আবারও ১০ হাজার ডলার জরিমানা ট্রাম্পের

মামলা চলমান অবস্থায় আদালতের আইনজীবী বা কর্মীদের সমালোচনা না করার আদেশ লঙ্ঘনের জন্য সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়। গেল শুক্রবার একই ধরনের অপরাধের জন্য ৫ হাজার ডলার জরিমানার সম্মুখীন হয়েছিলেন ট্রাম্প। নিউইয়র্কের একজন বিচারক তাকে এ জরিমানা করে এবং ভবিষ্যতে একই কাজ করলে শাস্তি হিসেবে জেল দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর আবারও একই ধরনের অপরাধের জন্যে জরিমানার সম্মুখীন হলেন ট্রাম্প।

বুধবার নিউ ইয়র্কের আদালতে ট্রাম্পে মামলার শুনানি চলছিলো। এ সময় বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করেন ট্রাম্প।   

বিচার চলার মধ্যবর্তী সময়ে ট্রাম্প বলেছেন, ‘এই বিচারক অত্যন্ত পক্ষপাতদুষ্ট। তার পাশে যে ক্লার্ক বসে আছে, সে আরো বেশি পক্ষপাতদুষ্ট। বিচারকের চেয়েও বেশি।’

বিচারক ট্রাম্পের এই প্রকাশ্য মন্তব্যকে বিচারবিভাগের অবমাননা হিসেবে মনে করেছেন এবং নিউ ইয়র্কে বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে বিরুপ মন্তব্য করায় তাকে ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হয়েছে। 

এর আগে আদালতের শুনানির পরে ট্রাম্প তার সাবেক আইনজীবী মিশেল কোহেনকে মিথ্যাবাদী বলে দাবি করে জরিমানার শিকার হয়েছিলেন। কোহেন আদালতের কাছে সাক্ষ্য দেয় যে, তার সাবেক বস ট্রাম্প যেভাবে তার সম্পত্তির মূল্য তাদের বলতে বলেছিলেন, এবং খাতায় কলমে লিখতে বলেছিলেন, তারা তা-ই করেছিলেন।’

কোহেনের এই স্বীকারোক্তি ট্রাম্পের পছন্দ হয়নি। সে কারণেই প্রকাশ্যে কোহেনের সমালোচনা করেছেন তিনি। তাকে মিথ্যেবাদী বলেছেন।

এই কোহেনের মাধ্যমেই ট্রাম্প পর্নস্টারকে অর্থ পাঠিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। ট্রাম্প যা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু কোহেন তার ভাষ্যে কার্যত সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। এই মামলায় এর আগেই বিচারক জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সম্পত্তি আসল মূল্যের চেয়ে অনেক বড় করে দেখানো। মূলত, বীমায় ছাড় পাওয়ার জন্যই এ কাজ করেছিলেন ট্রাম্প। এবার নিউ ইয়র্কের আদালতের এবিষয়ে রায় দেওয়ার কথা। তার আগেই ১০ হাজার ডলার জরিমানা করা হলো ট্রাম্পকে।