ইনসাইড থট

‘শেখ রাসেল আমাদের মাঝে বেঁচে থাকবে চিরকাল’


প্রকাশ: 18/10/2023


Thumbnail

আজ ১৮ অক্টোবর। ১৯৬৪ সালের এই দিনে জন্মগ্রহন করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল। শেখ রাসেল নামটা শুনলেই পুরো বাঙালি জাতির মনের মাঝে ভেসে ওঠে ১০ বছরের এক বাচ্চার ছবি। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট মাত্র ১১ বছর বয়সে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের সঙ্গে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হয় ছোট শিশু রাসেল।

শৈশব থেকেই দুরন্ত প্রাণবন্ত রাসেল ছিলেন পরিবারের সবার অতি আদরের। একটি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হলেও শিশু রাসেল ছিল অন্য শিশুদের মতই। সে খালাধুলা করতে ভালবাসত, বড়দের সম্মান করত, মা-বাবার কাছে নানা আবদার করতেন। বিশ্ব রাজনীতি এসবকিছু বোঝার বয়স তার ছিল না। যে দেশের মুক্তির জন্য তার বাবা নেতৃত্ব দিয়েছিল, সেই স্বাধীন দেশে, নিজের মানুষের হাতেই প্রাণ দিতে হলো নাবালক রাসেলকে। এই স্বাধীন বাংলাদেশের বেড়ে ওঠার সুযোগ তিনি পেলেন না। তার বড় বোন দার্শনিক রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা কিভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীন করা দেশকে সোনার বাংলায় পরিণত করলেন তার কিছুই জানা হলো না শেখ রাসেলের। এখনও যখন দার্শনিক শেখ হাসিনা বিভিন্ন জায়গায় বক্তৃতা দেন, শেখ রাসেলের প্রসঙ্গ এলেই তার চোখ দিয়ে অশ্রু ঝরে। ভাই হারানোর বেদনা তিনি এখনও হৃদয়ে বয়ে বেড়ান।

আজ যারা মানবাধিকারের বড় বড় বুলি ছাড়েন, সেসব মানবাধিকারের ফেরিওয়ালারা সেদিন কোন প্রতিবাদ করেনি। তারা দেখেও না দেখার ভান ধরে ছিলেন। দেখবেন কি করে? তারা হচ্ছেন ভাড়ায় চালিত। ফিলিস্তিনে যখন হাজারো মা ও শিশুদের হত্যা করা হয় তখন তাদের মানবাধিকারের কথা শোনা যায় না। কিন্তু একজন ইহুদির কিছু হলে তারা চিৎকার করে গলা ফাটায়। তাই ১০ বছরের শেখ রাসেলকে হত্যার সময় তাদের মানবাধিকার কেন জাগ্রত হয়নি সেটি বললে বরং আমার মনে হয় শেখ রাসেলের আত্মার প্রতি অবমাননা করা হবে। রাসেলের মত আর কোন শিশু যাতে অকালেই ঝড়ে না পরে, প্রতিটি শিশু যাতে বাঁচার অধিকার পায়, সবুজ ফসলের মাঠ জুড়ে ঘুড়ে বেড়ানোর সুযোগ পায় দার্শনিক শেখ হাসিনা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

কমিউনিটি ক্লিনিক ট্রাস্টের সভাপতি হিসেবে প্রায়ই আমাকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে হয়। সেখানে দেখি শেখ রাসেলের কাছাকাছি বয়সের অনেক শিশু কমিনিটি ক্লিনিক থেকে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে বেঁচে আছে। আমরা যদি কমিউনিটি ক্লিনিক ঠিক মত চালিয়ে শেখ রাসেলের বয়সী বাচ্চাদের স্বাস্থসেবা দিতে পারি, তাদের জীবন নাম উন্নয়নে সহযোগিতা করতে পারি, তাহলেও শেখ রাসেলের আত্মার প্রতি ন্যায় বিচার করা হবে।

রাসেল হয়ত শারীরিকভাবে আমাদের মাঝে আর ফিরে আসবে না। কিন্তু শেখ রাসেলের নাম শুনলেই ভেসে উঠবে ছোট্ট এক শিশুর ছবি, উসকো-খুশকো চুল, ডাগর-ডাগর চোখ আর তার নিষ্পাপ চাহনি, মায়াকাড়া হাসি। বেঁচে থাকলে আজ তার বয়স হত ৫৮ বছর, কিন্তু আমাদের কাছে রাসেলের বয়স যে আটকে আছে সেই দশেই। সে চিরকাল সেভাবেই আমাদের মাঝে জীবিত থাকবেন।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭