প্রকাশ: 21/10/2023
ফিলিস্তিনের গাজায় যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি হিসেবে সীমান্তে সেনা জড়ো করছে ইসরায়েল বাহিনী। হামাসকে বড় আঘাত করার জন্য এবার গাজায় ঢুকে হামলা চালানো হবে। এ বিষয়ে আজ শনিবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বলেছে, যুদ্ধের পরবর্তী ধাপের প্রস্তুতি চলছে।
বিভিন্ন দেশের পক্ষ থেকে গাজায় যুদ্ধবিরতি ও শান্তি স্থাপনের আহ্বান করা হচ্ছে। আজ জাতিসংঘের প্রেসিডেন্ট আন্তোনিও গুতেরেস মিশরে অনুষ্ঠিত শান্তি সম্মেলনে গাজায় ‘যুদ্ধবিরতির’ আহ্বান জানায়। ঠিক এমন সময় ইসরায়েল তাদের দ্বিতীয় পর্যায়ে যুদ্ধ পরিচালনার কথা জানালো।
৭ অক্টোবর ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে ঢুকে হামাস নজিরবিহীন হামলা চালালে গাজায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বোমা হামলা শুরু করে। দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নির্বিচারে বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের বাহিনী। এ হামলায় ৪ হাজার ৩৮৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এখনো বিমানবাহিনীর হামলা অব্যাহত আছে। এর মধ্যে গাজায় ঢুকে হামলা চালানোর জন্য সীমান্তে সেনা জড়ো করা হচ্ছে।
গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার এই হত্যাকাণ্ডকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ ও গণহত্যা’ আখ্যা দিয়ে অনেকে এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছেন। তবে এরই মধ্যে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজায় হামলা জোরদার করতে যাচ্ছে। শনিবার ইসরায়েলের সেনাবাহিনী বলেছে, ‘সরকার অনুমোদিত গাজায় স্থল অভিযানের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
এর আগে গতকাল শুক্রবার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট বলেন, গাজায় তিন ধাপে সামরিক ‘অভিযান’ চালাবে ইসরায়েল। এর মধ্যে প্রথম ধাপ চলছে (বিমান থেকে বোমা হামলা)। প্রথম দফা অভিযানের লক্ষ্য হামাসের সামরিক যেসব অবকাঠামো রয়েছে, তা ধ্বংস করে দেওয়া।
এরপর দ্বিতীয় ধাপে ইসরায়েলি সেনারা গাজায় ঢুকে স্থল অভিযান চালাবে। এর লক্ষ্য হবে গাজায় হামাসের যেসব স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোতে ঢুকে হামাস যোদ্ধাদের নিশ্চিহ্ন করা। তৃতীয় ধাপ হবে গাজায় পানি ও বিদ্যুৎসহ ইসরায়েল যেসব সেবা দেয়, তা একেবারে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭