ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপি শেখ হাসিনা ছাড়া কাউকে নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধানমন্ত্রী চায়


প্রকাশ: 10/10/2023


Thumbnail

বিএনপি নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করছে। বিভিন্ন কূটনীতিকদের সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে বৈঠকেও তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির যুক্তি কথা তুলে ধরছে। তবে সমঝোতা হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে তারা কিছুটা সরে আসতে পারে এমন ইঙ্গিতও দিয়েছে। তবে একটি ব্যাপারে তারা কোনো আপস বা সমঝোতা করবে না। সেটি হল প্রধানমন্ত্রী হিসেবে যদি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা থাকেন। মার্কিন প্রাক নির্বাচনী পর্যবেক্ষক দলের সাথে বৈঠকেও তারা এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তারা বলেছে, আর যাই হোক শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়। যদিও তারা নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের যুক্তিকতা তুলে ধরেছে। তবে বিভিন্ন আলাপ-আলোচনায় তারা সুস্পষ্টভাবে একটি বার্তা দিয়েছে যে বর্তমান সংবিধানের অধীনেও নির্বাচন হতে পারে এবং সেই নির্বাচনেও যেতে পারে যদি শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী না থাকেন। এক্ষেত্রে বর্তমান সংবিধানের আলোকে কিভাবে অন্য কাউকে প্রধানমন্ত্রী করা যায় সেই ফর্মুলাও বিএনপির পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। 

বিএনপির নেতারা বলছেন, সকলে মিলে আলাপ-আলোচনা করে একজন নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তিকে নির্ধারণ করা হবে এবং এই নির্দলীয় নিরপেক্ষ ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করবেন এবং মন্ত্রিসভার অন্যান্য সদস্যরা দলীয় হতে পারেন বা অন্য দলেরও হতে পারেন। সেটি কোনো মুখ্য বিষয় নয়। তবে প্রধানমন্ত্রী হবেন একজন নির্দলীয় ব্যক্তি। তিনি বর্তমান সংবিধানে মন্ত্রিসভার এক দশমাংশ অর্থাৎ ১০ জন মন্ত্রিসভার একজন অনির্বাচিত ব্যক্তি হতে পারেন এবং প্রধানমন্ত্রী হবেন সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের আস্থাভাজন ব্যক্তি বা নেতা। কাজেই সংসদে যদি তিনি আস্থাভাজন হন এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ যদি তাকে মেনে নেয় তাহলে তার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা হবে না। এইরকম একজন ব্যক্তির নেতৃত্বে যদি একটি সরকার গঠিত হয় যা সংবিধান কাঠামোর মধ্যে তাহলে বিএনপি নির্বাচনে আসতে রাজি বলে বিভিন্ন কূটনৈতিকদেরকে তারা জানিয়েছে। তবে সেই মন্ত্রিসভায় আওয়ামী লীগের সদস্যদের পাশাপাশি অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সদস্য থাকতে হবে। 

আওয়ামী লীগের নেতারা বিএনপির এই প্রস্তাবকে হাস্যকর এবং উদ্ভট বলে মন্তব্য করেছেন। তারা বলেছেন, যারা এটা এ ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তাদের সংবিধান সম্পর্কে কোনো ধারণা নেই বা সংবিধানের ব্যাপারে তারা অপব্যাখ্যা দিচ্ছেন। কারণ সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রধানমন্ত্রী হন সংসদ নেতা যিনি সংসদের আস্থাভাজন ব্যক্তি। শেখ হাসিনা ছাড়া আওয়ামী লীগের কাছে কেউই আস্থাভাজন নন এবং কেউ কাউকেই প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মেনে নেবে না। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে অন্য বিষয়ে তারা আলাপ-আলোচনা করতে পারে, ছাড় দিতে পারে। কিন্তু শেখ হাসিনার প্রসঙ্গে তারা কোনো রকম ছাড় দেবে না এবং কোনো আলাপ-আলোচনাতেও যাবে না। নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান হবেন শেখ হাসিনাই। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়ে গেছেন তা হলো নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান কে হবেন? আর বিএনপি মনে করছে এখনও সংবিধান সংশোধন করা যায়, সংবিধান না সংশোধন করেও নিরপেক্ষ একজন ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী করা যায়। তবে আওয়ামী লীগ এই প্রস্তাব সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭