যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগ

গোপনে বিয়ে করে শহরের বিভিন্ন এলাকায় ভাড়া থাকা অবস্থায় যৌতুকের দাবীতে স্ত্রীকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইকবাল হোসেন জীবন (৩৩) এর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী স্ত্রী মিথিলা আক্তার (২১) বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার ধানবান্ধি মহল্লার মানিক শেখের মেয়ে মিথিলা আক্তারকে গোপনে কোর্টের মাধ্যমে বিয়ে করেন সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইকবাল হোসেন জীবন। বিয়ের পর থেকে শহরের মাছুমপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় স্বামী-স্ত্রী মিলে ভাড়ায় থাকতেন। ভাড়া থাকা অবস্থায় শহরের সয়াগোবিন্দ (থানা রোড') মহল্লার আসাদ আলীর ছেলে ইকবার হোসেন জীবন বিভিন্ন সময় ব্যবসার কথা বলে দফায় দফায় প্রায় ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছে। পুনরায় আরও পাঁচ লক্ষ টাকা দাবী করেন। টাকা না দেওয়ায় নানা ভাবে শারারিক ও মানুষিক নির্যাতন শুরু করে অর্থলোভী জীবন। তার দাবীকৃত টাকা দিতে অস্বীকার করায় শুরু হয় মারপিট ও অমানুষিক নির্যাতন।

সোমবার (২ অক্টোবর) দুপুুরে ভুক্তভোগী মিথিলা আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, দেড় বছর আগে ইকবার হোসেন জীবন আমাকে কোর্টে নিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের ডকুমেন্ট আমাকে না দিয়ে নিজের হেফাজতে রাখেন। এই দেড় বছর সংসার জীবনে 

আমি ২ বার অন্তঃসত্বা হই। আমাকে ভুল বুঝিয়ে গর্ভের সন্তান নষ্ট করে ফেলেন জীবন। আমাকে স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারায় গত (২৫ সেপ্টেম্বর') বিকেলে ৫ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবী করে। এতে আমি রাজি না হলে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও মারপিট করেছে।

তিনি আরো বলেন, ইকবার হোসেন জীবন আমাকে বিয়ে করে নাই বলে তার পরিবারকে অবগত করেন। আমি জীবনের বাড়িতে অবস্থান নিলে তার পিতা আসাদ আলী ও জীবনের আত্মীয় রিয়াদ ও হারুন ৫০ হাজার টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যেতে বলে। পরে আমি নিরুপ্রায় হয়ে গত (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর থানায় জীবনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি। জীবন আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা না দিলে আমার আত্মহত্যা ছাড়া কোন পথ থাকবে না। এজন্য প্রশাসনের নিকট জোড়দাবী জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক ইকবাল হোসেন জীবনের ০১৭৪২-৪১০৪৯৫ নাম্বারে কয়েকবার ফোন দেওয়া হলেও তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। একারণে তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।  

সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এস.আই) হৈয়মন্ত বার্মা বলেন, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্তপুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।