ইনসাইড পলিটিক্স

২৮ অক্টোবর: আওয়ামী লীগের জন্য ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ


প্রকাশ: 25/10/2023


Thumbnail

আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপি ঢাকায় মহাসমাবেশ ডেকেছে। এই মহাসমাবেশ থেকে বিএনপি আন্দোলনের মহাযাত্রা করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঠিক আগে আগে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপির এই মহাসমাবেশ রাজনীতিতে নতুন করে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে বিভিন্ন মহল আশঙ্কা করছে। আওয়ামী লীগমনে করছে এটি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র। আর এই কারণেই এই মহাসমাবেশের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ ওই দিন সমাবেশ ডেকেছে এবং ২৮ তারিখ থেকে লাগাতার বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি রেখেছে টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থাকা দলটি। কিন্তু ২৮ অক্টোবর নিয়ে আওয়ামী লীগ ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছে। 

রাজনৈতিক সহিংসতার শঙ্কা: ২৮ অক্টোবর বিএনপির বিপরীতে আওয়ামী লীগ যে পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে তার ফলে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে সহিংসতার শঙ্কা দেখা দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিশেষ করে আওয়ামী লীগ-বিএনপির পাল্টাপাল্টি সমাবেশ দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নতুন করে উত্তপ্ত করতে পারে। এরকম সহিংসতা হলে অনেকেই তার দায় দায়িত্ব আওয়ামী লীগের ওপর বর্তাতে পারে বলে বিভিন্ন মহল মনে করছেন। আর এর ফলে আওয়ামী লীগের জন্য এটি একটা চাপ তৈরি হতে পারে।

বিএনপির ঢাকা দখলের পরিকল্পনা: আওয়ামী লীগ যদি আবার মহাসমাবেশের বিপরীতে কোনো কর্মসূচি না নেয়, বিএনপির সমাবেশকে উপেক্ষা করে তাহলে বিএনপি অন্য ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে ফেলতে পারে। বিশেষ করে তারা এমন কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করতে পারে যে কর্মসূচির কারণে রাজপথ অচল হয়ে যায় এবং সরকার চাপে পড়ে। কাজেই আওয়ামী লীগ যদি এই কর্মসূচিকে উপেক্ষা করে তাহলে আওয়ামী লীগের দুর্বলতা প্রকাশ হবে এবং তখন বিএনপি-জামায়াত ঢাকা দখল করে একটা অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে এবং যার ফলে সরকার নির্বাচনের আগে বড় ধরনের রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

বিদেশিদের বিশেষ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাব: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো বাংলাদেশের মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে চায়। আর এ কারণেই আগামী নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর সভা সমাবেশ যেন শান্তিপূর্ণ হয় সেভাবে তারা গুরুত্ব দিচ্ছে। এই মহাসমাবেশে যদি আওয়ামী লীগ সরকার বাধা প্রদান করে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যদি সমাবেশে বল প্রয়োগ করে বা শক্তি প্রয়োগ করে সেক্ষেত্রে সেটিও এক ধরনের নেতিবাচক অবস্থান তৈরি করতে পারে। এর ফলে পশ্চিমা দেশগুলো সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি বা নানা রকম নেতিবাচক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারে। ফলে আগামী নির্বাচন নিয়েও স্বীকৃতি প্রদানের ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলো ভিন্ন রকম অবস্থান গ্রহণ করতে পারে। তাই আওয়ামী লীগকে একদিকে যেমন  লক্ষ্য রাখতে হবে যে বিএনপি যেন মাঠ দখল না করে অন্যদিকে তাদেরকে এমন কর্মসূচি দিতে হবে যেন সেই কর্মসূচিতে সহিংসতা ছড়িয়ে না পড়ে। আবার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে এমন ভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীর বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন বা অন্য কোনো অভিযোগ নতুন করে উত্থাপিত না হয় এবং নির্বাচনের আগে আন্তর্জাতিক নতুন কোনো চাপসৃষ্টি না হয়। এই ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে আওয়ামী লীগকে এগুতে হবে। প্রশ্ন উঠেছে আওয়ামী লীগ কি সেটা পারবে।


প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান

বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭