ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনের আগে পাঁচ বিষয়ে কঠোর অবস্থানে সরকার


প্রকাশ: 22/10/2023


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগ পর্যন্ত সরকার কয়েকটি বিষয়ে কোনো রকম আপোষ সমঝোতা করবে না। কোনো রকম ছাড়ও দেবে না। সরকারের নীতিনির্ধারক মহলে এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সরকার মনে করছে যে, কঠোর অবস্থান থেকে একটু ছাড় দিলেই অনেকে সরকারের দুর্বলতা মনে করবে এবং তখন তারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে। এরকম সুযোগ কাউকে দেওয়া হবে না। নির্বাচনের আগে যে সব বিষয় নিয়ে সরকার কঠোর অবস্থানে থাকবে তার মধ্যে রয়েছে;
 
১. ড. ইউনূস ইস্যু: ড. ইউনূস ইস্যু নিয়ে সরকারের ওপর প্রকাশ্যে মার্কিন চাপ রয়েছে। এমনকি  বারাক ওবামা এবং হিলারি ক্লিনটনের মতো ব্যাক্তিরা বিবৃতি দিয়েছেন। কিন্তু এই সমস্ত বিবৃতি বা চাপের কাছে সরকার নতি স্বীকার করতে রাজি নয়। ধারণা করা হচ্ছে নির্বাচনের আগেই অর্থাৎ নভেম্বরের মধ্যেই শ্রম আদালতে ড. ইউনূসের মামলার রায় হবে। এ ছাড়াও দুর্নীতি দমন কমিশন ড. ইউনূসের অর্থ পাচার নিয়ে যে তদন্ত করছে সে বিষয়ে তদন্ত রিপোর্ট আগামী মাসের প্রথম দিকে প্রকাশিত হতে পারে। ফলে ড. ইউনূস আইনী জটিলতায় বড় ধরনের চাপ পড়বেন। সরকার এ বিষয়ে কোনো রকম ছাড় দেবে না।

২. বেগম খালেদা জিয়া: বেগম খালেদা জিয়াকে নিয়ে যখন বিএনপির নেতারা নানা আর্তনাদ, হাহাকার করছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য যখন তাকে বিদেশে নেয়ার দাবি জানাচ্ছে তখন নাইকো দুর্নীতি মামলায় দুইজন কানাডিয়ান পুলিশ কর্মকর্তাকে ঢাকায় এসে সাক্ষ্য প্রদানের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় বলে মনে করছেন আইনের সাথে সংশ্লিষ্টরা। তারা মনে করছেন, এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ভাবে বেগম খালেদা জিয়া এবং তার পরিবারের দুর্নীতির বিষযটি প্রমাণিত হবে। নাইকো দুর্নীতি মামলার এই দুজন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান বিএনপির ২০০১ থেকে ২০০৬ সালে পর্যন্ত এবং ৯১ সাল থেকে ৯৬ সাল পর্যন্ত দুর্নীতির একটি আন্তর্জাতিক দৃশ্যপট উম্মোচন করবে বলেই অনেকে মনে করছেন। আর এ কারণেই বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়া তো নয় বরং তার ব্যাপারে কোনো রকম ছাড় না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। 

৩. জ্বালাও-পেড়াও, সহিংসতাকে প্রশ্রয় না দেওয়া: আওয়ামী লীগ আগামী নির্বাচনের ব্যাপারে কোন রকমের সহিংসতা, জ্বালাও-পোড়াও ইত্যাদিকে প্রশ্রয় দিবে না। যারা এ ধরনের সহিংসতা করবে তাদের কঠোর হস্তে দমন করা হবে। এমনকি এ ব্যাপারে বিভিন্ন ধরনের মার্কিন ভয়ভীতি হুমকিকেও সরকার পাত্তা দেবে না। 

৪. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চাপকে উপেক্ষা করা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ধরনের চাপ দিচ্ছে, দিবে। এই চাপগুলোকে খুব একটা আমলে নিতে চায় না সরকার। বরং এই চাপকে উপেক্ষা করে নির্বাচনের পথে যেতে চায় সরকার। মার্কিন যুক্তরাষ্ট যাই বলুক বা যাই করুক না কেন নির্বাচন পর্যন্ত এটিকে উপেক্ষা করতে হবে। এটাই হলো সরকারের কৌশল।     
 
৫. বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংস্কার না করা: নির্বাচনের আগে বড় ধরনের কোন অর্থনৈতিক সংস্কারে যাবে না আওয়ামী লীগ সরকার। বরং নির্বাচন সময় পর্যন্ত এই অর্থনৈতিক অবস্থানকে টেনে নিয়ে যাওয়া এবং নির্বাচনের পরে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার কর্মসূচি  গ্রহণ করা। এটিই আওয়ামী লীগের কৌশল এবং এই কৌশল নিয়েই আওয়ামী লীগ এগোতে চাচ্ছে এবং একটি নির্বাচন সম্পন্ন করতে চায়।



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭