ইনসাইড বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্রের স্যাংশনে কি কি বন্ধ হয়


প্রকাশ: 09/10/2023


Thumbnail

যুক্তরাষ্ট্র আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের কতিপয় ব্যক্তির ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এছাড়াও নতুন ভিসা নীতিমালার আওতায় সামনের দিনগুলোতে আরও কয়েকজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া হিসাবেও পররাষ্ট্র দপ্তরের ব্রিফিংয়ে অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু অনেকেই ভিসা নিষেধাজ্ঞাকে স্যাংশনের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলছেন। অনেকে বলছেন যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং স্যাংশন দুটি বোধহয় একই জিনিস। কিন্তু কূটনৈতিক সূত্র থেকে এ ব্যাপারে তথ্য যাচাই বাছাই করে দেখা গেছে যে ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং ভিসা স্যাংশন দুটি সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস। 

ভিসা নিষেধাজ্ঞা কি? 

ভিসা নিষেধাজ্ঞা হল একজন ব্যক্তির মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার রোহিত করা। যে কোনো ব্যক্তির যদি ভিসা থেকে থাকে, ভিসা নিষেধাজ্ঞা যদি তার ওপর আরোপ করা হয় তাহলে একটি ইমেল বার্তার মাধ্যমে তিনি জানবেন যে তার ভিসাটি বাতিল হয়ে গেছে। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে পারবেন না। আর যদি কোনো ব্যক্তির ভিসা না থাকে তিনি যখন ভিসার জন্য মার্কিন দূতাবাসে আবেদন করবেন তখন তাকে জানিয়ে দেওয়া হবে যে তিনি ভিসা প্রত্যাখ্যাত হয়েছেন। এটি হলো শুধুমাত্র প্রবেশাধিকার সংক্রান্ত। মার্কিন আইন অনুযায়ী একজন ব্যক্তির ভিসা পাওয়া না পাওয়া একান্ত গোপনীয় ব্যক্তিগত বিষয়। এ কারণে ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি প্রকাশ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলে না। যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় এসেছেন তাদের নাম এবং অন্যান্য তথ্যাদি মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয় না। 

স্যাংশন কি? 

স্যাংশন হল একজন ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞা বা এটিকে বলা যেতে পারে এক ধরনের অবরোধ। যেমন- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি র‌্যাবের কয়েকজনের ওপর স্যাংশন আরোপ করেছে। তাদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। ভিসা নিষেধাজ্ঞায় যেমন ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয় না, কোন ব্যক্তির বিরুদ্ধে স্যাংশন দিলে তার নাম প্রকাশ করা হয়। স্যাংশন ভিসা নিষেধাজ্ঞার চেয়ে অনেক বড় মাত্রার একটি শাস্তি। স্যাংশনের আওতায় একাধিক বিষয়ে আসে। যে বিষয়গুলো আসে তা হল;

১. প্রবেশাধিকার রোহিত করা: যে ব্যক্তির বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে স্যাংশন দেওয়া হবে সেই ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের লোকজন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাবে না। অর্থাৎ কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে যদি স্যাংশন দেওয়া হয় তাহলে ওই প্রতিষ্ঠানের কোনো সদস্যই যতক্ষণ ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত থাকবে ততক্ষণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার পাবেন না।

২. সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা: স্যাংশন পাওয়া কোনো ব্যক্তির যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কোনো সম্পদ থাকে তাহলে সেই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। ওই সম্পত্তি মার্কিন রাষ্ট্র অধিগ্রহণ করবে। 

৩. অর্থনৈতিক বিধি নিষেধ: কোন ব্যক্তি এরকম স্যাংশনের আওতায় আসলে তিনি অর্থনৈতিক বিধি নিষেধের আওতায় আসবেন। তার ক্রেডিট কার্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারির সঙ্গে যুক্ত কোনো রকম লেনদেন করা থেকে তিনি নিষিদ্ধ থাকবেন। 

৪. কোনোরকম বাণিজ্য করতে পারবেন না: স্যাংশনের থাকা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কোনো বাণিজ্য করতে পারবেন না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার কোনো পণ্য প্রবেশোধিকার পাবে না। আবার তিনি বা তার প্রতিষ্ঠানও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কিছু কেনাকাটা করতে পারবেন না।

৫. বিনিয়োগের সীমিতকরণ: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিনি বা তার পরিবারের কোনো সদস্য কোনোরকম বিনিয়োগ করতে পারবেন না এবং এ ধরনের বিনিয়োগ থাকলে তা বাজেয়াপ্ত করা হবে। 

মূলত স্যাংশন একটি মারাত্মক ব্যবস্থা। সাধারণত বিভিন্ন দেশে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কঠোর ব্যবস্থা হিসেবে স্যাংশন দেওয়া হয়।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭