ইনসাইড বাংলাদেশ

ভারতীয় গণমাধ্যমে নিবন্ধ: ড. ইউনূসের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করতেই তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা


প্রকাশ: 05/10/2023


Thumbnail

অর্থপাচার মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলবের পরিপ্রেক্ষিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কার্যালয়ে গিয়েছেন নোবেল বিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তার সাথে  গ্রামীণ টেলিকমের আরও দুই কর্মকর্তা ছিলেন। ওই দুই কর্মকর্তা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আশরাফুল হাসান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে আইনজীবীসহ তারা দুদক কার্যালয়ে পৌঁছান।

এ সময় স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. ইউনূস বলেছেন, তিনি কোনো অন্যায় করেননি, তাই উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। বাংলাদেশের বিচারব্যবস্থার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানান তিনি।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক গুলশান আনোয়ার স্বাক্ষরিত চিঠিতে ড. ইউনূসকে বৃহস্পতিবার দুদক কার্যালয়ে তলব করা হয়।

গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. ইউনূসের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদের জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তলব করায় ড. ইউনূস তার বক্তব্য উপস্থাপন করতে দুদক কার্যালয়ে এসেছেন।

তিনি আরও বলেন, তিনি চিঠি পেয়ে গত ১ তারিখে জাতিসংঘ থেকে দেশে এসেছেন দুদকে হাজির হতে। দুদকের নোটিশ পাওয়ার পর দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা দেখিয়ে নিজের বক্তব্য পেশ করতে তিনি দুদক কার্যালয়ে এসেছেন। 

বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ত্রিপুরাভিত্তিক ভারতীয় নিউজ ওয়েবসাইট ত্রিপুরাইনফো ডট কমে এক প্রতিবেদনে ভারতের সিনিয়র সাংবাদিক নাভা ঠাকুরিয়া এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, বলাবাহুল্য যে মৃদুভাষী এই ভদ্রলোকের (ইউনূসের) ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সর্বশেষ প্রচেষ্টাগুলোর মধ্যে এটিও একটি। সম্প্রতি নোবেলজয়ী, সুশীল সমাজের নেতারাসহ ১৭৫ জনেরও বেশি বিশ্বনেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে সব আইনি কার্যক্রম স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

নাভা ঠাকুরিয়া বলেন, এর আগে ৪০ জন বিশ্ব ব্যক্তিত্ব পৃথক চিঠিতে তাকে নিয়ে সরকারের খারাপ আচরণের বিষয়ে শেখ হাসিনাকে লিখেছিলেন। এমনকি ৩৪ জন বিশিষ্ট বাংলাদেশি নাগরিকও প্রফেসর ইউনূসের পক্ষে কথা বলেছিলেন। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে তিনি (শেখ হাসিনা) টানা চতুর্থ মেয়াদের জন্য ভোটারদের ম্যান্ডেট চাইবেন।

তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতিসংঘের মানবাধিকার কার্যালয়ও ড. ইউনূসকে সমর্থন করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। এরপর অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও একটি বিবৃতি দিয়েছিল। সেখানে তারা জোর দিয়ে বলেছিল, শেখ হাসিনা ড. ইউনূসকে হয়রানি ও ভয় দেখানোর জন্য ‘শ্রম আইনকে অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছেন।

নাভা ঠাকুরিয়া আরও বলেন, বলা বাহুল্য যে ড. ইউনূস ২০০৭ সালে একটি রাজনৈতিক দল (নাগরিক শক্তি) গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, দ্রুতই তিনি সেটি থেকে সরে যান। ঠাকুরিয়া দাবি করেন, শেখ হাসিনা এবং তার সমর্থকরা এখনও প্রফেসর ইউনূসকে তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মনে করেন। আর এই কারণেই ড. ইউনূসকে প্রতিনিয়ত তারা অপমান করে চলেছেন।

নাভা ঠাকুরিয়া বলেন, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে বাংলাদেশে সাধারণ নির্বাচন। বিরোধী জোট এখনও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে শেখ হাসিনার পদত্যাগ দাবি করছে। তারা আগামী নির্বাচন পরিচালনার জন্য নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি করছে।




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭