প্রিগোশিনের মৃত্যু নিয়ে নতুন তথ্য দিলেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, প্লেনের ভেতরে গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রিগোশিনে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত আগস্টে যে বিমান দুর্ঘটনায় ওয়াগনার ভাড়াটে বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন নিহত হয়েছিলেন, সেটি বিমানের ভেতরে হ্যান্ড গ্রেনেডের বিস্ফোরণের কারণে হয়েছিল বলে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন।

এতোদিন অনেকেই বিশ্বাস করছিলেন প্লেন বিধ্বস্ত হয়ে নিহত হয়েছেন রাশিয়ার ভাড়াটে ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোশিন। এমনকি প্রিগোশিনের প্লেনে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলেও অনেক গণমাধ্যমের খবরে দাবি করা হয়। 

গত আগস্টে ‘এমব্রেয়ার লিগ্যাসি’ নামের ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে রাশিয়ার মস্কো থেকে সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে যাচ্ছিলেন প্রিগোশিন।উড়োজাহাজে থাকা সাত যাত্রীর মধ্যে ছিল প্রিগোজিন ও ওয়াগনারের আরেক শীর্ষ নেতা দিমিত্রি উতকিন। এ ছাড়া প্রিগোজিনের চার দেহরক্ষীও সেখানে ছিলেন। পথে কুঝেনকিনো এলাকায় বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।  বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার পর ১০ আরোহীর সবাই নিহত হন।

বৃহস্পতিবার পুতিন ইঙ্গিত দেন, প্রিগোশিনের বিমানটি ভেতর থেকে উড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। গুজবের কাহিনীর মতো কোনও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সেটিকে আঘাত করা হয়নি। 

তিনি বলেছেন, গত আগস্টে দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে বিস্ফোরকের চিহ্ন পাওয়া গেছে বলে রাশিয়ার তদন্ত কমিটির প্রধান জানিয়েছেন।

রাশিয়ার সোচি শহরে ভালদাই ডিসকাশন ক্লাবের এক সভায় পুতিন বলেন, ‘দুর্ঘটনায় নিহতদের দেহে হাতবোমার টুকরো পাওয়া গেছে। বিমানটিতে কোনও বাহ্যিক ক্ষতির চিহ্ন ছিল না - এটি ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠিত সত্য।’

তার এই কথার মাধ্যমে মার্কিন কর্মকর্তাদের দাবিকে মিথ্যা বলে মনে করা হচ্ছে। প্রিগোশিন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বেশ ঘনিষ্ঠ মিত্র ছিলেন। গত ২৩ জুন তিনি রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন। এমনকি নিজের যোদ্ধাদের নিয়ে মস্কোর দিকে যাত্রাও শুরু করেন তিনি। ওই ঘটনায় একদিনের ব্যবধানে প্রিগোশিন পুতিনের ‘বন্ধু থেকে শত্রুতে’ পরিণত হন। মার্কিন কর্মকর্তাদের বিশ্বাস, তাকে হত্যা করতে প্রিগোশিনের বহনকারী বিমানটিকে গুলি করা হয়েছিল। 

যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোর দাবি, পুতিনের নির্দেশেই প্রিগোশিনের হত্যা করা হয়েছে। যদিও এসব দাবিকে ‘মিথ্যা’ হিসেবে অভিহিত করেছে মস্কো।