ইনসাইড বাংলাদেশ

হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের মিছিলে যুবলীগ-ছাত্র লীগের হামলা


প্রকাশ: 13/10/2023


Thumbnail


দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে বিভিন্নজনের ‘কটাক্ষ’ করে বক্তব্য এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগে কুমিল্লায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ। এ সময় মহানগর যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ধাওয়া দিয়ে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধাওয়ার সময় ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এ ঘটনায় তিনজন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুমিল্লা নগরের নজরুল অ্যাভিনিউ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। হামলার আগে পুলিশ মিছিলে বাধা দেয় বলেও অভিযোগ করেছেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতারা।

সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসকে নিয়ে মুন্সীগঞ্জের মেয়র ফয়সাল বিপ্লবের ‘সাম্প্রদায়িক গালাগাল’, কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিনের ‘দুর্গাপূজাকে কটাক্ষ করে মন্তব্য’, কুড়িগ্রামের চারণ কবি রাধাপদ রায়ের ওপর হামলা এবং বিভিন্ন জায়গায় পূজার প্রাক্কালে মন্দিরে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগের প্রতিবাদে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করেছিল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ।

হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কুমিল্লা জেলার সাধারণ সম্পাদক তপন বকসী বলেন, ‘মিছিল নিয়ে আমরা কর ভবনের কাছ পর্যন্ত এলে পুলিশ আমাদের বলে আরেকটি মিছিল আসছে আমরা যেন ফিরে যাই। আমরা সঙ্গে সঙ্গে ফিরে যাচ্ছিলাম। এ সময় তারা (ওই মিছিলে থাকা নেতাকর্মীরা) আমাদের ওপর পেছন থেকে হামলা চালায়। এতে আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছেন। তবে তিনজনের বেশি আহত হয়েছেন বলে আমার ধারণা। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

কারা হামলা করেছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তপন বকসী আরও বলেন, ‘গতকাল সদরের এমপি বাহার সাহেব ঘোষণা দিয়েছেন, বিক্ষোভ মিছিল নামলে প্রতিহত করবে ছাত্রলীগ ও যুবলীগ। এটা কে করেছে বুঝে নেন। তা ছাড়া ওই মিছিলে ছিলেন মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ শহিদসহ আওয়ামী লীগের নেতারা।’

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে কুমিল্লা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল ধরেননি। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের অন্য কোনো নেতাও মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ঘটনার পর আহতদের দেখতে যান কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান ও জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নানসহ প্রশাসন ও পুলিশের কর্মকর্তারা। আহতরা হলেন- স্কুলশিক্ষক আদিত্য দাস, সুনীল দাস ও তন্ময় দাস। তারা সবাই ঠাকুরপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) পঙ্কজ বড়ুয়া বলেন, ‘প্রতিবাদ সমাবেশে হামলায় আহতদের দেখতে দুপুরে তাদের বাসায় যান জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার। এ সময় তাদের চিকিৎসার খোঁজখবর নিয়ে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।’

 



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭