প্রকাশ: 09/10/2023
শনিবার ভোরে গাজাভিত্তিক ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে মিসাইল আক্রমণ চালায় ও সীমানার অভ্যন্তরে ঢুকে হামলা শুরু করে। এতদিন ইসরায়েলের বিপক্ষে শুধুমাত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়েছে ফিলিস্তিন। শনিবারই প্রথমবারের মতো আগে ইসরায়েলে হামলা চালালো ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাসের কয়েক হাজার রকেট হামলা থেকে শুরু করে যুদ্ধে কমপক্ষে ১৪১৩ জন নিহত হয়েছে। ইসরায়েলের হামলায় দুই হাজার ৭৫০ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এরই মধ্যে ইসরায়েলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ৪৯৩ জনে দাঁড়িয়েছে। ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যকার এই নজিরবিহীন যুদ্ধ নিয়ে রুদ্ধদ্বার জরুরি অধিবেশন করেছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কিন্তু এ ইস্যুতে তারা একটি যৌথ বিবৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদে যে কোনো প্রস্তাবে যৌথ বিবৃতির জন্য প্রয়োজন সর্বসম্মত মত। তবে ইউক্রেনে আগ্রাসন চালানোর পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমাদের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের প্রতি হামাসের বিরুদ্ধে কঠোর নিন্দা জানানোর আহ্বান জানায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে তাতে রাশিয়া বিরোধিতা জানালে পরিষদ একটি সর্বসম্মতিতে আসতে অসমর্থ হয়।
জরুরি অধিবেশনের শুরুতে মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক শান্তির দূত টোর ওয়েন্সল্যান্ডের ব্রিফিংয়ের ওপর শুনানি হয়।
কূটনীতিকরা বলেছেন, হামাসের বিরুদ্ধে নিন্দা জানানোর চেয়ে রাশিয়ার সদস্যরা তাদের দেশের ওপর ব্যাপক নজর দেওয়া হবে বলে আশা করছিলেন।
জাতিসংঘে রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া পরিষদে বলেছেন, আমার বার্তা হলো-অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করতে হবে। অস্ত্রবিরতি করতে হবে। অর্থপূর্ণ সংলাপ হতে হবে। দশকের পর দশক ধরে এই কথাটিই বলা হয়েছে। অনিষ্পন্ন এই ইস্যুগুলোর আংশিক ফল এই যুদ্ধ।
অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের কাছে মার্কিন সিনিয়র কূটনীতিক রবার্ট উড বলেন, হামাসের হামলার নিন্দা জানিয়েছে বেশ কিছু দেশ। তবে স্পষ্টতই সবাই নিন্দা জানায়নি। তাদের সম্পর্কে আমি কিছু না বললেও সম্ভবত আপনারা তাদের একটি দেশকে চিনতে পারেন। এর মধ্য দিয়ে তিনি রাশিয়ার দিকে ইঙ্গিত করেন।
২০০২ সালে ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। তারা বলেছে, এই সংকট নিয়ে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে আরও বৈঠক প্রয়োজন।
দেশটির রাষ্ট্রদূত লানা জাকি নুসেইবে বলেন, আমি মনে করি প্রত্যেকেই বুঝতে পারছেন পরিস্থিতি ভয়াবহ উদ্বেগের। নিরাপত্তা পরিষদের অনেক সদস্যই বিশ্বাস করেন এই সংকটের ফাইনাল সমাধান হলো দ্বিরাষ্ট্রভিত্তিক সমাধান।
তবে এই মিটিংয়ে যোগ দেননি ইসরাইল বা ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষের কেউ। তবে ইসরাইলের দখলদারিত্ব বন্ধের জন্য কূটনীতিকদের দৃষ্টি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর।
তিনি বলেন, দুঃখজনক হলো যখন ইসরাইলিরা মারা যান, তখন কিছু মিডিয়া এবং রাজনীতিক কথা বলা শুরু করেন।
তিনি আরও বলেন, এটা সেই সময় নয় যখন ইসরাইলকে তার ভয়াবহতা দ্বিগুণ করতে অনুমতি দেওয়া যায়। এটা সেই সময়, যখন ইসরাইলকে তার পথ পরিবর্তনের জন্য বলা উচিত। তাদের বলা উচিত শান্তির একটি পথ আছে। তাতে কোনো ফিলিস্তিনি বা ইসরাইলি নিহত হবে না।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭