লিভিং ইনসাইড

ইন্ডোর প্ল্যান্ট দিতে পারে আমাদের মানসিক শান্তি


প্রকাশ: 18/10/2023


Thumbnail

আমাদের দিনের কাজের প্রচুর ব্যস্ততার মাঝে যদি ছোট একটি  সবুজ গাছের দিকে তাকাই আমাদের   খিটখিটে মেজাজ ভালো হয়ে যেতে পারে। সবুজ গাছের দিকে তাকালে  যেকোন মানুষের মন ভালো হয়ে যেতে পারে। বর্তমান সময়ে উন্নত  দেশের মত বাংলাদেশও জনপ্রিয় হচ্ছে ইন্ডোর প্ল্যান্ট।  চার দেয়ালের আবদ্ধ ঘরে অন্য কোন উদ্ভিদ বাঁচতে না পারলেও ইন্ডোর প্ল্যান্ট ঠিকই বাঁচে। সূর্যের আলো ছাড়া ঘরের বিতর বাঁচতে পারে বলেই এর নাম ইন্ডোর প্ল্যান্ট। বাংলাদেশে বিভিন্ন রকম ইন্ডোর প্ল্যান্ট রয়েছে যেমন : অ্যালোভেরা, ক্যাকটাস,মানি  প্ল্যান্ট, পিস লিলি, স্নেক প্ল্যান্ট,লাকিবেম্বু, গোল্ডেন পথোস স্পাইডার প্ল্যান্ট  ইত্যাদি। 

 

নাসার গবেষণায় দেখা গেছে যে ইনডোর প্লান্ট ক্ষতিকারক পদার্থ যেমন কার্বন মনোক্সাইড, ফর্মালডিহাইড, অ্যামোনিয়া, কার্বন ডাই অক্সাইডসহ আরও অনেক কিছু দূর করে। এগুলো মূলত মাথাব্যথা, ক্লান্তি, অসুস্থতা ও অ্যালার্জির কারণ হিসেবে পরিচিত। ঘরে কিছু ইনডোর প্ল্যান্ট যুক্ত করা হলে বাতাসের গুণমান বাড়ে এবং বাতাস আরও পরিষ্কার হয়।

 

প্রচুর কাজ আমাদের সবাইকে মানসিক ভবে বিপর্যস্ত করে তুলে ইন্ডোর প্ল্যান্টের সবুজ রঙ আমাদের দেহ ও মনে প্রশান্তি আনে। চারপাশে গাছপালা এক ধরণের মানসিক শান্তি আনে। তাছাড়া মনের চাপ কমাতে, রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে ইনডোর প্লান্ট।

 

ইন্ডোর প্ল্যান্ট আমাদের অফিস, বাসা, রেস্টুরেন্টকে আরো মানুষের কাছে আকর্ষনীয় করে তুলে। কেউ যদি গৃহের একঘেয়েমি সাজসজ্জা দূর করতে চায়, সেক্ষেত্রে ইনডোর প্ল্যান্টের জুড়ি মেলা ভার। কারণ ইনডোর প্ল্যান্টের রঙ আর আকারে রয়েছে বৈচিত্র্য। বইয়ের শেলফের এক কোণায় ছোট ক্যাকটাস, কিংবা ঘরের কোনো ছোট অংশ ফাঁকা লাগলে বড় সাইজের একটা পাম গাছ ঘরের সৌন্দর্যই বদলে দেবে।

 

এত সব গুনের কারণে ইন্ডোর প্ল্যান্ট জায়গা করে নিয়েছে কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের টেবিলে। আশাকরা যায় ভবিষ্যতে ইন্ডোর প্ল্যান্টের ব্যবহার খুব দ্রুতই আরো বৃদ্ধি পাবে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭