ইনসাইড বাংলাদেশ

নির্বাচনে যারা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবেন


প্রকাশ: 22/10/2023


Thumbnail

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে। আগামী একশো দিনের মধ্যে দেশে একটি নতুন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সংবিধান অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হওয়ার কথা। তবে নির্বাচন কমিশন আগামী বছরের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে। আগামী মাসের প্রথম সপ্তাহ বা দ্বিতীয় সপ্তাহে নির্বাচন কমিশন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করার সাথে সাথেই নির্বাচনকালীন সময় প্রবেশ করবে দেশ এবং এই সময় স্বাভাবিক ভাবেই বর্তমান সরকারের ক্ষমতা সংকুচিত হয়ে যাবে। 

নির্বাচনকালীন সময়ে কিছু দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তির ক্ষমতা আপনাআপনি ভাবে অনেক বেড়ে যায় এবং সমস্ত জাতির দৃষ্টি থাকে তাদের ওপর। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না। নির্বাচনকালীন সময়ে যে সমস্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠেন তাদের মধ্যে রয়েছেন; 

রাষ্ট্রপতি: রাষ্ট্রপতি দেশের সাংবিধানিক প্রধান। তিনি দেশের এক নম্বর ব্যক্তিত্ব। নির্বাচন ছাড়া অন্যান্য সময় রাষ্ট্রপতি একটি আলংকারিক পদ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু যখনই নির্বাচনের সময় এসে যায় তখন রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব হয়ে ওঠে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি সমস্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে আধার হয়ে যান। অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক বিষয় তার ওপর ন্যস্ত থাকে। বিশেষ করে সশস্ত্র বাহিনী এবং নির্বাচন তদারকি করার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপতি একজন গুরুত্বপূর্ণ অভিভাবক হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

স্পিকার: নির্বাচনকালীন সময়ে বাংলাদেশের বর্তমান সংবিধান অনুযায়ী সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যায় না, সংসদ বহাল থাকে। আর এই কারণেই স্পিকারের পথটি গুরুত্বপূর্ণ থাকে। যেকোনো সময় সাংবিধানিক সংকট, সরকারের বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র বা আন্তর্জাতিক কোন বিষয়ে স্পিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকেন। তিনি সংবিধান অনুযায়ী স্পিকার পদে শুধু বহালই থাকেন না, যেকোনো অসাংবিধানিক তৎপরতা হলে জাতীয় সংসদের অধিবেশন ডাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকমের পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারেন। আর এই কারণেই নির্বাচনকালীন সময়ে তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব: নির্বাচনকালীন সময় মন্ত্রিপরিষদ সচিব অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নির্বাচন কমিশন মন্ত্রিপরিষদ সচিবের মাধ্যমে প্রশাসনের নিরপেক্ষতার আবহ তৈরি করেন এবং একটি নিরপেক্ষ মাঠ প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য নির্দেশনা দেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব নির্বাচনের সময় সকলের পর্যবেক্ষণে থাকেন এবং তার ভূমিকার ওপর নিরপেক্ষ নির্বাচন অনেকখানি নির্ভর করে।

আইজিপি: পুলিশ প্রধান নির্বাচনের সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রেখে একটি নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব আইজিপির। আর কারণেই নির্বাচনকালীন সময়ে তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আর এই সমস্ত কার্যক্রমগুলোকে কেন্দ্রীভূত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। 

প্রধান নির্বাচন কমিশনই হন নির্বাচনকালীন সময় মুখ্য আলোচিত ব্যক্তি। এই সময়টুকুতেই দেশের প্রধান নির্বাহী পাদপ্রদীপের আড়ালে চলে যান। তিনি তার ক্ষমতা এবং কার্যক্রম সীমিত করেন। আর সমস্ত কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং তার নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশন। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই এই ব্যক্তিগুলোর দিকে সকল আলো প্রক্ষেপিত হবে। দেখার বিষয় তারা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে কিরকম ভূমিকা পালন করেন।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭