গাজার জন্য সাহায্য পাঠালেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান

পশ্চিমাদের ইসরায়েলপ্রীতির বিপরীতে ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়াচ্ছে মুসলিম ও আরব দেশগুলো। ইসরায়েলের অব্যাহত হামলায়, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ভেঙে পড়ায়, সেখানে চিকিৎসক ও চিকিৎসাসামগ্রী পাঠালেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানিয়েছে, রোববার জরুরি চিকিৎসাসামগ্রী নিয়ে একটি তুর্কি বিমান গাজার উদ্দেশে রওনা হয়েছে। বিমানটিতে ২০ জন চিকিৎসককেও পাঠিয়েছেন এরদোয়ান। তারা গাজাবাসীর চিকিৎসায় নিজেদের নিয়োজিত করবেন।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গাজার হাসপাতালেও হামলা চালানোর জোরালো অভিযোগ উঠছে। সম্প্রতি উপত্যকাটির আল আহলি হাসপাতালে ভয়াবহ বোমা হামলা চালায় তেল আবিব। এতে চিকিৎসা নিতে আসা পাঁচ শতাধিক মানুষ প্রাণ হারান। ওই ঘটনায় আহত হন কয়েক হাজার মানুষ।

গাজায় ইসরায়েল যে বোমা হামলা চালাচ্ছে তা নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিন্দার ঝড় বইছে। এ তালিকায় প্রথম সাড়িতে রয়েছে ন্যাটোভুক্ত দেশ তুরস্ক। গাজায় নির্বিচারে ইসরায়েলি হামলার বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অবস্থান নিয়েছে তুরস্ক। সংঘাতের শুরু থেকেই ফিলিস্তিনিদের পক্ষে দেশটি। এছাড়া গাজার অসহায় মানুষদের সাহায্য পাঠানোর জন্য সীমান্ত খুলে দেওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের।

২৩ লাখ মানুষের এই অঞ্চলে ইসরায়েল যেভাবে বিমান হামলা চালাচ্ছে সেটিকে গণহত্যা হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এরদোয়ান। পাশাপাশি যুদ্ধ বন্ধে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

তুর্কি ন্যাশনালিস্ট মুভমেন্ট পার্টির নেতা বাহচেলি বলেন, গাজা পরিস্থিতি সামাল দিতে তুরস্কের উচিত দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া। গাজার সুরক্ষা ও প্রতিরক্ষা নিশ্চিত করা আঙ্কারার উত্তরাধিকার সূত্রের দায়িত্ব। ঐতিহাসিক, মানবিক ও ধর্মীয় দায়িত্বের কারণেও গাজার সুরক্ষায় তুরস্কের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।