ইনসাইড পলিটিক্স

মুশফিক ওয়াশিংটন কাঁপাচ্ছে: ওরা হাঁপাচ্ছে


প্রকাশ: 24/10/2023


Thumbnail

মুশফিকুল ফজল আনসারী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সহকারী প্রেস সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এখন তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একাই তিনি সরকারকে কাঁপাচ্ছেন। ওয়াশিংটন এবং হোয়াইট হাউজের প্রেস এক্রিডেশন নেওয়া মুশফিকুল ফজল আনসারী বিএনপির প্রতিনিধি হিসেবে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন রকম লিডিং কোশ্চেন বা আক্রমণাত্মক প্রশ্ন করছেন। এই সমস্ত প্রশ্নের অবধারিত উত্তর গুলো যাচ্ছে সরকারের বিপক্ষেই। এমনকি এই সমস্ত প্রশ্নের নির্মোহ উত্তর প্রশ্নটির কারণেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ফলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ক্ষিপ্ত, কিংবা বাংলাদেশের ব্যাপারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে এমন বার্তাগুলো গণমাধ্যমে আসছে খুব গুরুত্বের সঙ্গে।

আজও মুশফিকুল ফজল আনসারী আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন। তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত ব্রিফিংয়ে ম্যাথু মিলারকে প্রশ্ন করেছেন যে ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশে কি হবে? এমনকি তিনি সমাবেশের আগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, রাতের বেলা বিচার করা হচ্ছে ইত্যাদি নানারকম উদ্ভট প্রশ্ন করেছেন। যে সমস্ত প্রশ্নগুলো অন রেকর্ড হয়েছে। অর্থাৎ শুধুমাত্র যে ম্যাথু মিলার এই বিষয়গুলো জানছেন এমনটি নয়। বরং সেখানে উপস্থিত বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমকর্মীরাও এই সমস্ত বিভ্রান্তিকর তথ্যগুলো জানছেন।

পাশাপাশি ম্যাথু মিলার এসব প্রশ্নের যে উত্তর দিচ্ছেন সেটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক অবস্থান। তিনি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন ইত্যাদি কথাগুলোই বলছেন। কিন্তু প্রশ্নের কারণেই বিষয়টি আলোচিত হয়ে উঠছে। প্রতিনিয়ত মুশফিকুল ফজল আনসারী এই কর্মকাণ্ডগুলো করে যাচ্ছেন।

বাংলাদেশের মানুষের কষ্টার্জিত ট্যাক্সের টাকায় ওয়াশিংটনে একটি বড় দূতাবাস রয়েছে। সেই দূতাবাসে প্রেস মিনিস্টার পদ রয়েছে। দূতাবাসে রাষ্ট্রদূত রয়েছে। আছে নানা পদের নানা ধরনের কর্মকর্তারা। এই সমস্ত তথাকথিত কূটনীতিকদের কাজ আসলে কি তা নিয়ে এখন বড় আকারের প্রশ্ন উঠেছে।

এক মুশফিকুল ফজল আনসারী যখন ওয়াশিংটন কাঁপাচ্ছেন তখন আমাদের কূটনীতিকরা যেন রীতিমতো হাঁপাচ্ছেন। মুশফিকুল ফজল আনসারী যে এ ধরনের প্রশ্ন করছেন তার বিপরীতে আমাদের ওয়াশিংটনের প্রেস উইং কি দুই-তিনজন সাংবাদিককে জোগাড় করতে পারেন না, যারা বাংলাদেশের বিষয় নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন করবেন এবং সেই প্রশ্নগুলো গণমাধ্যমে আসবে?

মুশফিকুল ফজল আনসারী যখন এই প্রশ্নগুলো করছেন তখন আমাদের প্রেস উইং সেই প্রশ্নগুলোর ব্যাপারে কি ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন সেটি জানা খুব বেশি প্রয়োজন হয়ে উঠেছে। বাংলাদেশের ওয়াশিংটন দূতাবাসে যে প্রেস উইং আছে সেই প্রেস উইংয়ে কারা আছে এবং তারা কি করছেন সেটির হিসেব নেওয়ার এখন সময় এসেছে।

একজন বিএনপির সংবাদকর্মী হিসেবে মুশফিকুল ফজল আনসারী যেভাবে সরকারকে বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলছেন, তার বিপরীতে এতগুলো পেশাদার কূটনৈতিক, যারা মোটা অঙ্কের ডলার বেতন নিচ্ছেন তারা কি করছেন? বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় বার বার এই বিষয়টি নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে।

কারণ বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের যে মনোভাব ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিয়ে বাংলাদেশের যে অবস্থান সেটির ক্ষেত্রে একটি বড় ধরনের ভূমিকা পালন করেছেন এই মুশফিকুল ফজল আনসারী। তার কারণেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একদিকে যেমন অনেক তথ্য জানছেন, তেমনি অন্যদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ব্যাপারে অতি আগ্রহী এমন একটি মনোভাব প্রকাশ করছেন। কিন্তু আসলে বিষয়টি হচ্ছে শুধু মাত্র প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার কারণেই বাংলাদেশ প্রসঙ্গটি পাদপ্রদীপে আসছে। তাহলে আমাদের যারা সেখানে আছেন তারা কি করছেন? পাশাপাশি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আশীর্বাদপুষ্ট সাংবাদিকরা ওয়াশিংটনে কি করেন?



প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭