ইনসাইড বাংলাদেশ

বাংলাদেশ নিয়ে কি হচ্ছে দিল্লিতে


প্রকাশ: 12/10/2023


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী কিছুদিন আগেই জি-টুয়েন্টি সম্মেলনে দিল্লি গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎ করেন। কিন্তু তারপরও বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন এবং রাজনীতির গতিপ্রবাহ নিয়ে দিল্লির সক্রিয় ভূমিকা বন্ধ হয়নি। বরং দিল্লি এখন আগের চেয়ে অনেক বেশি সজাগ হয়েছে বলে জানা গেছে। 


জাতীয় সংসদের স্পিকার শারমিন চৌধুরী এখন দিল্লিতে অবস্থান করছেন। এছাড়াও প্রভাবশালী নেতা এবং ১৪ দলের অন্যতম সমন্বয় আমির হোসেন আমু দিল্লিতে রয়েছেন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভারতের রাজধানীতে যাবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সমস্ত রাজনৈতিক নেতাদের দিল্লি সফরের একটি গভীর রাজনৈতিক তাৎপর্য রয়েছে বলে কোনো কোনো রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছে। 


যদিও আওয়ামী লীগের নেতারা এই ধরনের বক্তব্যকে অস্বীকার করেছেন। তারা বলছেন যে স্পিকার বিশেষ অনুষ্ঠানেই দিল্লি গেছেন। এটির সাথে কোনো রাজনৈতিক বিষয়ে জড়িত না। অন্যদিকে আমির হোসেন আমু বিভিন্ন সময় ভারতে যান। সেখানে তিনি চিকিৎসা করান। বিভিন্ন রাজনৈতিক বন্ধু তার রয়েছে। তাদের সাথে কথাবার্তা বলেন। এটি কোন আলাদা ভাবে আলোচ্য বিষয় নাই। 

কিন্তু রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় স্পিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। তাছাড়া এখনকার সংবিধান অনুযায়ী নতুন সংসদ গঠিত না হওয়া পর্যন্ত বর্তমান সংসদ বহাল থাকে। এই কারণে রাজনৈতিক সংকট সমাধানে স্পিকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। আর এই কারণেই তিনি দিল্লিতে কোন আলাপ আলোচনা করবেন কিনা অনেকে প্রশ্ন তুলেছেন। যদিও এর কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। 

আমির হোসেন আমু ভারত ঘনিষ্ঠ একজন রাজনীতিবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি ১৪ দলের সমন্বয়ক। ভারতে গিয়ে তিনি বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন। আমির হোসেন আমুর দিল্লির সফরটির কিছু তাৎপর্য রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন। তারা মনে করেন যে ১৪ দল এখন সক্রিয় নয়। আগামী নির্বাচনে১৪ দলের ভূমিকা কি হবে সেটি একটি বড় ইস্যু। আমির হোসেন আমু যেহেতু ১৪ দলের সমন্বয়ক সেই জন্য তার দিল্লি যাওয়াটা প্রাসঙ্গিক বলেই অনেকে মনে করছেন। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচন যেন অংশগ্রহণমূলক হয় সেই জন্য একটি রূপ পরিকল্পনা তৈরি করেছে। যে রূপ পরিকল্পনায় সবগুলো রাজনৈতিক দলকে পৃথক পৃথক অবস্থান থেকে নির্বাচন করার কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ, আওয়ামী লীগের মতো জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টির মতো জাসুদ, জাসুদের মতো করে নির্বাচন করবে। সেক্ষেত্রে ১৪ দলের অস্তিত্ব থাকবে কি থাকবে না, ১৪ দলের ভূমিকা কি হবে এই বিষয়গুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমির হোসেন আমু সেই বিষয়গুলো নিয়ে কথা বলার জন্য দিল্লিতে গেছেন কিনা তা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন।

ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসাবে তিনি দিল্লিতে যাবেন এবং সেখানে ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নিশ্চয়ই তিনি কথাবার্তা বলবেন। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের বিষয় এখানে ভারত যেটি করতে পারে তা হলো আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এবং স্বীকৃতি আদায় করে দেওয়া। যেটি তারা ২০১৪ এবং ২০১৮’র নির্বাচনে করেছিল। কিন্তু ভারতও চায় বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হোক। আর এই বার্তাটি ভারত সরাসরি ভাবে বাংলাদেশের নীতি নির্ধারকদের কাছে দিয়েছে। এখন দেখার বিষয় যে নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের দিল্লির সফর অন্য কোনো বার্তা দেয় কিনা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭