প্রকাশ: 14/10/2023
সনাতন
ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
শারদীয় দুর্গোৎসবের পুণ্যলগ্ন, শুভ মহালয়া আজ।
পুরাণমতে, এদিন দেবী দুর্গার
আবির্ভাব ঘটে। এই দিন
থেকেই শুরু দেবীপক্ষের। শ্রী
শ্রী চণ্ডীপাঠের মধ্য দিয়ে দেবী
দুর্গার আবাহনই মহালয়া হিসেবে পরিচিত। আর এই ‘চণ্ডী’-তেই আছে দেবী
দুর্গার সৃষ্টির বর্ণনা।
মহালয়া
মানেই আর ছয় দিনের
প্রতীক্ষা মায়ের পূজার। আর এই দিনেই
দেবীর চক্ষুদান করা হয়।
বাঙালি
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
দুর্গাপূজার এই সূচনার দিনটি
সারা দেশে বেশ আড়ম্বরের
সঙ্গে উদযাপন হচ্ছে। আজ শনিবার (১৪
অক্টোবর) ভোর ৬টায় রাজধানীর
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে মহালয়ার বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের
অন্যান্য মন্দিরেও এ উপলক্ষে বিশেষ
অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
দেবী
দুর্গার আগমন উপলক্ষে দিনটি
উদযাপন করতে আজ ভোর
সাড়ে ৫টায় বনানী মাঠে
দেবীবরণের আয়োজন করে গুলশান-বনানী
সর্বজনীন পূজা ফাউন্ডেশন। এ
সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তথ্য ও
সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।
মহিষাসুরমর্দিনী
দেবী দূর্গা সমস্ত অশুভ শক্তি বিনাশের
প্রতীক রূপে পূজিত। মহামায়া
অসীম শক্তির উৎস। পুরাণ মতে,
মহালয়ার দিনে, দেবী দুর্গা মহিষাসুর
বধের দায়িত্ব পান। শিবের বর
অনুযায়ী কোনো পুরুষ মানুষ
বা দেবতা কখনও মহিষাসুরকে হত্যা
করতে পারবে না। ফলে অসীম
ক্ষমতাশালী মহিষাসুর দেবতাদের স্বর্গ থেকে বিতারিত করে
এবং বিশ্ব ব্রক্ষ্মাণ্ডের অধীশ্বর হতে চায়। এরপর
দেবী দুর্গা মহিষাসুরকে বধ করেন।
মহালয়ার
আরেকটি দিক হচ্ছে, এই
মহালয়া তিথিতে যারা পিতৃ-মাতৃহীন
তারা তাদের পূর্বপূরুষদের স্মরণ করে তাদের আত্মার
শান্তি কামনা করে অঞ্জলি প্রদান
করেন। সনাতন ধর্ম অনুসারে, এই
দিনে প্রয়াতদের আত্মা মর্ত্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। প্রয়াতদের আত্মার
এই সমাবেশকে মহালয় বলা হয়। মহালয়
থেকে মহালয়া। পিতৃপক্ষেরও শেষদিন এটি।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭