বিশ্বকাপে টানা ‘৫ বার’ ইংলিশদের হারালো লঙ্কানরা

বর্তমান চ্যাম্পিয়ানদের মাত্র ১৫৬ রানেই গুড়িয়ে দিতে পারবে তা হয়তো ভাবেইনি লঙ্কান শিবির। দুই দলই জয়ের খরায় ভূগছিল। তাই হয়তো সবাই ভেবেছিল একটি ভালো লড়াই হবে শেষ পর্যন্ত। কিন্তু, সে লড়াই জমতে দেয়নি লঙ্কান বোলাররা। তারা আটকে দিয়েছে বাটলারদের। আর লঙ্কান ব্যাটাররা মাত্র ২৫.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। এর ফলে টানা ২০০৭ থেকে এখন ২০২৩ বিশ্বকাপ পর্যন্ত পঞ্চমবারের মতো হারের লজ্জায় ফেললো ইংলিশদের।

বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের এর আগে সর্বনিম্ন স্কোর ছিল ১৩৭। আর এবার গুটিয়ে গেল ১৫৬ রানেই।

একদিনের ক্রিকেট সংস্করণে বর্তমান চ্যাম্পিয়ান ইংল্যান্ড ভারত বিশ্বকাপে চার ম্যাচে মাত্র একটি জয় পেয়েছে। সেমিফাইনালের দৌড়ে থাকতে আজকের ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারানোর বিকল্প নেই। তবে ব্যাঙ্গালুরুতে আগে ব্যাট করার সুবিধা নিতে পারেনি ইংলিশরা।

উল্টো লঙ্কান বোলারদের তোপের মুখে গুটিয়ে গেছে মাত্র ১৫৬ রানে। শ্রীলঙ্কাও খুব ভালো অবস্থানে নেই। ১৯৯৬ বিশ্বচ্যাম্পিয়নরাও ৪ ম্য্যাচ খেলে মাত্র ১টি জিতেছে। পয়েন্ট তালিকায় এগিয়ে যাওয়ার লড়াইয়ে পাওয়ার প্লেতে ইংল্যান্ডের ২ উইকেট তুলে নেয় তারা।

যদিও ১০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ৫৯ রান তোলে ইংল্যান্ড। কিন্তু, ‍দ্বিতীয় পাওয়া প্লেতেই সব শেষ। বাকি ৮ উইকেট হারায় মাত্র ৯৭ রান তুলতেই।

চারে নেমে বেন স্টোকস একপ্রান্ত ধরে খেললেও দলীয় ৬৩ রান থেকে ৫৫ যোগ করতে ইংল্যান্ড হারায় আরও ৫ ব্যাটারকে। স্টোকসকে সঙ্গ দিতে পারেননি জস বাটলার (৮), লিয়াম লিভিংস্টোন (১) মঈন আলী (১৫), ক্রিস ওকস (০)। পরে স্টোকসও ফেরেন ইনিংস সর্বোচ্চ ৪৩ রান করে।

শেষ দিকে ডেভিড উইলির অপরাজিত ১৪ রানে কোনোরকম দেড়শো পার করতে পারে ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার হয়ে লাহিরু কুমারা সর্বাধিক ৩ উইকেট নেন। এছাড়া অ্যাঞ্জেলা ম্যাথুউস ও কাসুন রাজিথা দুটি করে উইকেট নেন।

লঙ্কানরা ৯ রানে কুশল পেরেরা আর ২৩ রানে কুশল মেন্ডিসকে হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়েছিল। কিন্তু, আরেক ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কা ও চারে নামা সাদিরা সামারাবিক্রমার বীরত্বে দৃঢ়তার সঙ্গে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়।

নিশাঙ্কা ৮৩ বলে ৭৭ রানে ও সামারাবিক্রমা ৫৪ বলে ৬৫ রানে অপরাজিত থাকেন। ইংলিশদের পক্ষে ডেভিড উইলি ৫ ওভার বল করে ৩০ রানে লঙ্কানদের ২ উইকেট নেন।

ম্যাচ সেরা হয়েছেন ৭ ওভারে ৩৫ রানে ৩ উইকেট নেওয়া লাহিরু কুমারা।