ইনসাইড পলিটিক্স

জনতার মঞ্চ করবে বিএনপি, যোগ দেবে সরকারি কর্মচারীরা?


প্রকাশ: 19/10/2023


Thumbnail

আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ওই দিনই আন্দোলনের মহাযাত্রা শুরু হবে। সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিএনপি ঘরে ফিরবে না। বিএনপির এই মহাযাত্রা কি, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা রকম আলাপ আলোচনা চলছে।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এটি আংশিক কর্মসূচি। আরো বিস্তারিত কর্মসূচি পরে ঘোষণা করা হবে। তবে বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, বিএনপি ২৮ অক্টোবর থেকে ঢাকায় অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে যাচ্ছে। ওই মহাসমাবেশের পর তারা সরকারকে একটি আল্টিমেটাম দেবে। সেই আল্টিমেটামের মধ্যে যদি সরকার তাদের দাবি মেনে না নেয়, তাহলে তারা সবকিছু বন্ধ করে দেবে।

২৮ অক্টোবর থেকে পল্টনে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে আওয়ামী লীগের স্টাইলে জনতার মঞ্চ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। গতকালের জনসভার পর থেকেই বিএনপি বিভিন্ন শ্রেণীর পেশার মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছে। বিএনপির কৌশল হল ১৯৯৬ সালে নিদ্রলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আওয়ামী লীগ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে যেভাবে জনতার মঞ্চ করেছিল এবং ওই জনতার মঞ্চের মাধ্যমে আন্দোলনকে চূড়ান্ত পরিণতির দিকে নিয়ে গিয়েছিল, ঠিক তেমনিভাবে বিএনপিও নয়া পল্টনে একটি মঞ্চ করতে চায়। যে মঞ্চে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যোগ দিবেন এবং তারা আন্দোলনের দাবির সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করবেন।

জনতার মঞ্চ কর্মসূচির ধরন হবে এরকম যে তারা সরকারের উপর অনাস্থা জ্ঞাপন করবেন এবং সরকার বিরোধী চূড়ান্ত আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম হবে জনতার মঞ্চ। জনতার মঞ্চের মাধ্যমে সরকারকে চূড়ান্ত বার্তা দেয়া হবে। একবার জনতার মঞ্চ যদি গঠন করা যায় সেক্ষেত্রে নির্বাচনে তফসিল ঘোষণা করা কিংবা না করা ইত্যাদি বিষয়গুলো গৌন হয়ে যাবে।

বিএনপির বিভিন্ন সূত্রগুলো বলছে, এই জনতার মঞ্চে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, পেশাজীবী কর্মকর্তা প্রমুখ যোগদান করবে, এমনকি সরকারি কর্মকর্তারাও সেখানে যেন যোগদান করে, সে ব্যাপারে যোগাযোগ করা হচ্ছে। একাধিক সরকারি কর্মকর্তা জনতার মঞ্চকে নিয়ে কাজ করছেন বলেও বিভিন্ন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। বিএনপির বিভিন্ন মহল বলছে যে এই জনতার মন্ত্রই হবে আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম। পরবর্তীতে জনতার মঞ্চকে লক্ষ্য করে সারা দেশ থেকে পদযাত্রা হবে এবং সকলে এসে পল্টনে জমায়েত হবেন। আস্তে আস্তে এমন একটি পরিস্থিতি তৈরি করা হবে যেখানে সরকারের পদত্যাগ ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না। এইরকম পরিস্থিতিতে সরকার নির্বাচনও করতে পারবে না।

অর্থাৎ বিএনপি এখন সম্পূর্ণভাবে ১৯৯৬ সালের জানুয়ারিতে গঠিত জনতার মঞ্চের মডেলটি অনুসরণ করতে চাইছে। ওই জনতার মঞ্চের কারণেই ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন হয়নি এবং নির্বাচনের পর গঠিত সংসদও টিকতে পারেনি। বিএনপিও বলছে সরকার যদি নির্বাচনও করে ফেলে তাহলে তাদের কোনো ক্ষতি নেই। কারণ নির্বাচনের পর ওই পার্লামেন্ট টিকবে না এবং ওই সরকারও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে না। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক মহল এই সরকারকে স্বীকৃতি দেবে না। এর ফলে সরকারের পতন ত্বরান্বিত হবে।

এখন দেখার বিষয় যে আওয়ামী লীগকে অনুসরণ করে বিএনপি আন্দোলনে সফল হতে পারে কিনা।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭