ইনসাইড ইনভেস্টিগেশন

ঢাকায় এসে গোয়েন্দা জালে আটকে গেলেন মিঠু


প্রকাশ: 20/10/2023


Thumbnail

মিঠু স্বাস্থ্য খাতে আলোচিত দুর্নীতিবাজ ব্যবসায়ী। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সম্প্রতি তার শত কোটি টাকার সম্পত্তি জব্দ হয়েছে। এই সম্পদ জব্দের ধাক্কা সামলাতে না সামলাতেই বাংলাদেশে তার ৭৪ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ হয়েছে। মিঠু স্থায়ীভাবে বসবাস করেন অস্ট্রেলিয়ায়। সম্প্রতি তিনি বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশে এসেই তিনি ফেঁসে গেছেন। এখন গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে আছেন। যেকোনো সময় গ্রেফতার হতে পারে এই আলোচিত দুর্নীতিবাজ মিঠু। 

সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন মিঠু সহ প্রায় এক হাজার ব্যক্তির ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং তাদের ব্যাপারে তদন্ত করছে। দুর্নীতি দমন কমিশন সূত্রে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট তথ্য প্রমাণের কারণেই তার স্থাবর অস্থাবর সহ প্রায় ৭৪ কোটি টাকার মূল্যের সম্পদ জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপপরিচালক মসিউর রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের বিশেষ শাখা এসবি-তে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া গেছে। মহানগরের সিনিয়র দায়রা জর্জের অনুমতি সাপেক্ষে নিষেধাজ্ঞা জারি করে দুর্নীতি দমন কমিশন। 


মিঠু স্বাস্থ্য খাতে সবচেয়ে বড় দুর্নীতিবাজদের একজন। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে মিঠু তৎকালীন স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি করেন এবং এর পরপরই তিনি স্বাস্থ্য খাতে একছত্র রাজত্ব তৈরি করেন। টেন্ডার সিন্ডিকেট এবং যন্ত্রপাতি না দিয়ে বিল উত্তোলন করা সহ নানা রকম অভিযোগ মিঠুর বিরুদ্ধে আছে। এর আগে মিঠুর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন তদন্ত করেছিল কিন্তু অদৃশ্য কারণে সেই সময় দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত থেকে তিনি রেহাই পেয়ে যান। এখন নতুন করে মিঠুর বিরুদ্ধে যে অভিযোগগুলো তা তদন্ত হয়ে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমানিত হয়েছে। উল্লেখ্য, কদিন আগে মিঠুর নিউ ইয়র্কে একটি বাড়ি, একটি মোটেল সহ একাধিক সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়। এই বাজেয়াপ্তের বিরুদ্ধে তিনি আদালতে আশ্রয় নিয়েছেন। মিঠুর অস্ট্রেলিয়াতেও বিপুল সম্পদ রয়েছে। এই মাসের  প্রথম দিকে অস্ট্রেলিয়া থেকে তিনি বাংলাদেশে এসেছেন।

সূত্রগুলো বলছে যে, বাংলাদেশে আসার তার প্রধান কারণ ছিল বাংলাদেশে তার স্থাবর অস্থাবর সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে দেওয়া। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তার সমস্ত সম্পত্তি জব্দের পর তিনি ধারণা করেছিলেন যে, বাংলাদেশেও তিনি বিপদে পড়তে পারেন। আর এই কারণেই দেশে এসে সমস্ত সম্পদ বিক্রির পায়তারা করেন। মিঠুর দেশে আসার খবরের সাথে সাথেই গোয়েন্দারা মিঠুকে অনুসরণ করা শুরু করে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিষয়টি নিয়ে দ্রুত আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। আর এর ফলেই এখন গোয়েন্দার জালে ফেঁসে গেছেন। 

বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, বিঠু এখন একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তার বাসায় রয়েছেন এবং তিনি যে কোন উপায়ে দেশ ত্যাগের চেষ্টা করতে পারেন। তবে একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে নিশ্চিত করেছে যে, মিঠু এখন গোয়েন্দা জালেই আছে এবং যেকোনো মুহূর্তে মিঠুর গ্রেফতার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭