ইনসাইড বাংলাদেশ

ধসে পড়ার ঝুঁকিতে গিদারি নদীতে নির্মিত পুরাতন ব্রিজটি


প্রকাশ: 10/10/2023


Thumbnail

কুড়িগ্রামের উলিপুরের পান্ডুল ইউনিয়নের কাগজিপাড়া গ্রামে গিদারি নদীর উপরের পুরাতন ব্রিজটি যেকোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়ার শঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। 

 

রাতের পর থেকে তীব্র পানির স্রোতে ব্রিজের উত্তর দিকের নিচের মাটি সরে যায়। এতে ব্রিজের ভিত্তিতে ভাঙ্গন ধরে। একমাত্র মাঝের পিলারের অর্ধেক অংশ ধসে পড়েছে। ইতোমধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড জিও ব্যাগ ফেলে পানির স্রোতের তীব্রতা কমানোর চেষ্টা করছে। তবে এর কার্যকারিতা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে এলাকাবাসী। প্রায় পাঁচ দশক আগে নির্মিত ব্রিজটি ভেঙে পড়লে ওই ইউনিয়নের ৬টি গ্রামের অন্তত ১৫ হাজার মানুষ যাতায়াতে ভোগান্তিতে পড়বে। 

 

গত বছর ওই নদীটি খনন করে পাউবো। এতে পানির স্রোত বেড়ে যায়। অন্যদিকে ব্রিজটির একাংশ বস্তা দিয়ে বেঁধে অন্য অংশে মাছ ধরে স্থানীয় কিছু লোকজন। এতে স্রোতের তোড়ে ১০ মিটার আয়তনের গ্রামীণ ব্রিজটি শনিবার থেকে ঝুঁকিতে।

 

স্থানীয়রা জানান, ব্রিজটি অনেক পুরনো। পাকিস্তান আমলের বলেও মনে করেন কেউ কেউ। দু’পাশের ছয়টি গ্রামের মানুষ এ ব্রিজ দিয়ে চলাফেরা করেন। আমবার আলী চাকলিরপাড় গ্রামের বাসিন্দা। তিনি বলেন, চাকলিরপাড়, কাগজিপাড়া, আমভদ্রপাড়া, জটিয়াপাড়াসহ ৬-৭টি গ্রামের মানুষ চলাচল করে এ সড়কে। ১৫ থেকে ১৮ হাজার মানুষের যাতায়াতে এটাই ভরসা।

 

অনেকে বলেন, পাকিস্তান আমলে ব্রিজটি বানানো হয়েছে শুনেছি। ব্রিজ ঠিকই ছিল। কিন্তু নিচের মাটি সরে গিয়ে যেকোনো সময় ভেঙে যাবে। কাগজিপাড়া প্রাইমারী স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা এই ব্রিজ দিয়ে যাওয়া আসা করে। এখানকার মানুষ হাট-বাজারে যায় এ সড়ক দিয়ে। শিগগিরই ব্যবস্থা না নিলে লোকজনের খুব সমস্যা হবে।

 

যেহেতু, কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টি হচ্ছে। এবার গিদারি নদী খনন করেছে। ফলে বৃষ্টির পানির স্রোত বেড়েছে। গত শনিবার রাতে ভারী বৃষ্টির পর ব্রিজের নিচের মাটি সরে যায়। মাঝের পিলারের অর্ধেক অংশ খসে যায়। ব্রিজটি রক্ষায় পানি উন্নয়ন বোর্ড বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে।

 

গিদারি নদী খনন প্রকল্পের ঠিকাদারের প্রতিনিধি জাহাঙ্গীর আলম জানান, ব্রিজের উজানের থেকে ভাটি নিচু ছিল। ব্রিজ যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য দুই দিকে নদী খনন করা হয় নি। পানির স্রোতে ব্রিজের ক্ষতি হয়েছে। পাউবোর নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমরা জিও ব্যাগ ফেলেছি।

 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কুড়িগ্রাম নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ব্রিজটি অনেক পুরনো। এলাকার লোকজন একদিক বন্ধ করে রাখায় ঝুঁকিতে পড়ে। আমরা নিয়ম অনুযায়ী ব্রিজের দুই পাশে ৫০ মিটার করে খনন করি না। এখানে তাই করা হয়েছে। ব্রিজটি রক্ষায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭