প্রকাশ: 28/10/2023
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ পাঁচটি ম্যাচ খেলে মাত্র একটি ম্যাচে জয় পেয়েছে। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই যে দুটি দলের বিপক্ষে সাকিবরা নিশ্চিত জয়ের টার্গেট করেছিল সেই দুই দলের একটি হলো নেদারল্যান্ডস। প্রথম টার্গেট আফগানিস্তানের সঙ্গে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় তুলে নিয়েছে। এবার দ্বিতীয় মিশনে নামতে যাচ্ছে টাইগাররা।
আজ বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটায়
কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে মুখোমুখি
হতে যাচ্ছে দুই দল। তবে
এই দুই দলের মধ্যে
সাক্ষাৎ সেভাবে না হলেও এটা
বিশ্বকাপের মঞ্চ এটা নিশ্চয়
কেউ ভুলে যাবে না।
নেদারল্যান্ডস
বাংলাদেশের তুলনায় কম অভিজ্ঞ। সাফল্যও
বাংলাদেশের চেয়ে তলানিতে। বরং,
বিশ্ব ক্রিকেটে তরা নবীন। এরই
মধ্যে ভারত বিশ্বকাপ আসরে
তারা এক অঘটন ঘটিয়ে
নিজেদের অস্তিত্বের জানান দিয়েছে। এই বিশ্বকাপের অন্যতম
ধারাবাহিক পারফর্ম করা দক্ষিণ আফ্রিকাকে
তারা হারিয়ে দিয়ে শোরগোল ফেলে
দিয়েছে। একটি ম্যাচেও না
হারা প্রোটিয়াদের হারিয়ে দারুণ যন্ত্রণায় ফেলেছিল মিলার, ডি ককদের।
এই বিশ্বকাপে নবীন ডাচদের খুব
বেশি পাওয়ার আশা নেই। তাই
তাদের হারানোর ভয়টাও খুব কম। বরং,
যা কিছু অর্জন হবে
সবই তাদের অভিজ্ঞতা ও ডাচ ইতিহাসের
খাতায় যোগ হবে। সেজন্য
তারা চাপে থাকবে না।
বরং, নির্ভার থেকে প্রতিপক্ষ শিবিরে
হানা দেবার চেষ্টা করবে। প্রতিপক্ষ কোনও কারণে তাদের
ব্যাপারে অসচেতন হলে বা একটু
হাল্কাভাবে নিলেই হুল ফুটিয়ে দিতে
ছাড়বে না কমলা জার্সিধারীরা।
আর অন্যদিকে বাংলাদেশ অনেক আশা নিয়ে
গেছে ভারত বিশ্বকাপে। কিন্তু,
ওই শুরুর টার্গেট আফগানদের হারানো ছাড়া আর কোনও
দলের বিপক্ষে কোনও সাফল্য পায়নি।
বরং, পেয়েছে আর দেখিয়েছে কী
করে ধারাবাহিকভাবে হারতে হয় একটি অভিজ্ঞ
দলকে নিয়ে। সাকিব-তাসকিনরা আছে জয়ের আশায়
আর ডাচরা আছে সুযোগ মতো
কামড় দেওয়ার অপেক্ষায়। তাই স্বাভাবিকভাবেই জয়
পাগল বাংলাদেশ অনেক প্রেসার নিয়েই
মাঠে নামবে। আর দগদগে স্মৃতি
চোখের সামনে ভাসবে এই ডাচরাই দুই
ম্যাচ আগে চলতি আসরের
সেরা দলকে হারিয়েছে। তাই
বাংলাদেশ যে চাপে থাকবে
ডাচদের বিপক্ষে তাতো খানিক অনুমেয়।
এ পর্যন্ত বাংলাদেশ নেদারল্যান্ডস ওয়ানডেতে দুইবার মুখোমুখি হয়েছিল। কিন্তু, খুব একটা সুবিধাজনক
ফলাফলের কথা বলা যাবে
না। প্রথমবার দেখা হয়েছিল ২০১০
সালে ইংল্যান্ডে। সেই প্রথম সাক্ষাতে
বাংলাদেশ হেরে গিয়েছিল ডাচদের
কাছে। ৩০ ওভারের সেই
ম্যাচে বাংলাদেশ করেছিল ১৯৯ রান। আর
নেদারল্যান্ডস ২৮.৫ ওভারে
৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের স্বাদ নেয়।
তখন কিন্তু বাংলাদেশ টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া দলই ছিল। আর
সাকিব, মুশফিক, মাহমুদউল্লাহরা সেই ম্যাচে স্কোয়াডে
ছিলেন।
এরপর
২০১১ বিশ্বকাপে তাদের দ্বিতীয়বারের মতো দেখা হয়েছিল।
দেশের মাটিতে বাংলাদেশ বাঘ তা কে
না জানে? তাইতো বাঘের থাবায় পড়ে ডাচরা ১৬০
রানে গুটিয়ে গেলে সহজেই জয়
তুলে নেয় বাংলাদেশ। সেই
ম্যাচেরও জয়ের সাক্ষ্মী রিয়াদ,
মুশফিক ও সাকিব।
তবে
ডাচদের সঙ্গে এই দুই ম্যাচেরই
সেরা স্কোরার ছিলেন ইমরুল কায়েস।
প্রধান সম্পাদকঃ সৈয়দ বোরহান কবীর
ক্রিয়েটিভ মিডিয়া লিমিটেডের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান
বার্তা এবং বাণিজ্যিক কার্যালয়ঃ ২/৩ , ব্লক - ডি , লালমাটিয়া , ঢাকা -১২০৭
নিবন্ধিত ঠিকানাঃ বাড়ি# ৪৩ (লেভেল-৫) , রোড#১৬ নতুন (পুরাতন ২৭) , ধানমন্ডি , ঢাকা- ১২০৯
ফোনঃ +৮৮-০২৯১২৩৬৭৭