধ্যে জরিমানার টাকা সরকারি কোষাগারে
জমা দেওয়া হয়।
সাহেদের
বিরুদ্ধে দুটি অভিযোগ গঠন
করা হলেও ২০০৪ সালের
দুদক আইনের ২৬(২) ধারায়
এ দণ্ড দেওয়া হয়।
তবে ২৭(১) ধারায়
অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় তাকে
খালাস দেওয়া হয়।
রায়
ঘোষণার জন্য কারাগারে থাকা
সাহেদকে এদিন আদালতে হাজির
করা হয়। রায় ঘোষণা
শেষে তাকে সাজা পরোয়ানাসহ
কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর তিনি
আপিল করেন।
২০২০
সালের ১৫ জুলাই সাহেদকে
সাতক্ষীরা থেকে গ্রেপ্তার করে
র্যাব। এরপর তার নামে
প্রতারণা, অনিয়মের নানা অভিযোগ সামনে
আসতে থাকে। পরে ঢাকাসহ দেশের
বিভিন্ন স্থানে সাহেদ ও তার সহযোগীদের
বিরুদ্ধে একের পর এক
মামলা হয়।
কারাগারে
থাকাকালে ২০২০ সালের ৫
নভেম্বর সম্পদের হিসাব চেয়ে সাহেদকে নোটিশ
পাঠায় দুদক। নোটিশে ২১ কার্যদিবসের মধ্যে
তাকে সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলা
হয়। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সম্পদ বিবরণী
জমা না দেওয়ায় অতিরিক্ত
আরও ১৫ কার্যদিবস সময়
দেওয়া হয়। সাহেদ এরপরও
তা জমা দেননি।
এরপর
সম্পদের হিসাব না দেওয়া ও
অবৈধভাবে এক কোটি ৬৯
লাখ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ১
মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক ফরিদ
আহমেদ পাটোয়ারী বাদী হয়ে দুদকের
ঢাকা জেলা সমন্বিত কার্যালয়-১ এ মামলা
করেন।
গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি দুদক
আদালতে চার্জশিট জমা দেয়। এরপর
গত বছরের ১৭ জুলাই সাহেদের
বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর
আদেশ দেন আদালত। মামলার
বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
করা হয়।
সাহেদের
বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে বেশ কয়েকটি মামলা
হয়। এর মধ্যে অস্ত্র
আইনের একটি মামলায় ২০২০
সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তাকে
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন একটি
আদালত।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭