প্রকাশ: 26/10/2023
ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের আনোয়ারা বাঁশখালী সাতকানিয়া ও কক্সবাজারের ডিজিটাল আইল্যান্ড মহেশখালী, কুতুবদিয়া পেকুয়া ও চকরিয়া উপজেলার ৭ লক্ষাধিক মানুষ এখনো বিদ্যুৎ এর দেখা পায়নি গত তিনদিনেও। ঘূর্ণিঝড় হামুনের মাত্র ২ ঘন্টার তান্ডবে সব কিছু লন্ডভন্ড হয়ে গেছে।
বাঁশখালীর
সাধনপুরে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে অসংখ্য গাছ ও বিদ্যুতের
খুঁটি ভেঙে পড়েছে। তিন
দিনেরও বেশি সময় ধরে
বিদ্যুৎবিহীন রয়েছেন চট্টগ্রাম কক্সবাজারের উল্লেখিত উপজেলা সমূহের ৭ লক্ষাধিক বাসিন্দা। পাওয়া যাচ্ছে না মুঠোফোনের নেটওয়ার্কও।
গত মঙ্গলবার রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’-এর প্রভাবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পড়ে। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯ টা পর্যন্ত উপজেলা সমূহের বেশির ভাগ এলাকায় বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়নি বলে জানান বাসিন্দারা।
এদিকে
উপজেলার বিদ্যুৎ-সংযোগ পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে সপ্তাহখানেক
সময় লাগতে পারে বলে জানায়
উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ কার্যালয়। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলার ১৫০৭টি খুঁটি ও এককোটি ৬০
লাখ টাকার তার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে
বলে জানানো হয়।
বাঁশখালী
পল্লী বিদ্যুৎ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) রিশু কুমার ঘোষ
বলেন, ‘পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ
সঞ্চালন লাইন লন্ডভন্ড হয়ে
গেছে। আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা
করছি লাইন মেরামত করে
সংযোগ ফিরিয়ে আনতে।’
উপজেলার
খানখানাবাদ ইউনিয়নের প্রেমাশিয়া এলাকার বাসিন্দা ও পোলট্রি খামারি
মিজানুল ইসলাম বলেন, ‘মঙ্গলবার রাত থেকে বিদ্যুৎ
নেই। খামারের মুরগির বাচ্চা নিয়ে বিপদে পড়ে
গেলাম। দ্রুত বিদ্যুৎ না পেলে বড়
ধরনের ক্ষতির সম্মুখীন হব।’
উপজেলা
প্রশাসন জানায়, ঘূর্ণিঝড়ে উপজেলার ২ জন কক্সবাজারে
৩ নিহত ও ২৮৫
জন আহত হয়েছেন। এ
ছাড়া ২৩টি গরু-মহিষ
ও ৭টি ভেড়া মারা
গেছে। ৭হাজার ৮৯০টি ঘর ভেঙে গেছে।
আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৪৫ হাজার ৩৪৫টি
ঘর। ৪ হাজার ১৯
হেক্টর জমির ফসল নষ্ট
হয়েছে এবং ৯শতাধিক পুকুরের
মাছ ভেসে গেছে। মঙ্গলবার
রাত থেকে সড়ক যোগাযোগ
বন্ধ হয়ে পড়লেও গতকাল
বুধবার দুপুর থেকে তা স্বাভাবিক
হয়। কিন্তু বাতাসের তোড়ে বিদ্যুতের খুঁটি
উপড়ে ও সড়কে গাছ
পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বিদ্যুৎ–সংযোগ
এখনো বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
বাঁশখালী
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে বাঁশখালীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সড়ক যোগাযোগ চালু
হলেও বিদ্যুৎ–ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির
বিবরণ জেলা প্রশাসনে পাঠানো
হয়েছে।কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মোঃ
শাহীন ইমরান জানান, জেলার মহেশখালী, কক্সবাজার সদর, ঈদগাঁও, পেকুয়া
ও কুতুবদিয়ার অবস্থা খুবই ভয়াবহ,এখানে
সড়ক যোগাযোগ থেকে বিদ্যুৎ সংযোগ
স্বাভাবিক হতে অন্তত আরো
এক সপ্তাহ সময় লেগে যেতে
পারে।এর মধ্যে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাড়ির প্রনয়ন করে ঢেউ টিনসহ
নগদ টাকা বিতরণ করা
হচ্ছে।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭