ইনসাইড পলিটিক্স

গ্রেপ্তার হতে পারেন ফখরুল-আব্বাস-রিজভী সহ শীর্ষ বিএনপির নেতারা


প্রকাশ: 11/10/2023


Thumbnail

সরকার আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে বদ্ধপরিকর। সংবিধানে বেঁধে দেওয়ার সময় সূচি অনুযায়ী এই নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে চায় সরকার। আর এই নির্বাচনের পথে যারাই বাধা দিবে তাদের ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করবে সরকার। সরকারের উচ্চ পর্যায়ের নীতিনির্ধারক মহলে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এরকম কঠোর অবস্থানে গিয়ে নির্বাচন করার লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করতে পারে। সরকারের দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিএনপি ৯ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত সারা দেশে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ১৮ অক্টোবর ঢাকায় মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি চূড়ান্ত কর্মসূচি গ্রহণ করতে চায় বলেও জানানো হয়েছে। বিএনপি চাইছে যে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই দেশকে অচল করে দিতে। ঢাকা অবরোধ, অসহযোগ আন্দোলনের মতো কর্মসূচি দিয়ে সবকিছু বন্ধ করে দিতে। আর এরকম পরিস্থিতি করে যেন নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি হয় এটি বিএনপির রাজনৈতিক কৌশল। সরকারের কাছে বিএনপির এই রাজনৈতিক কৌশলের ব্লু প্রিন্ট রয়েছে। সরকার নিজস্ব উদ্যোগে বিএনপির অভিপ্রায় সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জানতে পেরেছে বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপির এই নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রকে কঠোরভাবে মোকাবিলা করবে সরকার।

সরকারের দায়িত্বশীল একজন ব্যক্তি বলেছেন, কোনো ষড়যন্ত্রের কাছেই সরকার মাথা নোয়া না। নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়ে হবে। এর আগেও বিএনপির পক্ষ থেকে দেশ অচল করে দেওয়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। গত বছরের ১০ ডিসেম্বর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছিল এবং সেই মহাসমাবেশ থেকে ঢাকায় অবস্থানের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছিল। বিএনপির একজন শীর্ষ নেতা এই তথ্য ফাঁস করে দিয়ে ছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন যে, ১০ তারিখের পর থেকে বেগম খালেদা জিয়ার কথায় দেশ চলবে। সরকার পরবর্তীতে কঠোর অবস্থানে যায়। ৭ ডিসেম্বর বিএনপি নেতারা যখন নয়াপল্টনে অবস্থান গ্রহণ শুরু করে তখন এই অবস্থান ছত্রভঙ্গ করে দেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি বিএনপির একাধিক শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর ফলে বিএনপির সেই অবস্থান কর্মসূচি এবং সরকার পতনের নীল নকশা ভেস্তে যায়। 

এবারও বিএনপি ঠিক একই রকম পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলে সরকারের কাছে যথেষ্ট তথ্য প্রমাণ রয়েছে। আর এটি যেন না করতে পারে সেই জন্য সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। বিএনপির প্রায় সব শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কোন কোন নেতার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলাও রয়েছে। তারা বিভিন্ন আদালত থেকে জামিন নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর সামনের দিনগুলোতে তারা দেশকে অচল করে দেওয়ারও পরিকল্পনা করছেন। এরকম পরিস্থিতি যেন না হয় সেই জন্যই সরকার গ্রেপ্তার করতে পারেন একাধিক শীর্ষ নেতাকে। 

ইতিমধ্যে বিএনপির একজন মধ্যস্তরের নেতাকে গতরাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সামনের দিনগুলোতে সব কিছু বুঝে শুনে বিএনপির অন্তত এক ডজন শীর্ষ নেতাকে আটক করবে সরকার এমন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। এদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী সহ অনেকে। উল্লেখ্য, এর আগেও ২০১৩ সালে বিএনপি একই ধরনের সংঘাত এবং সহিংসতার পথ বেছে নিয়েছিল। তখনও সরকার কঠোর অবস্থানে গিয়েছিল। নির্বাচনে যেন কোনরকম গোলযোগ না হয়, একটি উৎসবমুখর নির্বাচন হয় সেটি নিশ্চিত করতে চায় সরকার। আর এটি করতে গিয়ে যারাই এই নির্বাচনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াবে তাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার এমন একটি পরিকল্পনা সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে গ্রহণ করা হয়েছে বলেই জানা গেছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭