ইনসাইড বাংলাদেশ

পি কে হালদারের প্রথম মামলার রায় আজ


প্রকাশ: 08/10/2023


Thumbnail

ভারতের কারাগারে বন্দি গ্লোবাল ইসলামী (সাবেক এনআরবি গ্লোবাল) ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগে এ পর্যন্ত ৩৬টির মতো মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

আজ রোববার (৮ অক্টোবর) ৪২৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং তা পাচারের অভিযোগে প্রথম রায় হচ্ছে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের আদালতে মামলার রায় ঘোষণার কথা রয়েছে।

কারাগারে থাকা চার আসামি অবন্তিকা বড়াল, শংখ বেপারী, সুকুমার মৃধা ও অনিন্দিতা মৃধা মামলায় লড়ছেন। প্রথম মামলার আসামিদের মধ্যে পি কে হালদারসহ ১০ জন পলাতক। আসামিপক্ষের আইনজীবী বলছেন, ‘পি কে হালদার যদি অ্যারেস্ট থাকতেন অথবা তিনি যদি মামলায় কনটেস্ট করার (মামলা লড়া) সুযোগ পেতেন, তাহলে প্রকৃত অর্থে টাকাগুলো কী হয়েছে, কে দোষী, কাকে ব্যবহার করা হয়েছে, কে ব্যবহৃত হয়েছেন- এসব বিষয় উঠে আসতো।’

দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মীর আহম্মেদ সালাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘পি কে হালদারসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে ১০৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ৯৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। আমরা যুক্তি উপস্থাপন করেছি। সব সাক্ষ্য-প্রমাণে তাদের বিরুদ্ধে দুদক আইনের ২৭(১) ধারা ও মানিলন্ডারিং আইনে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। আমরা তাদের ২৭(১) ধারায় ১০ বছর ও মানিলন্ডারিং আইনে ১২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছি।’

অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী শাহিনুর রহমান বলেন, ‘পি কে হালদারের মানি লন্ডারিং মামলায় মোট আসামি ছিলেন ১৪ জন। ১৪ জনের মধ্যে চারজন কনটেস্ট করছেন। বাকিরা পলাতক থাকায় কনটেস্ট করার সুযোগ পাননি। আমরা জানি পি কে হালদার ভারতের কলকাতায় আছেন। বাংলাদেশ সরকার তাকে আনেননি এবং কনটেস্ট করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। চারজন আসামি কনটেস্ট করছেন। তাকে আনলে হয়তো কনটেস্ট হতো। আর আমরা যারা আছি তারা কেউ নিকটাত্মীয়, কেউ পি কে হালদারের অফিসিয়াল স্টাফ। আমাদের মামলার মধ্যে বলা হচ্ছে, আমরা পি কে হালদারকে মানি লন্ডারিংয়ে সহায়তা করেছি, আমাদের অ্যাকাউন্টে টাকা-পয়সা গেছে। আর আমরা বলেছি, আমাদের অ্যাকাউন্টে যে টাকা এসেছে তা মানি লন্ডারিংয়ের টাকা কি না তা আমরা জানি না। আমরা যেটা জানি তা হলো বিজনেস ট্রানজেকশনে আমাদের অ্যাকাউন্টগুলো ব্যবহার করা হয়েছে এবং আমরা যেহেতু পি কে হালদারের স্টাফ ছিলাম, আমরা কোনো কোনো ক্ষেত্রে অ্যাবিউজ (অপব্যবহার) হয়েছি।’

পি কে হালদার পলাতক অবস্থায় ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে মামলা করে দুদক।

বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ও কানাডীয় ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের তথ্যের বরাত দিয়ে দুদকের প্রতিবেদনে বলা হয়, পি কে হালদার ২০১২ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে তাঁর ভাই প্রীতিশ হালদারের কাছে ১ কোটি ১৭ লাখ ১১ হাজার ১৬৪ কানাডীয় ডলার পাচার করেছেন। বাংলাদেশি টাকায় তা প্রায় ৮০ কোটি টাকা।

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭