ওয়ার্ল্ড ইনসাইড

যুক্তরাষ্ট্রের যত ‘পরাজয়’


প্রকাশ: 19/10/2023


Thumbnail

বিশ্বের যে কয়টি দেশ পরাশক্তির বিচারে সবসময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকেছে তাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অন্যতম। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ দিয়েই পরাশক্তির দেশ হিসেবে দেশটির উত্থান। ব্রিটেনের কাছ থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর পরাশক্তির এই তকমাটা গ্রহণ করে আমেরিকা। বুদ্ধি খাটিয়ে কারো সাথে ঝুটঝামেলা বা যুদ্ধে না জড়িয়ে নিজেদের গা বাঁচিয়ে চলেই দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে পরাশক্তির দেশগুলোর খাতায় নিজেদের নাম লিখিয়ে নিয়েছিল দেশটি। কিন্তু সে অবস্থান হয়তো আর ধরে রাখতে পারছে না যুক্তরাষ্ট্র। এই পরাশক্তি দেশটির সূর্য এখন অস্তাচলে চলে গেছে বললেই চলে।

পরাশক্তির তকমা পাওয়ার পর থেকেই হয়তো মতিভ্রম হয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের। একের পর এক বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যুদ্ধে জড়িয়ে পরে নব্য ক্ষমতাবান দেশটি। যেন ক্ষমতা জাহির করাই হয়ে ওঠে তাদের মূল উদ্দেশ্য। কিন্তু দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র খুব কমই কোনো বড় যুদ্ধে জয়ী হয়েছে। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধ তর্কাতীতভাবে একটি সাফল্য হলেও, কোরিয়ার পর ভিয়েতনাম যুদ্ধ আমেরিকার সবচেয়ে কুখ্যাত পরাজয় বলে বিবেচিত। এছাড়া ইরাক, আফগানিস্তান যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি বড় ব্যর্থতা।

 

কোরিয়া যুদ্ধ:

১৯৫০ সালে উত্তর কোরিয়া ৩৮ ডিগ্রি অক্ষরেখা লঙ্ঘন করে দক্ষিণ কোরিয়া আক্রমণ করলে কোরিয়া যুদ্ধ শুরু হয় যা ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত চলে। দুই কোরিয়ারি কোরিয়ান উপদ্বীপের উপর নিজেদের আধিপত্য বিস্তার করার ইচ্ছা ছিল এবং এতে তদানীন্তন দুই পরাশক্তি সোভিয়েত ইউনিয়ন আর আমেরিকার সরাসরি জড়িয়ে পড়াই এ যুদ্ধের বড় কারণ।

উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার যুদ্ধে চীন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জড়িয়ে যাওয়া এবং পরিশেষে একটি নিস্ফল ফলাফল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয় বলেই ধরে নেয়া হয়। এই যুদ্ধের আপাত উদ্দেশ্য সফল হয় নি। বলপ্রয়োগের মাধ্যমে উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সংযুক্তিকরণ সম্ভব হয়নি। শেষ পর্যন্ত প্রত্যেকেই কোরিয়ার রাজনৈতিক বিভাজন মেনে নিতে বাধ্য হয়। দীর্ঘসূত্রী এ যুদ্ধের ফলে কোরিয়ার দু'টি অংশকেই প্রচণ্ড মূল্য দিতে হয়। অসংখ্য মানুষ হতাহত হয়, অর্থনীতি বিধ্বস্ত হয় এবং দুই কোরিয়া যুদ্ধক্লান্ত ও রিক্ত হয়ে ওঠে। আর কোরিয়ার এ যুদ্ধে চীন যোগাদান করে তারা তাদের সামরিক সাফল্য প্রমাণিত করে এবং মার্কিন প্রতিশোধ থেকে চীন অগ্নি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোরিয়ার এ যুদ্ধের সূত্র ধরে চেয়েছিল চীনে সাম্যবাদী শাসনকে দুর্বল করতে, কিন্তু শেষপর্যন্ত তাদের কোন এই প্রত্যাশাই পূর্ণ হয় নি। উল্টো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে দীর্ঘসূত্রী যুদ্ধে সংশ্লিষ্ট হওয়ার সম্ভাবনায় আশঙ্কিত হয়ে ওঠে।

কোরিয়ার যুদ্ধের প্রধানতম তাৎপর্য হ'ল এর ফলে ঠাণ্ডা লড়াই রাজনীতি এশিয়া ভুখণ্ডে সম্প্রসারিত হয়। এতদিন পর্যন্ত ঠাণ্ডা লড়াই রাজনীতির কেন্দ্রস্থল ছিল ইওরোপ মহাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন। কিন্তু চীনে সাম্যবাদী শাসনের প্রতিষ্ঠা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে বিহ্বল করে তোলে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যৌথ চীন- সোভিয়েত চ্যালেঞ্জের সম্ভাবনায় আশঙ্কিত হয়ে ওঠে। কোরিয়ার যুদ্ধকে কেন্দ্র করেই সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীন পরস্পরের কাছাকাছি চলে আসে।

তবে কোরিয়ার এ যুদ্ধ মার্কিন কূটনীতির চরিত্রে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটায়। সোভিয়েত-বিরোধী চরিত্র থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বৃহত্তর সাম্যবাদ-বিরোধী সক্রিয় প্রতিরোধ নীতি রূপায়ণে সচেষ্ট হয়।

 

ভিয়েতনাম যুদ্ধ:

আমেরিকার যুদ্ধের ইতিহাসের এক লজ্জাজনক পরাজয়ের ইতিহাস হল ভিয়েতনাম যুদ্ধ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছিল বিশ্বের অবিসংবাদিতভাবে প্রধান অর্থনৈতিক শক্তি এবং দেশটি বিশ্বাস করতো যে তার সামরিক বাহিনীও একইভাবে সর্বশক্তিমান। তবুও ভিয়েতনাম যুদ্ধে বিপুল অর্থ ও জনবল ক্ষয়ের পরও যুক্তরাষ্ট্র উত্তর ভিয়েতনামের বাহিনী এবং তাদের গেরিলা মিত্র ভিয়েত কং-এর কাছে পরাজিত হয়েছিল। ১৯৫৫ সালে শুরু হয়ে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত দীর্ঘ ২০ বছরের যুদ্ধে আমেরিকা হারিয়েছে ৫৮,২০০ জন সৈনিক। যুদ্ধ শেষে উত্তর ভিয়েতনাম ৫৯১ জন যুদ্ধ বন্ধীকে ফেরত দিলেও ১২০০ জন নিহত আমেরিকান সেনার লাশও ফেরত পায় নি যুক্তরাষ্ট্র। আনুমানিক ৩, ০৩,৬৩০ জন আমেরিকান সেনা আহত হয়েছিল এই যুদ্ধে। ভিয়েতনামের এ যুদ্ধই বিশ্বকে দেখিয়েছিল কিভাবে আমেরিকার মত সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতাধর দেশকে বুদ্ধি আর সাহসের জোড়ে নাকানিচুবানি খাওয়ানো যায়।

ফ্রান্সের উপনিবেশিক শাসন শেষ হবার পর ভিয়েতনামকে দুইভাগে ভাগ করা হয়েছিল। উত্তর ভিয়েতনাম ছিল কমিউনিস্ট শাসিত ও দক্ষিণ ভিয়েতনাম ছিল পুজিবাদী আমেরিকানের মদদপুষ্ট, অনেকটা কোরিয়ার মত। উত্তর ভিয়েতনাম চেয়েছিল দক্ষিণ ভিয়েতনামকে দখল করে গোটা ভিয়েতনামকে এক করতে এবং পুজিবাদকে ভিয়েতনাম থেকে তাড়াতে। এভাবেই যুক্তরাষ্ট্র এ সংঘাতে জড়িয়ে যায় যে লড়াইয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষ প্রাণ হারিয়েছিল। ভিয়েতনামের যুদ্ধই বিশ্বকে দেখিয়েছিল কিভাবে আমেরিকার মত সবচেয়ে শক্তিশালী সামরিক ক্ষমতাধর দেশকে বুদ্ধি আর সাহসের জোড়ে নাকানিচুবানি খাওয়ানো যায়।

সেই সময় ভিয়েতনাম ছিল একটি বন-জঙ্গলে ঘেরা, অনুন্নত ও দূর্গম যোগাযোগ কাঠামোর একটি দেশ। আমেরিকান সেনাদের প্রধান যুদ্ধকৌশলই ছিল উন্নত অস্ত্র দিয়ে বিমান হামলা চালানো। কিন্তু ঘন জঙ্গলে আকাশ থেকে বিমান হামলা করে আমেরিকান সৈন্যরা বেশি সফলতা পেত না। তাই বাধ্য হয়ে তাদের জঙ্গলে লুকিয়ে যুদ্ধে অংশ নিতে হত। আর ভিয়েতনামী গেরিলা যোদ্ধারা ছিল এতে খুবই দক্ষ। ফলে আমেরিকানদের ট্র্যাপে ফেলে ফেলে ভিয়েতনামী গেরিলারা হত্যা করে। অসংখ্য আমেরিকান নিখোঁজ হয়েছিল এই ভিয়েতনাম যুদ্ধে। বিশ্বের ইতিহাসের একটি মহান যুদ্ধের মধ্যে এই যুদ্ধটিকে ধরা হয়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের হয়েছিল সবচেয়ে লজ্জাজনক হার।

 

আফগানিস্তান যুদ্ধ:

যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে সংঘটিত সবচেয়ে বড় হামলার গত ২০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চালিয়েছে, তাতে কি সে পরাজিত হয়েছে? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদিও তাদের পরাজয় স্বীকার করতে চায় না, কিন্তু আফগানিস্তান থেকে নিজেদের সৈন্য সরিয়ে তাদের সাথেই চুক্তি করে প্রাণ বাঁচিয়ে  ফেরত আসাটা কিন্তু পরাজয়ই বটে।

প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’র যে ঘোষণা দিয়েছিলেন, যে যুদ্ধকে একসময় মনে হয়েছিল ‘অনন্ত যুদ্ধ’। কিন্তু ২০২১ সালের ১৫ আগস্ট তালেবানের হাতে কাবুলের পতনের মধ্য দিয়ে সেই যুদ্ধেরই আসলে অবসান ঘটল। এই যুদ্ধের ব্যর্থতা নিয়ে আলোচনা চলেছে এক দশক ধরেই, কিন্তু তার সুস্পষ্ট প্রতীক হয়ে উঠেছে আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্রের পরাজয়।

তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশ ২০০১ সালের ১২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের ওপরে আক্রমণকারীদের উল্লেখ করে বলেছিলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই শত্রুকে জয় করতে সমস্ত সম্পদ ব্যবহার করবে। আমরা বিশ্বকে একত্র করব। আমরা ধৈর্য ধরে থাকব। আমরা মনোনিবেশ করব এবং আমাদের সংকল্পে অবিচল থাকব। এই যুদ্ধে সময় লাগবে এবং সমাধান হবে, কিন্তু এ বিষয়ে কোনো ভুল করবেন না, আমরা জিতব।‘

গত দুই দশকে যুক্তরাষ্ট্রের চারজন প্রেসিডেন্ট—জর্জ বুশ, বারাক ওবামা, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও জো বাইডেন—দায়িত্ব পালনকালে এই ‘যুদ্ধে’ অবিচল থেকেছেন। কিন্তু ফলাফল ঐ একই, ‘পরাজয়’।

যুক্তরাষ্ট্র কমপক্ষে দুই ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় করেছে এ যুদ্ধে। অধিকাংশ দেশের সহানুভূতি ও সমর্থনও পেয়েছে; কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে জয়ী হয়েছে—এমন দাবি কোনোভাবেই করা যাবে না। আফগানিস্তানের ক্ষমতায় তালেবানের প্রত্যাবর্তনই তার সহজে দৃশ্যমান উদাহরণ।

 

ইরাক যুদ্ধ:

২০০৩ সালে প্রায় ২০ আগে শুরু হয়েছিল ইরাক যুদ্ধ। বিশ্বের মানুষের কাছে তখন পরিচিত নাম ছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জজ ডাব্লিউ বুশ ও ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন। কিন্তু সেই যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল আরও অনেক ব্যক্তি।

আমেরিকার তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশ দেশটির জনগণের মতামত এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস বাকের ও সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ব্রেন্ট স্কোক্রফটের মতো জ্যেষ্ঠ রিপাবলিকান সিনেটরদের প্রজ্ঞাপূর্ণ উপদেশ উপেক্ষা করেছিলেন ও ইরাকে সামরিক অভিযান চালিয়েছিলেন। এ যুদ্ধ সাম্প্রতিক ইতিহাসে যুক্তরাষ্ট্রকে সবচেয়ে বেশি সর্বনাশা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার দিকে নিয়ে গেছে। ইরাক যুদ্ধের ছিল এমন এক প্রভাব, যা সময়কে অতিক্রম করে প্রতিনিয়ত বেড়ে উঠেছে। এ সর্বনাশা বিপর্যয়ের বিশালতা কেবল পরিমাপ করা যায় বহুসংখ্যক জীবন, প্রচুর অর্থ, সামর্থ্য ও প্রেস্টিজ হারানোর মধ্য দিয়ে।

২০১১ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের লড়াইকারী বাহিনীগুলোকে প্রত্যাহার করে নেয়া পর্যন্ত ইরাক যুদ্ধ ৪ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনার জীবন কেড়ে নিয়েছে এবং নির্মমভাবে প্রাণ হারিয়েছেন দেড় লাখের বেশি বেসামরিক ইরাকি নাগরিক। এমনকি ইরাকে যুদ্ধ করা ৬ লাখের বেশি মার্কিন অভিজ্ঞ যোদ্ধা এখন প্রতিবন্ধী হিসেবে নিবন্ধিত।

যদিও ইরাক যুদ্ধে সাদ্দাম হোসেনের পতনের মাধ্যমে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আংশিক জয় হয়েছে সত্যি, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের জয় আসলে শাপেবর হয়েছে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রবল প্রতিপক্ষ ইরানের জন্য।

বহু বিশ্লেষকদের মতে, সাদ্দাম হোসেনের পতনের পর থেকে ইরান আসলে ইরাকের ওপর বড় ধরণের প্রভাব তৈরি করেছে, যা কখনো কখনো উদ্বেগের কারণ হয়েছে পশ্চিমা নেতাদের জন্যও। ইরাকের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণ শিয়া মতাবলম্বী হলেও সাদ্দাম ছিলেন সুন্নি। আঞ্চলিক প্রভাবের বলয় তৈরির যে চেষ্টা ইরান করছিলো সেটি প্রসারের পেছনে একসময় বড় বাধাই ছিলেন সাদ্দাম হোসেন। তার চলে যাওয়ার পর ইরাকের সাথে ইরানের যে সন্ধির সূত্রপাত হয়েছে তা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে অনেকটা হুমকির মতই কাজ করছে।

 

সম্প্রতি, বর্তমান বিশ্বে হামাস ও ইসরায়েলের চলমান সংঘাতে বৈশ্বিক পরিস্থিতি আবারও ভয়ংকর এক অবস্থানে গিয়ে ঠেকেছে। দৃশ্যতঃ যুদ্ধ ইসরায়েল আর হামাসের মধ্যে মনে হলেও সকল বিশ্বনেতাদের মনেই কাজ করছে চাপা এক আতঙ্ক। ইউক্রেন যুদ্ধে যেমন যুক্তরাষ্ট্র মদদ দিয়ে আসছে বিগত দেড় বছর ধরে, বর্তমানে ইসরায়েলিরা গাজাবাসীর উপর যে ভয়ংকর গণহত্যা চালাচ্ছে সেখানেও রয়েছে তাদের সহায়তার হাত। একের পর এক রণতরী আর সমরাস্ত্র পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এত নৃশসংশ গণহত্যা বিশ্ববাসী অনেক দিন দেখেনি। একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র বাদে তেমন কোনো রাষ্ট্রই ইসরায়েলকে সমর্থন দিচ্ছে না, ভয়ংকর এ বর্বর গণহত্যা চালাতে। এক যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন দিয়ে কতদিন ইসরায়েল এ বিধ্বংসী আগ্রাসন চালাতে পারবে, এ প্রশ্ন অনেকের মনেই উঠেছে। যে ধ্বংসযজ্ঞ তারা চালাচ্ছে, অনেকই বলছে এবারই হয়তো নিঃশেষ হয়ে যেতে পারে ইসরায়েল। এ কারণে ইসরায়েলের পরাজয়ের মধ্য দিয়ে বিশ্ববাসী হয়তো অচিরেই যুক্তরাষ্ট্রের আরও একটি পরাজয় সামনে দেখতে যাচ্ছে।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭