ইনসাইড পলিটিক্স

হাল ছাড়েনি বেগম জিয়ার পরিবার: প্রধানমন্ত্রীর অপেক্ষায়


প্রকাশ: 03/10/2023


Thumbnail

বেগম খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য আবেদনটি নাকচ করে দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী ইতিমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে কেন আইনগত ভাবে বিদেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া সম্ভব নয় তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভয়েস অব আমেরিকার সাথে সাক্ষাৎকারে এবং গতকাল লন্ডনে নাগরিক সম্বর্ধনায় তিনি এ ব্যাপারে তার অভিমত এবং আইনগত অবস্থান সুস্পষ্ট ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন। কিন্তু তারপরও বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের সদস্যরা হাল ছাড়েনি। বরং তারা মনে করছেন, প্রধানমন্ত্রী এলে তারা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার জন্য সময় প্রার্থনা করবেন এবং প্রধানমন্ত্রী নিশ্চয়ই মহানুবতা প্রদর্শন করবেন। 

বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, এর আগেও আমরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। তিনি মহানুভব এবং তার মানবিকতায় আমরা মুগ্ধ হয়েছি। আমরা তাই মনে করি বেগম খালেদা জিয়ার বিষয়টি এখনই শেষ নয়। বরং বেগম খালেদা জিয়া যদি শেষ পর্যন্ত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়ার অনুমতি পান সেটা প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতার জন্যই পেতে পারেন। তাই তারা হাল ছাড়েননি। বরং বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা বিএনপির নেতাদেরকে আন্দোলনের মাত্রা নমনীয় করার পরামর্শ দিয়েছেন। 

বিভিন্ন সূর্যগুলো বলছেন, বেগম খালেদা জিয়ার পরিবারের দুজন সদস্য তার বোন এবং ভাই দুজনেই যেকোনো মূল্যে বেগম জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে নেওয়ার পক্ষপাতী। এ ব্যাপারে তারা বিএনপি নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেছেন এবং প্রয়োজনে বিএনপি নির্বাচনে যাবে এমন অঙ্গীকার করতেও তারা রাজি রয়েছেন। যদিও বিএনপি মহাসচিব আজ বলেছেন, কোনো শর্তে বেগম খালেদা জিয়া উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাবেন না। কিন্তু তার এই বক্তব্যকে নাকচ করে দিয়েছেন বেগম জিয়ার পরিবারের একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। তিনি বলেছেন, সরকার বেগম জিয়ার বিদেশ যাওয়ার ব্যাপারে কোনো রকম শর্ত দেয়নি এবং এরকম শর্তের বিষয় নিয়ে আলোচনাও হয়নি। বিষয়টি মানবিক। তবে যদি সরকারের পক্ষ থেকে যেকোনো শর্ত আমরা মেনে নিতে প্রস্তুত এমন বার্তাটি আমরা সরকারকে দিয়েছি। কিন্তু সরকার সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো আনুষ্ঠানিক শর্ত আমাদেরকে দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে কোনো কথাবার্তাও হয়নি। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কেন কোত্থেকে এ বক্তব্য দিয়েছেন তা তিনি জানেন না বলেও মন্তব্য করেছেন। 

তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, শামীম ইস্কান্দার এবং বেগম জিয়ার বোন দুইজনই  অপেক্ষা করছেন প্রধানমন্ত্রীর দেশে ফেরার জন্য। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পর তারা গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় চাইবেন এবং এই সাক্ষাতের মাধ্যমে যে জট তৈরি হয়েছে সেই জটটি নিরসন হবে বলে তারা মনে করছেন। 

বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা বলছেন, বিষয়টি রাজনৈতিক নয়। কিন্তু বিএনপির নেতাদের বক্তব্যের কারণে এটি রাজনীতিকরণ হচ্ছে। বিএনপি নেতাদের এধরনের বক্তব্যের ফলেই সরকার একটা অনমনীয় অবস্থায় গেছে বলে বেগম জিয়ার পরিবারের সদস্যরা মনে করেন। আর এই কারণেই তারা বিএনপিকে পাশ কাটিয়ে সরকারের সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে আগ্রহী। এ প্রসঙ্গে বেগম জিয়ার পরিবারের ওই সদস্য বলেছেন, ২০২০ সালেও যখন বেগম খালেদা জিয়াকে ফিরোজায় থাকার অনুমতি দেওয়ার বিষয়টি এসেছিল তখন রাজনৈতিক ভাবে তা হয়নি। কারণ বিএনপি নেতারা বেগম জিয়াকে রাজনৈতিক দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করতে চান। আর এটি হয়নি জন্যই সেই সময় বেগম জিয়ার দণ্ড স্থগিত এবং তাকে ফিরোজায় থাকার অনুমতির বিষয়টি নিয়ে তারা গণভবনে যান এবং সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কাছে তারা অনুরোধ করেন। প্রধানমন্ত্রী সহানুভূতিশীল হয়ে তাদের অনুরোধ রক্ষা করুন। এবারও প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে আশাহত করবেন না বলেই তারা মনে করছেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭