ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

গাজায় প্রতি ১৫ মিনিটে ১টি শিশুর প্রাণ নিচ্ছে ইসরায়েল


প্রকাশ: 18/10/2023


Thumbnail

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকার নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। তার জবাবে ওই দিন থেকেই উপত্যকায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের বিমান বাহিনী। অভিযানে গাজার প্রায় সকল অবকাঠামোতে লক্ষ করে হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। সীমান্ত বন্ধ করে দিয়ে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনী পণ্য আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় তারা। তাতে জ্বালানি, বিদ্যুৎ ইতোমধ্যেই শেষ হয়ে গেছে, এছাড়া রয়েছে পানির সঙ্কট। এতে চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে পড়ে গাজাবাসী। 

জ্বালানির অভাবে এরই মধ্যে গাজার একমাত্র বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে পুরো গাজা এখন কার্যত অন্ধকারে। পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় এরই মধ্যে পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ফলে বাড়ছে পানিবাহিত রোগ। বিষয়টি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘও।

গত ১২ দিন ধরে গাজা উপত্যকায় বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় এখন পর্যন্ত তিন হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন প্রায় ১২ হাজার ৫০০ জন। এসকল হামলায় নিহতের মধ্যে ৫০ শতাংশেরও বেশি মহিলা ও শিশু বলে জানা গেছে। গাজায় চলমান হামলায় প্রতি মুহূর্তে প্রাণহানির সংখ্যা আরও বাড়ছে । 

অন্যদিকে তীব্র হামলা অব্যাহত থাকা অবস্থায় ইসরায়েল গতকাল গাজার একটি হাসপাতালে লক্ষ করে বোমা হামলা চালায়। এ আকস্মিক হামলায় হামপাতালে অবস্থানরত ৫০০ জন এর অধিক বেসামরিক লোক মারা যায়। 

বেসরকারি দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন বলছে, ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজা উপত্যকায় প্রতি ১৫ মিনিটে ১টি শিশুর মৃত্যু হচ্ছে। উপত্যকায় মানবিক সংকটের কথা বিবেচনা করে অবিলম্বে হামলা বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি। 

মৃত্যুর সংখ্যা আরও বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সেভ দ্য চিলড্রেন। ‍যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য সংস্থাটি মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গাজায় ১১ দিনের বিমান হামলায় ১ হাজারের বেশি শিশু নিহত হয়েছে। গাজায় মোট প্রাণহানির এক তৃতীয়াংশ শিশু।’

  জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গাজার অধিবাসীদের মধ্যে পানীয় জলের অভাব ও ডায়রিয়া ও কলেরার মতো পানিবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

 বিবৃতি অনুযায়ী, গত কয়েকদিনে বেশ কয়েকটি পানি শোধনাগার বন্ধ হয়ে গেছে। চালু থাকা সবশেষ সামুদ্রিক পানি বিশুদ্ধকরণ প্ল্যান্টও বন্ধ হয়ে গেছে। এর ফলে প্রচণ্ড দুর্ভোগ পোহাচ্ছে উপত্যকার কয়েক লাখ অধিবাসী।

 সংস্থাটি আরও জানায়, মঙ্গলবার (১৭ অক্টোবর) দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস এলাকায় বাসিন্দারা মাত্র তিন ঘন্টার জন্য পানি পেয়েছে। যার থেকে উপকৃত হয়েছে মাত্র ১৪ শতাংশ মানুষ। অর্থাৎ ৮৬ শতাংশ বাসিন্দাই এখন আর পানি পাচ্ছে না। 

ইউএনআরডব্লিউএ আরও বলেছে, এখনই পরিষ্কার পানি সরবারহ না হলে গাজাবাসী বিশেষত শিশুদের শীঘ্রই পানিশূন্যতায় ব্যাপক প্রাণহানি হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 সেভ দ্য চিলড্রেনের ফিলিস্তিন অফিসের পরিচালক জেসন লি বলেন, ‘পানির প্রবাহ ও গাজার শিশুদের জীবন এখন একই সূত্রে গাঁথা। যুদ্ধের অবসান বা যুদ্ধবিরতি না হলে হাজার হাজার শিশুর প্রাণহানি হবে।’




প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭