প্রকাশ: 16/10/2023
আজ ১৬ (অক্টোবর) বিশ্ব
খাদ্য দিবস। সারা বিশ্বের ন্যায়
বাংলাদেশেও আজ দিবসটি নানা
আনুষ্ঠানিকতায় পালন করা হচ্ছে।
বিশ্ব খাদ্য দিবসে বাংলাদেশের প্রতি চারজনের মধ্যে একজন মানুষ খাদ্য
নিরাপত্তাহীনতায় আছে। আর হতদরিদ্র
জনগোষ্ঠীর ৪৬ শতাংশ আছেন
এ অবস্থায়। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) থেকে চলতি মাসে
প্রকাশ করা এক জরিপ
প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে
এসেছে।
আজ বাংলাদেশে যখন খাদ্য দিবসটি
পালন করা হচ্ছে তখন
খাদ্য পণ্যের দাম এত বেশী
যে হত দরিদ্ররা অনেকেই
তাদের খাদ্য তালিকা থেকে পুষ্টিকর খাদ্য
বাদ দিয়ে দিয়েছেন। আর্থিক
কারণেই তারা দুধ, ডিম,
ফলমূল, সবজিসহ অনেক পুষ্টিকর খাবারের
কাছেই যেতে পারছে না।
ফলে দেশের বিশাল একটি জনগোষ্ঠি প্রতিদিনের
পুষ্ঠি থেকে বাদ পড়ছে।
জিগাতলায়
বসবাস করে ভ্যান চালক
কালাম। পণ্যের বাজার মূল্যের কথা তুলতেই তিনি
বলেন, আমরা গরীব মানুষেরা
কেমন করে বাঁচবো। প্রতিদিনই
খাদ্যে পণ্যের দাম বাড়ছে। প্রতিদিন
যে টাকা রোজগার/ কামাই
করি তাতে সংসারতো আর
চলে না।
‘বাংলাদেশ
ফুড সিকিউরিটি মনিটরিং রিপোর্ট: মে-আগস্ট’ শীর্ষক
প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে ৩
অক্টোবর। দেশে প্রাকৃতিক দুর্যোগ
বেড়ে যাওয়া এবং এ কারণে
মানুষের ক্ষয়ক্ষতির বৃদ্ধি খাদ্য পরিস্থিতির অবনতির অন্যতম কারণ বলে প্রতিবেদনে
উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে
বলা হয়েছে, দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায়
গ্রীষ্মকালে কম বৃষ্টি হয়েছে
ও টানা তাপপ্রবাহ ছিল।
বিশেষ করে রাজশাহী বিভাগে
তাপপ্রবাহের তীব্রতা ছিল বেশি। গত
আগস্টে চট্টগ্রাম ও সিলেট হঠাৎ
বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। এ
ছাড়া ঘূর্ণিঝড় ও ভূমিধসের ঘটনাও
ঘটেছে। গত বছরও একই
ধরনের আবহাওয়ার কারণে খাদ্যনিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছিল।
এর আগে গত সেপ্টেম্বরে
‘বাংলাদেশ মার্কেট মনিটর: মে-জুলাই’ শীর্ষক
আরেকটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে ডব্লিউএফপি। সেখানে
সংস্থাটি প্রবাসী আয় কমে যাওয়া
এবং রিজার্ভ-সংকটের (বৈদেশিক মুদ্রা) কারণে বাংলাদেশে খাদ্যপণ্যের দাম বাড়ছে বলে
উল্লেখ করে। একই সঙ্গে
সার, বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম
বেড়ে যাওয়ায় চাল ও সবজির
মতো খাদ্যপণ্যের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে
বলেও ওই প্রতিবেদনে বলা
হয়েছিল।
গত আগস্টে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২৫ শতাংশ কমেছে
এবং টাকার মান এযাবৎকালের মধ্যে
সবচেয়ে বেশি কমেছে বলে
প্রতিবেদনে জানানো হয়।
ডব্লিউএফপির
প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতে চাইলে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ এক কর্মকর্তা বলেন,
সরকারি গুদামে ১৫ লাখ টনের
ওপরে চাল ও দেড়
লাখ টনের মতো গম
আছে। আর স্বাধীনতার পর
সবচেয়ে বিস্তৃত সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় চাল ও গম
বিতরণ করছে সরকার। খাদ্য
অধিদপ্তরের নিয়মিত কর্মসূচির বাইরে সরকার টিসিবির মাধ্যমে এক কোটি দরিদ্র
মানুষের জন্য চাল, গমসহ
বিভিন্ন খাদ্যপণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রির ব্যবস্থা করছে। ফলে বিশ্ব খাদ্য
কর্মসূচি যে ২৪ শতাংশ
মানুষ খাদ্যনিরাপত্তাহীনতায় আছেন বলে তথ্য
দিচ্ছে, তা সঠিক মনে
হয় না।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭